শনিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


হাসান আরিফ

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৯, ২০২৫, ১২:০৫ এএম

পারমাণবিক প্রযুক্তির যুগে দেশ

গবেষণা চুল্লি ও ক্যানসার চিকিৎসায় নতুন সম্ভাবনা

হাসান আরিফ

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৯, ২০২৫, ১২:০৫ এএম

গবেষণা চুল্লি ও ক্যানসার  চিকিৎসায় নতুন সম্ভাবনা

রাশিয়ার সঙ্গে পারমাণবিক অংশিদারিত্বে নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে ক্যানসার চিকিৎসায় বিপ্লব আনতে পারে। যদিও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প দুই দেশের বৃহত্তম প্রকল্প। তাই মস্কোয় রসাটমের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকে বাংলাদেশ রূপপুর প্রকল্পের সময়সীমা, গবেষণা চুল্লির ক্ষমতা, মাইক্রো মডুলার রিঅ্যাক্টরের (এসএমআর) সম্ভাবনা, মাইক্রো রিঅ্যাক্টর-ভিত্তিক নতুন শক্তি পরিকল্পনা এবং ক্যানসার চিকিৎসার জন্য দেশীয় রেডিও আইসোটোপ উৎপাদনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের পারমাণবিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণের এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণ তৈরি করতে যাচ্ছে। বিশ্ব পরমাণু সপ্তাহ ২০২৫-এ রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশর এসব বিষয়ে দুই দেশ একমত হয়েছে বলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনোয়ার হোসেন রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘গবেষণা চুল্লি আর মাইক্রো মডুলার রিঅ্যাক্টর নিয়ে কাজ করা হচ্ছে, যা বাংলাদেশের চিকিৎসা আর জ¦ালানি নিরাপত্তার জন্য একটা মাইলফলক অগ্রগতি হবে। তবে গবেষণা চুল্লি ২০ মেগাওয়াট ক্ষমতা নিয়ে আমাদের কিছুটা দ্বিমত রয়েছে। আমরা এখন চিন্তা করছিÑ ১০ না ১৫ মেগাওয়াট, নাকি ২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার নেব। যদিও আমাদের বর্তমানে রয়েছে তিন মেগাওয়াট ক্ষমতার। যদিও তা অকার্যকর অবস্থাতেই রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এই প্রকল্পের জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। তাই হুট করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না। আমরা ভাবনা-চিন্তা করেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নব।’

সূত্রটি জানায়, ২৫ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বরের বিশ্ব পরমাণু সপ্তাহ ২০২৫-এ বাংলাদেশের অংশগ্রহণ এবার শুধু কূটনৈতিক আনুষ্ঠানিকতা ছিল না, বরং দেশের জ¦ালানি নিরাপত্তা, চিকিৎসা সক্ষমতা, গবেষণা অবকাঠামো ও ভবিষ্যৎ রিঅ্যাক্টর প্রযুক্তি নিয়ে এক সংকটময় মুহূর্তে বাংলাদেশের অবস্থানকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সর্বোচ্চ দৃঢ়তা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বিশ্ব পরমাণু সপ্তাহ চলাকালে মস্কোতে রসাটমের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকে বাংলাদেশ পরিষ্কার বার্তা দিয়েছিল, চলতি বছরের নভেম্বরের মধ্যেই ‘ফার্স্ট ফুয়েল লোডিং (এফএফএল)’ নিশ্চিত করতে হবে। সময়সীমা আর এক দিনও পেছানোর সুযোগ নেই। একই সঙ্গে গবেষণা চুল্লির প্রস্তাবিত ২০ মেগাওয়াট ক্ষমতা, এর আর্থিক যৌক্তিকতা, ভবিষ্যৎ চিকিৎসায় ব্যবহার, রেডিওআইসোটোপ রপ্তানির বাস্তবতা এবং গবেষণা সক্ষমতা। এসব প্রশ্নও বাংলাদেশ কঠোরভাবে তুলেছে। এ ছাড়া রসাটমের প্রযুক্তি প্যাভিলিয়নে বাংলাদেশ যে নতুন প্রজন্মের এসএমআর ও মাইক্রো রিঅ্যাক্টর প্রযুক্তি দেখেছে তা দেশের ভবিষ্যৎ বিদ্যুৎ বৈচিত্র্য, উপকূলীয় শিল্পাঞ্চলের শক্তি সরবরাহ এবং বিকেন্দ্রীভূত বিদ্যুদ্ব্যবস্থার জন্য নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গবেষণা চুল্লি ও রেডিওআইসোটোপ উৎপাদন ভবিষ্যতে ক্যানসার চিকিৎসায় বিপ্লব আনতে পারে। এতে বিদেশনির্ভরতা কমবে, চিকিৎসা ব্যয় হ্রাস পাবে এবং গবেষণা ও শিল্প খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। একই সময়ে ডিজিটাল পারমাণবিক সমন্বয়, স্বয়ংক্রিয় রিঅ্যাক্টর নিয়ন্ত্রণ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণÑ এসব প্রযুক্তি রূপপুরের পরবর্তী পর্যায়কে আরও উন্নত ও নিরাপদ করবে। তাই জ¦ালানি নিরাপত্তা, গবেষণা ও চিকিৎসাÑ এই তিন স্তম্ভে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ যে কঠোর কূটনৈতিক ও কারিগরি অবস্থান নিয়েছে, তা শুধু রূপপুর প্রকল্পই নয়, বরং দেশের সামগ্রিক পারমাণবিক ভবিষ্যৎকেই নতুন দিগন্তে নিয়ে যাবে।

রসাটমের উপ-মহাপরিচালক (ডিডিজি) পেত্রভের সঙ্গে প্রথম বৈঠকে বাংলাদেশের মূল জোর ছিল ২০২৫ সালের নভেম্বরেই এফএফএল নিশ্চিত করা। কারণ এ সময়সীমা কেন্দ্র করে সরকার, আন্তর্জাতিক অংশীদার এবং প্রকল্পের পরিকল্পনামাফিক প্রস্তুতিমূলক কাজ এগিয়ে চলেছে। রসাটম পক্ষ সময়সীমা নিয়ে অনিশ্চয়তা অব্যাহত রাখায় বাংলাদেশ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, ডিসেম্বর কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব আনোয়ার হোসে বলেন, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের বিনিয়োগ, বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনার নিরবচ্ছিন্ন পরিকল্পনা, আন্তর্জাতিক আর্থিক অংশীদারদের প্রত্যাশা, সবকিছু মিলিয়ে সময়সীমা বাংলাদেশের জন্য রাজনৈতিক ও প্রশাসনিকভাবে অত্যন্ত সংবেদনশীল। ফলে বাংলাদেশ প্রথম দিন থেকেই আলোচনাকে কৌশলগতভাবে কঠোর ও সময়সীমানির্ভর রেখেছে।

আলোচনায় পেত্রভ জানান, এফএফএল প্রস্তুতি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এগোনো হচ্ছে। প্রকল্পের নিরাপত্তা নিরীক্ষা জোরদার করা হবে। রসাটমের প্রকল্প পরিচালকসহ একটি বৃহৎ কারিগরি টিম অবিলম্বে বাংলাদেশে পাঠানো হবে।

প্রথমে রসাটম ৭-১০ ডিসেম্বর সময়সীমার প্রস্তাব দিলে বাংলাদেশ তীব্রভাবে জানিয়ে দেয়Ñ এটি গ্রহণযোগ্য নয়। তখন পেত্রভ জানান, উভয় পক্ষ সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা দিলে নভেম্বর ২০২৫ সম্ভব, যদিও তিনি নির্দিষ্ট তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে জানাননি।

মাইক্রো মডুলার রিঅ্যাক্টরের সম্ভাবনা

২৩ সেপ্টেম্বরের কারিগরি সেশনে রসাটমের এসএমআর প্রযুক্তি দল বাংলাদেশের কাছে ক্ষুদ্র পারমাণবিক চুল্লির অর্থনৈতিক, প্রযুক্তিগত ও পরিবেশগত সুবিধা তুলে ধরেছে।

বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল খোলামেলা আলোচনা করে জানায়, বাংলাদেশের বিদ্যুতের চাহিদা, আর্থিক বিনিয়োগ সক্ষমতা, প্রযুক্তিগত অবকাঠামো এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিচালন খরচ বিবেচনায় এসএমআর গ্রহণ একটি টেকসই সমাধান কি না, তা নিয়ে স্বাধীনভাবে সমীক্ষা প্রয়োজন।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রূপপুর প্রকল্পের পরবর্তী পর্যায়ে বাংলাদেশের জন্য এসএমআর হতে পারে বিদ্যুৎ বৈচিত্র্যের নতুন পথ। উপকূলীয় বা শিল্পাঞ্চলে ছোট আকারের এই রিঅ্যাক্টর স্থাপন করলে সঞ্চালনব্যবস্থার ওপর চাপ কমবে। এসএমআর এখনো বিশ্বব্যাপী পরীক্ষামূলক পর্যায়ের অনেক প্রকল্পেই সীমাবদ্ধ, ফলে বাংলাদেশ এ প্রযুক্তি গ্রহণ করলে দীর্ঘ মেয়াদে আর্থিক ঝুঁকি বাড়তে পারে।

২০ মেগাওয়াটের গবেষণা চুল্লি

রসাটমের প্রস্তাব অনুযায়ী গবেষণা চুল্লির ক্ষমতা ২০ মেগাওয়াট ধরা হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল কয়েকটি প্রশ্ন তুলেছে। এর মধ্যে রেডিওআইসোটোপ উৎপাদন, চিকিৎসা ও গবেষণা সক্ষমতার হিসাব অনুযায়ী ১০ বা ১৫ মেগাওয়াট কি যথেষ্ট নয়? অতিরিক্ত ৫-১০ মেগাওয়াট হিসেবে যে মূল্য বৃদ্ধি হবে, তা কি দেশের সক্ষমতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ? চুল্লিটির ভবিষ্যৎ বাণিজ্যিক ব্যবহার, যেমনÑ প্রতিবেশী দেশে রেডিওআইসোটোপ রপ্তানি বাস্তবসম্মত কি না?

এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গবেষণা চুল্লি এমন এক প্রকল্প, যার প্রভাব দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণাগার, ক্যানসার চিকিৎসা কেন্দ্র, এমনকি উদীয়মান শিল্প খাতেও পড়বে। তাই ক্ষমতা নির্ধারণ একটি কৌশলগত সিদ্ধান্ত, যা দেশীয় প্রযুক্তিবিদদের মতামত, আন্তর্জাতিক বাজার সমীক্ষা, নিরাপত্তাঝুঁকি ও আর্থিক সক্ষমতাÑ সবকিছু বিবেচনায় নিতে হবে।

ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির বাংলাদেশের জন্য নতুন দিগন্ত

রসাটোমের প্রযুক্তি প্রদর্শনী ছিল সফরের অন্যতম আকর্ষণ। প্রদর্শনীতে দেখা যায়, ক্ষুদ্র মডুলার রিঅ্যাক্টর ও মাইক্রো রিঅ্যাক্টর। পারমাণবিক চালিত টেকসই ও সবুজ নগর পরিকল্পনা। অগ্রবর্তী পারমাণবিক চিকিৎসা প্রযুক্তি এবং বেসামরিক খাতে তেজস্ক্রিয় পদার্থ ব্যবহারের উন্নত সমাধান। এসব প্রযুক্তি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য ও নিরবচ্ছিন্ন শক্তি অবকাঠামোকে শক্তিশালী করতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বে জোরদার

রসাটোম আয়োজিত নৌ-ইভেন্টে অংশগ্রহণের ফলে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও নিবিড় হয়। বিশেষ করে উদীয়মান পারমাণবিক রাষ্ট্রগুলো-কাজাখস্তান, মিশর, উজবেকিস্তান, তুরস্কের প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা ভবিষ্যৎ অভিজ্ঞতা বিনিময় ও সহযোগিতার সম্ভাবনা উন্মোচন করেছে।

আগামী প্রযুক্তিগত ডিজিটাল বনাম অ্যাটমিক বিপ্লবে যুগল নেতৃত্ব

প্রতিনিধিদল অংশ নেয় আলোচিত সেশন ‘প্রযুক্তি কোথা থেকে শুরু হয়-পরমাণু নাকি ডিজিটাল?’ এ আলোচনায় উঠে আসে, পারমাণবিক প্রযুক্তির নিরাপত্তা ডিজিটাল সমাধানের ওপর ক্রমশ নির্ভরশীল। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, স্বয়ংক্রিয় রিঅ্যাক্টর নিয়ন্ত্রণ, রিমোট মনিটরিং। সবই ভবিষ্যৎ রিঅ্যাক্টর পরিচালনায় অপরিহার্য। বাংলাদেশ রূপপুর প্রকল্পের অভিজ্ঞতার আলোকে ডিজিটাল নিরাপত্তাকাঠামো আরও শক্তিশালী করার সুযোগ দেখা যাচ্ছে।

নিউক্লিয়ার মেডিসিন বাংলাদেশের জন্য বড় সুযোগ

নিউক্লিয়ার মেডিসিন নিয়ে আলাদা সেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল তুলে ধরেÑ দেশে ক্যানসার রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। বর্তমানে রেডিওআইসোটোপ উৎপাদন সীমিত। ভবিষ্যতে রূপপুরসংলগ্ন গবেষণা চুল্লি স্থাপিত হলে দেশেই আইসোটোপ উৎপাদন সম্ভব হবে। তখন চিকিৎসা ব্যয় ও বিদেশনির্ভরতা কমে যাবে।

জানা গেছে, দেশে গবেষণা চুল্লি, চিকিৎসা রেডিওআইসোটোপ উৎপাদন, শিল্প নিরাপত্তা বিশ্লেষণ, খাদ্য বিকিরণ ও আণবিক প্রযুক্তি উন্নয়নের মূল অবকাঠামো হিসেবে যে গবেষণা রিঅ্যাক্টর ও মাইক্রো রিঅ্যাক্টরগুলো ব্যবহৃত হয়, সেসবই এখন নানামুখী সংকট, অব্যবস্থাপনা ও দীর্ঘায়িত নিষ্ক্রিয়তার কারণে কার্যত ঝুঁকির মুখে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আণবিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ রেডিওআইসোটোপের ঘাটতি যেমন ক্রমশ বাড়ছে, তেমনি গবেষণা পর্যায়ের অগণিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা পিছিয়ে পড়ার ফলে প্রযুক্তিগত সক্ষমতায় দেখা দিয়েছে বড় ধরনের স্থবিরতা। দেশের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ গবেষণা চুল্লি নিয়মিত অপারেশনে না থাকায় চিকিৎসা রেডিওআইসোটোপের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে ক্যানসার চিকিৎসা, নিউক্লিয়ার স্ক্যানিং, ট্রেসার প্রযুক্তি, শিল্পক্ষেত্রে নন-ডেস্ট্রাকটিভ টেস্টিং এমনকি কৃষিতে নতুন জাত উদ্ভাবনের যে আণবিক প্রক্রিয়াÑ সবকিছুই হুমকির মুখে পড়েছে।

অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক মানদ- অনুযায়ী মাইক্রো রিঅ্যাক্টরের আধুনিকীকরণ, ইনস্ট্রুমেন্টেশন, রিঅ্যাক্টর কোরের নিরাপত্তা যাচাই, রেডিয়েশন শিল্ডিং, নিউট্রন ফ্লাক্স পরিমাপ এই মৌলিক কাজগুলোতে অগ্রগতি না হওয়ায় দেশ শুধু গবেষণায় পিছিয়ে যাচ্ছে তা-ই নয়, ভবিষ্যতের উচ্চ প্রযুক্তি মানবসম্পদ তৈরিতেও বড় ঘাটতি তৈরি হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের ভাষায়, ‘গবেষণা রিঅ্যাক্টরই একটি দেশের বিজ্ঞান, চিকিৎসা ও প্রযুক্তির ল্যাবরেটরি মেরুদ-’। আর সেই মেরুদ- দুর্বল হলে জাতির সামগ্রিক সক্ষমতা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!