নতুন কর অর্থবছর ২০২৫-২৬ শুরু হয়েছে। অর্থবছরের প্রথম দিনে রেকর্ডসংখ্যক আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন করদাতারা। অনলাইনে ই-রিটার্ন দাখিল কার্যক্রমের উদ্বোধনের দিনে ১০ হাজার ২০২টি রিটার্ন জমা পড়েছে। অনলাইনে গত সোমবার ই-রিটার্ন দাখিল কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) জনসংযোগ কর্মকর্তা আল আমিন শেখ গতকাল মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘গত বছর একই কার্যক্রমের প্রথম দিনে ই-রিটার্ন দাখিল করেন মাত্র ২ হাজার ৩৪৪ জন। এ বছর তা বেড়ে হয়েছে প্রায় পাঁচগুণ। গত কর বছরে অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ১৭ লাখ অতিক্রম করে। আশা করছি, এবারে তা ছাড়িয়ে যাবে।’
এনবিআরের সাম্প্রতিক আদেশ অনুযায়ী, ৬৫ বছর বা তদুর্ধ্ব বয়সি, শারীরিকভাবে অক্ষম, প্রবাসী বা মৃত করদাতার আইনি প্রতিনিধিকে ছাড়া দেশের সব ব্যক্তি শ্রেণির করদাতার জন্য ই-রিটার্ন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যারা নিবন্ধনসংক্রান্ত জটিলতায় অনলাইন রিটার্ন দাখিল করতে পারছেন না, তারা যথাযথ আবেদন করে সংশ্লিষ্ট কর অফিসের অনুমোদনে পেপারে রিটার্ন জমা দিতে পারবেন।
বর্তমানে করদাতারা ঘরে বসে বিকাশ, নগদ, রকেট, ব্যাংক ট্রান্সফার, ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড ইত্যাদির মাধ্যমে কর পরিশোধ করে, স্বয়ংক্রিয়ভাবে রশিদ ও আয়কর সনদ সংগ্রহ করতে পারছেন। করদাতাদের সুবিধার্থে এনবিআরের কলসেন্টার ও অনলাইন সাপোর্ট টিম ২৪ ঘণ্টা কাজ করছে। অনলাইন রিটার্ন দাখিলের ওয়েবসাইট: www.etaxnbr.gov.bd।
এনবিআর জানায়, এনবিআর অটোমেশনের আওতায় অনলাইনে রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়ার পদক্ষেপ হিসেবে করদাতাদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এবং স্বতঃস্ফূর্ত রিটার্ন দাখিলে করদাতাদের উদ্বুদ্ধ করেছে। করদাতাদের নিরবচ্ছিন্ন সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে সারা বছর ধরে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল এবং অনলাইনে তাৎক্ষণিক আয়কর সনদ প্রদান অব্যাহত ছিল, যা চলমান থাকবে।
সেই সঙ্গে রিটার্ন দাখিলের পর করদাতা কর্তৃক রিটার্নে কোনো ভুলত্রুটি পরিলক্ষিত হলে আয়কর আইন ২০২৩ এর ১৮০(১) ধারা অনুযায়ী মূল রিটার্ন দাখিলের ১৮০ দিনের মধ্যে ১৮০(২) ধারায় ঘরে বসেই সহজে অনলাইনে সংশোধিত রিটার্ন দাখিলের সুযোগ অব্যাহত থাকবে।