রাজধানীর কুড়িলের ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ২০তম জাতীয় ফার্নিচার মেলা শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার আইসিসিবির রাজদর্শন হলে এ মেলার উদ্বোধন করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। ‘আমার দেশ, আমার আশা দেশীয় ফার্নিচারে সাজাবো বাসা’ সেøাগানে এ মেলার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতি। মেলা চলবে আগামী ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বসিরউদ্দীন বলেন, দেশের আসবাবপত্র শিল্পের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। এ শিল্পের উন্নয়নে বিনিয়োগ আরও বাড়াতে হবে। এ সময় তিনি দেশের সম্পদ ও সুযোগকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে দ্রুততম সময়ে বৈশ্বিক আসবাবপত্রের বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান আরও শক্তিশালী করতে উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আসবাবপত্র শিল্পের বিকাশ এবং রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বিগত সরকারের অর্থনৈতিক বুদ বুদ তৈরি করেছিল, যা কর্মসংস্থান না করলেও ব্যাংকের ব্রাঞ্চসহ কিছু অফিস বেড়েছিল। সঙ্গত কারণেই বর্তমান সরকারকে অর্থনীতিতে সংকোচনমূলক নীতি গ্রহণ হয়েছিল। নয়তো অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াত না। ফার্নিচারের ফাংশনাল ও এসথেটিক এট্রিবিউট হচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় উদ্ভাবন হচ্ছে না। নীতিগতভাবে সরকার যত আধুনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার; তা করছে। ব্যবসায়ীদের দরকার উদ্ভাবন বাড়ানো। ফার্নিচার শিল্পের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নতুন নতুন বাজার খুঁজতে কাজ করছে। এই শিল্পে নান্দনিকতা ও রুচির বহিঃপ্রকাশ আছে। তা নিয়ে কাজ করতে হবে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘ফার্নিচারের দামের জন্য নয়, উদ্ভাবনের জন্য ক্রেতারা আমাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। আমাদের উচিত হবে ফার্নিচার শিল্পে উদ্ভাবনী সক্ষমতা বাড়ানো। আমরা কিছু দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। নিশ্চিত করে বলতে পারি, তা ফার্নিচার শিল্পের জন্য সুযোগ তৈরি করবে। বিএফআইওএর চেয়ারম্যান সেলিম এইচ রহমান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।’
এ সময় রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ এবং বাংলাদেশ ফার্নিচার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. কে এম আখতারুজ্জামান বিশেষ অতিথি ছিলেন। আয়োজকেরা জানান, দেশের ফার্নিচার শিল্পের সবচেয়ে বড় আয়োজন। মেলাটি কনভেনশন সেন্টারটির গুলনকশা (হল-১), পুষ্পগুচ্ছ (হল-২) এবং রাজদর্শন (হল-৩) হলে চলছে।
এবারের মেলায় মোট ৪৮টি শীর্ষস্থানীয় ফার্নিচার কোম্পানি অংশ নিচ্ছে। অংশগ্রহণকারীরা সর্বাধুনিক নকশা ও পণ্যের প্রদর্শনী করবে ২৭৮টি স্টলে। অংশগ্রহণকারী উল্লেখযোগ্য ব্র্যান্ডের মধ্যে রয়েছে আখতার, হাতিল, ব্রাদার্স, নাদিয়া, আয়ত, ওমেগা, জেএমজি, নাভানা, অ্যাথেনাস, পারটেক্স, রিগ্যাল ও লেগাসি।
গতকাল মেলার উদ্বোধনী দিনে শিশুদের নিয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এতে ২০ জন শিশু-শিশুকে পুরস্কৃত করা হবে। মোট পুরস্কারের অর্থমূল্য প্রায় দুই লাখ টাকা। মেলার সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি সেন্টার। পার্টনার হিসেবে থাকছে অ্যাকসেস ইনফোটেক।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন