ভারতের রাজধানী দিল্লির ঐতিহাসিক লাল কেল্লার কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। ঘটনাটির পর পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও নেপাল সীমান্তে জারি করা হয়েছে উচ্চ সতর্কতা।
সোমবার (১০ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিটের দিকে লাল কেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে পার্ক করা একটি হুন্দাই আই২০ গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তেই পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে। আশপাশের বেশ কয়েকটি গাড়ি পুড়ে যায় এবং রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে ছিন্নভিন্ন মরদেহ।
দিল্লি ফায়ার সার্ভিসের উপপ্রধান অগ্নিনির্বাপক কর্মকর্তা একে মালিক জানিয়েছেন, আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাই এবং প্রায় ৪০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
বিস্ফোরণের পর লাল কেল্লা ও আশপাশের এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (NSG) এবং ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (NIA) সদস্যরাও। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি পরিকল্পিত হামলা হতে পারে।
সরকারি নির্দেশে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (BSF) পাকিস্তান সীমান্তে এবং সীমান্ত গোর্খা বাহিনী (SSB) নেপাল সীমান্তে টহল জোরদার করেছে। একই সঙ্গে উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা ও পাঞ্জাবের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতেও সতর্কতা জারি হয়েছে।
বিস্ফোরণের কারণ এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। দিল্লি পুলিশের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, সব দিক বিবেচনায় তদন্ত চলছে- সন্ত্রাসী হামলা থেকে শুরু করে নাশকতা, কোনো কিছুই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে একই দিনে রাজধানী দিল্লি থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে হরিয়ানার ফরিদাবাদে প্রায় তিন টন বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। বিহারে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের আগের দিন এমন ঘটনার পর দেশজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে।
ঘটনার পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের মধ্যে। বছরের এই সময়টিতে লাল কেল্লা এলাকায় পর্যটকের ভিড় থাকে সবচেয়ে বেশি।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন