ঢাকা শনিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৫

ট্রাম্প শান্তিতে নোবেল পেলেন না যে কারণে

ভিনদেশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১১, ২০২৫, ১২:৫৬ এএম

চলতি বছরের বহুল আলোচিত নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদো। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবারের নোবেল পাওয়ার ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। প্রকাশ্যে একাধিকবার তিনি নোবেলের কথা বলেছেন।

দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে সাতটি যুদ্ধ থামিয়েছেন দাবি করে এর বিনিময়ে ‘সাতটি নোবেল পুরস্কার তার প্রাপ্য’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। একাধিক রাষ্ট্রপ্রধানও নোবেল শান্তি পুরস্কারের মনোনয়নে ট্রাম্পকে সমর্থনের ইঙ্গিত দেন।

মারিয়া কোরিনা মাচাদো নোবেল জেতার পর এক সাংবাদিক নোবেল কমিটিকে ট্রাম্পের বিষয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি জানতে চান, নোবেল দিতে ট্রাম্পের নিজের কাছ থেকে এবং বিশ্বের অন্য যেসব জায়গা থেকে চাপ এসেছিল, সেই চাপ তাদের পুরস্কার ঘোষণায় কোনো প্রভাব ফেলেছে কি না।

জবাবে নোবেল শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান জোর্গেন ওয়াটনে ফ্রায়ডেন্স বলেন, দীর্ঘ ইতিহাসে নোবেল কমিটি এ ধরনের ক্যাম্পেইন ও মিডিয়ার উত্তেজনা দেখেছে। এ ছাড়া নোবেল কমিটির কাছে প্রতিবছর হাজার হাজার চিঠি আসে। কিন্তু নোবেল শুধু পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তির কাজের ওপর নির্ভর করে এবং আলফ্রেড নোবেলের করা উইল অনুযায়ী দেওয়া হয়।

ডোনাল্ড ট্রাম্প নোবেল না পাওয়ায় তার প্রতিক্রিয়া কেমন হবে, তা নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন নরওয়েজিয়ান রাজনীতিক ও পর্যবেক্ষকেরা।

নরওয়ের সোশ্যালিস্ট লেফট পার্টির নেতা কির্সতি বার্গস্তো বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প এমন এক দিকে আমেরিকাকে নিয়ে যাচ্ছেন, যেখানে গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতা আক্রান্ত। গোপন পুলিশের মাধ্যমে নাগরিকদের অপহরণ, বিচার বিভাগের ওপর দমননীতি সব মিলিয়ে তিনি এক অস্থির ও কর্তৃত্ববাদী চরিত্র। তাই আমরা যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে বাধ্য।

নরওয়ের গ্রিন পার্টির নেতা আরিল্ড হার্মস্তাদ বলেন, নোবেল পুরস্কার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্রোধ দেখিয়ে বা হুমকি দিয়ে জেতা যায় না। এটি ধারাবাহিক শান্তির প্রচেষ্টার স্বীকৃতি। গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে ট্রাম্পের ভূমিকা স্বাগত, তবে একটি দেরিতে নেওয়া পদক্ষেপ। এতে বহু বছরের বিভাজন ও সহিংসতাকে মুছে দিতে পারে না।