১. নিজের জন্য উপযুক্ত একটা পরিবেশ ঠিক করে নিন। যেমন পড়াশোনার জন্য নিরিবিলি কোনো ঘরের কোণ বা জানালার পাশের জায়গাটা কিংবা কোনো পাবলিক লাইব্রেরি, যেখানে আরও অনেককে পড়াশোনা করতে দেখলে আপনারও পড়তে ইচ্ছা করবে।
২. সুন্দরভাবে শুরু করাটা জরুরি। শুরু করলে ঠিকই পড়া বা কাজ এগিয়ে যায়, কিন্তু অনেক সময় এই শুরুটাই করা হয়ে ওঠে না। তাই আত্মবিশ্বাস নিয়ে শুরু করুন।
৩. কঠিন কাজটা এড়িয়ে না গিয়ে সবার আগে তার সমাধানের চেষ্টা করা উচিত। প্রয়োজনে শিক্ষক বা বন্ধুর সাহায্য নেওয়া যায়।
৪. একটা উপযুক্ত রুটিন করে নেওয়া ভালো। রুটিন করলে সেটার প্রতি বিশ্বস্ত থাকতে হবে, কোনোভাবেই রুটিনে যেন হেরফের না হয়।
৫. পড়ার বা কাজের সময়টা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করবেন না। মোবাইল ফোন দূরে রাখুন, ইন্টারনেট সংযোগও বন্ধ করে রাখা উচিত। অনেকে ভেবে থাকেন, যদি গুরুত্বপূর্ণ কোনো কল আসে, তাহলে কী হবে। পরে সেটা দেখে নিতে পারবেন। কারণ পাঁচ মিনিটের জন্য ‘সোশ্যাল’ হতে গিয়ে দুই ঘণ্টা কোথা দিয়ে হারিয়ে যাবে, বুঝতেও পারবেন না।
৬. ‘পমোডোরো’ ব্যবহার করুন। পমোডোরো হচ্ছে এমন একটি পদ্ধতি, যেখানে মনোযোগের ব্যাপারে সাহায্য করা হয়। প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থীর ওপর পরীক্ষা চালিয়ে উনিশ শতকের শুরুতে ফ্রান্সিসকো সিরলো এ পদ্ধতি তৈরি করেন, যেখানে ২৫ মিনিট টানা কাজ করবেন বা পড়বেন, পরের ৫ মিনিট বিরতি নেবেন, এভাবে চারবার ২৫ মিনিট হওয়ার পর ১৫ মিনিট বিরতি নিন। এতে মনোযোগও থাকে, আবার বিরক্তিও আসে না, আবার পড়াটাও বেশ ভালো মনে থাকে। মোবাইল ফোন, কম্পিউটারে এ ধরনের অনেক অ্যাপ ও সফটওয়্যার পাওয়া যায়।
৭. অনেকেই অভিযোগ করেন, ‘ব্রেন ভালো না, পড়া মনে থাকে না।’ সত্যি বলতে একবার পড়লেই পড়া মস্তিষ্কে গেঁথে যাবে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এটা একেবারেই সম্ভব নয়। একই জিনিস বারবার, শব্দ করে পড়তে হবে এবং লিখে লিখে দাগিয়ে পড়তে হবে, চাইলে রংবেরঙের মার্কার হাইলাইটার ব্যবহার করা যেতে পারে, পড়ার পাশাপাশি যদি চিত্র থাকে, সেটা আরও ভালো কাজে দেবে, কারণ ভিজ্যুয়াল মেমোরি মস্তিষ্কে বেশি দিন থাকে।