পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট সরকারকে মেডিকেলের পাঠ্যক্রমে হাতের লেখা সংক্রান্ত পাঠ যুক্ত করতে বলেছে; পাশাপাশি ডিজিটাল প্রেসক্রিপশনের জন্য দুই বছরের সময়ও বেঁধে দিয়েছে। লেখার জন্য যখন বেশির ভাগ মানুষই এখন কিবোর্ড ব্যবহার করছে, তখন হাতের লেখার গুরুত্ব কতইবা? না, এখনো গুরুত্বপূর্ণ, যদি সেই লেখা হয় কোনো চিকিৎসকের, বলছে ভারতের আদালত। চিকিৎসকদের হাতের লেখা এতই হিজিবজি যে তার মর্মোদ্ধার করার ক্ষমতা কেবল দোকানের ফার্মাসিস্টদেরই থাকে, বিশ্বজুড়ে থাকা এ কৌতুক ভারতের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কিন্তু পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের সাম্প্রতিক আদেশ বলছে, ‘পাঠযোগ্য মেডিকেল প্রেসক্রিপশন একটি মৌলিক অধিকার’ কারণ এটি জীবন ও মৃত্যুর মধ্যে পার্থক্য নির্ধারণ করতে পারে।
এমন এক মামলায় এ রায় এসেছে যার সঙ্গে হাতের লেখার কোনো সম্পর্কই নেই, বলছে বিবিসি। ধর্ষণ, প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে এক নারীর করা মামলায় এক পুরুষের জামিন আবেদন শুনছিলেন বিচারপতি জাসগুরপ্রীত সিং পুরি। ওই নারীর অভিযোগ ছিল, পুরুষটি সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার কাছ থেকে অর্থ নিয়েছে, ভুয়া সাক্ষাৎকার নিয়েছে এবং তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হয়েছে।