পাকিস্তানে বন্যাকবলিত এলাকায় উদ্ধারকারীদের নৌকা উল্টে অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার পূর্বাঞ্চলীয় পাঞ্জাব প্রদেশের মুলতান শহরের কাছে নৌকাটি উল্টে যায়। গতকাল শুক্রবার পাঞ্জাবের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের বিবৃতির বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। বন্যার কারণে পাঞ্জাব প্রদেশ থেকে ২০ লাখের বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া, সিন্ধু প্রদেশ থেকেও দেড় লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার তথ্য দিয়েছেন দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রধান ইনাম হায়দার মালিক।
উল্টে যাওয়ার সময় নৌকাটিতে বন্যাকবলিত বিভিন্ন গ্রাম থেকে উদ্ধার করা ২৪ জন মানুষ ছিল।
উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা বলছেন, পাকিস্তানের অনেক গ্রামের লোকজন বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে চান না, বিশেষ করে তাদের গবাদিপশু ছাড়া। এ গবাদিপশু এবং হাঁস-মুরগিই তাদের আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস। শেষ পর্যন্ত তাদের জোর করে সরাতে হয়।
লোকজন সহযোগিতা না করায় ওই অঞ্চলে উদ্ধারকাজ চালানো বেশ কঠিন হচ্ছে, বলছে কর্তৃপক্ষ।
চলতি বছর বর্ষার তুমুল বর্ষণ ও ফুঁসে ওঠা নদীর কারণে সৃষ্ট বন্যা জুনের পর থেকে পাকিস্তানে অন্তত ৯৪৬ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে, এর মধ্যে ৯৭ জনই পাঞ্জাবের। বন্যায় প্রদেশটির বিপুল পরিমাণ ফসলও তলিয়ে গেছে।
পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরই বাস পাঞ্জাবে, এ প্রদেশকে দেশটির ‘অন্নভা-ার’ বলা হয়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগস্টের শেষ দিক থেকে পাঞ্জাবে বন্যায় সাড়ে চার হাজারের বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪৪ লাখের বেশি মানুষ। এখন পর্যন্ত অন্তত ২৪ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া গেছে, বলেছে তারা।