ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর, ২০২৫

চলতি বছর ডেঙ্গুতে  প্রাণ গেল ২০০ জনের

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২৫, ১২:৪৩ এএম

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া দুজনকে নিয়ে চলতি বছরের এ পর্যন্ত ২০০ জনের প্রাণ গেল এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গতকালের বুলেটিনে ডেঙ্গুতে প্রাণহানির সবশেষ এ হিসাব তুলে ধরা হয়েছে। চলতি বছরের ৯ মাস শেষে ডেঙ্গুতে প্রাণহানি ঠেকল ২০০-তে। এর আগে ২০২৪ সালে ৫৭৫ জন, ২০২৩ সালে ১৭০৫, ২০২২ সালে ২৮১, ২০২১ সালে ১০৫ ও ২০১৯ সালে ১৭৯ জনের প্রাণ গিয়েছিল ডেঙ্গুতে।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া দুজনের একজন নারী, অপরজন পুরুষ। তারা ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। দুজনের বয়স ১৬ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। অন্যদিকে গত এক দিনে দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৪৯০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের এ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি রোগী বেড়ে দাঁড়াল ৪৭ হাজার ৮৩২ জনে। এ বছর আক্রান্ত ও মৃত্যুর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হয়েছে সেপ্টেম্বর মাসে। সেপ্টেম্বরে ১৫ হাজার ৮৬৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৭৬ জনের। অক্টোবরে ৪৯০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে দুজনের।

এর আগে জুলাই মাসে ১০ হাজার ৬৮৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। এ ছাড়া জানুয়ারিতে ১ হাজার ১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪, মার্চে ৩৩৬, এপ্রিলে ৭০১, মে মাসে ১ হাজার ৭৭৩, জুন মাসে ৫ হাজার ৯৫১ জন এবং আগস্টে ১০ হাজার ৪৯৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। জুলাই মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তার আগে জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিন, এপ্রিলে সাত, মে মাসে তিন, জুন মাসে ১৯, আগস্ট মাসে ৩৯ জন মারা যান। মার্চ মাসে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি নতুন রোগীদের মধ্যে ১৪২ জনই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ১০৫ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ২৮, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬৪, রংপুর বিভাগে ১৩ এবং বরিশাল বিভাগে ১৩৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। ডেঙ্গু নিয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে ২ হাজার ৩৫৯ জন রোগী। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৮০৮ জন, ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ১ হাজার ৫৫১ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য রাখে ২০০০ সাল থেকে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে এ রোগ নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যুও হয় ওই বছর।