বাংলা সিনেমা জগতে বেশ পরিচিত নাম আব্দুল আজিজ। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার তিনি। তবে এই পরিচয়ের বাইরে তিনি রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের শীর্ষ ঋণখেলাপিদের একজন। আজিজ এবং তার ভাইয়ের মালিকানাধীন ক্রিসেন্ট গ্রুপের প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার পুরোটাই এখন খেলাপি।
তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে জনতা ব্যাংক, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং দেশের একজন চিত্রনায়িকা। তবে এবার যে তথ্য সামনে এসেছে তা পিলে চমকে উঠার মতো। আব্দুল আজিজ, তার দুই মেয়ে এবং বড় মেয়ের জামাইয়ের নামে ১৫৯ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুঁজে পেয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বিএফআইইউ।
দেশ থেকে ৪১৭ কোটি টাকা পাচারের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ দুবাইয়ে একটি নিবন্ধিত কোম্পানি খোলার সুষ্পষ্ট প্রমাণ পেয়েছে সংস্থাটি। দেশটিতে তিনটি ব্যাংক হিসাব খুলে বুর্জ খলিফা এবং পাম জুমেইরা নামক কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জে কেনা হয়েছে একাধিক ফ্ল্যাট।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী পরিস্থিতিতেও বহাল তবিয়তে রয়েছেন আব্দুল আজিজ। একাধিক মামলা দায়ের হলেও আব্দুল আজিজ থেকে গেছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। আদালতের পক্ষ থেকে বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলে কার্যকর হয়নি সেটিও। স্বাধীনভাবেই ঘুরছেন দেশ-বিদেশে।
জানা যায়, দেশের বড় ঋণখেলাপিদের বেশির ভাগই এখন কারাগারে, নয়তো দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। কিন্তু এ তালিকার শীর্ষস্থানীয়দের অন্যতম হয়েও আব্দুল আজিজ সবসময় ক্ষমতার কেন্দ্রে থেকেছেন। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের সঙ্গে দহরম-মহরম ছিল আব্দুল আজিজের। ঋণখেলাপের ঘটনায় গত কয়েক বছর কিছুটা চাপে থাকার পর সম্প্রতি আবারও চলচ্চিত্র অঙ্গনে সরব হওয়ার চেষ্টা করছেন আব্দুল আজিজ। ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন স্ট্যাটাস দিচ্ছেন হরহামেশা। সর্বশেষ গত এপ্রিল মাসেও একটি সিনেমার প্রচারে নায়িকাদের বিভিন্ন স্ট্যাটাস শেয়ার দিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও জনতা ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আব্দুল আজিজ ও তার বড় ভাই এমএ কাদেরের মালিকানাধীন ক্রিসেন্ট গ্রুপের পাঁচটি কোম্পানির নামে জনতা ব্যাংকের ঋণ রয়েছে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা রয়েছে রিমেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের নামে। এ কোম্পানির কর্ণধার হলেন আব্দুল আজিজ। আর গ্রুপটির অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে ক্রিসেন্ট লেদার প্রডাক্ট লিমিটেডের নামে ১ হাজার ২৯৬ কোটি, রূপালী কম্পোজিট লিমিটেডের নামে ১ হাজার ২৩৯ কোটি, লেক্সকো লিমিটেডের নামে ৫১৪ কোটি ও ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ লিমিটেডের নামে ২৩১ কোটি টাকার ঋণ রয়েছে।
এসব ঋণের প্রায় সবই ২০২০ সালের আগে খেলাপি হয়েছে। মন্দ মানের খেলাপি হওয়ায় এ ঋণের ওপর সুদ আরোপ বন্ধ রয়েছে। সে হিসেবে সুদসহ বর্তমানে ক্রিসেন্ট গ্রুপের ঋণের পরিমাণ ৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এ ঋণের বিপরীতে জনতা ব্যাংকের কাছে জামানত রয়েছে মাত্র ৫৭৭ কোটি টাকার জমি ও স্থাপনা। ভুয়া রপ্তানির নথিসহ নানা প্রতারণার মাধ্যমে ব্যাংকটি থেকে এ অর্থ বের করে নেওয়া হয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তে উঠে এসেছে।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষে পরিবর্তন আনে সরকার। ব্যাংকটির দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘আব্দুল কাদের জামিন পাওয়ার সময় আদালত যেসব শর্ত দিয়েছিল, তার কোনোটিই ক্রিসেন্ট গ্রুপ পালন করেনি। আর আব্দুল আজিজ তো সবসময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকেছে। ব্যাংকের পক্ষ থেকে ঋণটি পুনঃতপশিল করার জন্য একাধিকবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছুই হয়নি।’
গতকাল শনিবার সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে জনতা ব্যাংকের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে বর্তমানে কিছুই বলতে পারব না।’
আব্দুল আজিজ ও আব্দুল কাদেরের মালিকানাধীন সবক’টি কোম্পানিই চামড়া শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এ দুই সহোদর ব্যবসায় এসেছিলেন পৈতৃক সূত্রে। রাজধানীর হাজারীবাগে তার পিতার ট্যানারি ব্যবসা ছিল। তবে পিতার অবর্তমানে তাদের এ ব্যবসা ফুলেফেঁপে ওঠে ২০১২ সালের পর। ২০১৩ সালে জনতা ব্যাংক থেকে ক্রিসেন্ট গ্রুপের নামে বড় অংকের ঋণ মঞ্জুর হয়।
এরপর ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে ব্যাংকটি থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা বের করে নেয় গ্রুপটি। আবার ভুয়া রপ্তানি দেখিয়ে প্রণোদনা হিসেবে সরকারের কোষাগার থেকে দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে গ্রুপটির বিরুদ্ধে।
রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক থেকে ক্রিসেন্ট গ্রুপের নামে যখন হাজার হাজার কোটি টাকার ঋণ বের হচ্ছিল, ঠিক একই সময় দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনে বড় নাম হয়ে উঠছিল জাজ মাল্টিমিডিয়া। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার হিসেবে আব্দুল আজিজ ছিলেন আলোচনার কেন্দ্রে। বাংলা সিনেমার উঠতি নায়ক-নায়িকারা ভিড় করেন জাজ মাল্টিমিডিয়ায়। আর নিজেকে ধনকুবের দাবি করে দুই হাতে টাকা ওড়াতে থাকেন আব্দুল আজিজ।
জাজ মাল্টিমিডিয়ার ব্যানারে প্রথম সিনেমা মুক্তি পায় ২০১২ সালে। সিনেমার নাম ছিল ‘ভালোবাসার রঙ’। এর পরের বছর ২০১৩ সালে মুক্তি পায় প্রতিষ্ঠানটির চারটি নতুন সিনেমা। আর ২০১৪ সালে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় সাতে। ২০১৫ সাল থেকে ভারত-বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত চলচ্চিত্র মুক্তি দেয়া শুরু করে জাজ মাল্টিমিডিয়া। এসকে মুভিজ, স্টার স্টুডিওস, ভায়াকম১৮স্টুডিওস, যশরাজ ফিল্মস, ধর্ম প্রডাকশন্স, কোনিডেলা প্রডাকশন কোম্পানি, মৈত্রী মুভি মেকারসের মতো ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগী হিসেবে এসব চলচ্চিত্র মুক্তি দেওয়া হয়।
প্রতিষ্ঠানটি এখন পর্যন্ত যেসব সিনেমার পরিবেশক হিসেবে কাজ করেছে, সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্যগুলো হলোÑ কৃষ্ণপক্ষ (২০১৫), বসগিরি (২০১৬), ইয়েতি অভিযান, নাকাব (২০১৭), দেবী (২০১৮), লাল মোরগের ঝুঁটি (২০২১), হাওয়া, দামাল (২০২২) ইত্যাদি। তবে জাজ মাল্টিমিডিয়া পরিবেশিত সিনেমাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো ২০২৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘মুজিব: মেকিং অব আ নেশন’।
ভারতীয় চলচ্চিত্রকার শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত সিনেমাটিতে নাম ভূমিকায় অভিনয়কারী অভিনেতা মাত্র ১ টাকা পারিশ্রমিকের বিনিময়ে অভিনয় করে বেশ আলোচনায় এসেছিলেন। যদিও এর বদৌলতে পূর্বাচলের প্লটসহ সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন তিনি। অভিযোগ আছে, সিনেমাটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরও অনেকেই এমন নানা সুবিধা পেয়েছেন।
আর জাজ মাল্টিমিডিয়ার প্রযোজনায় বানানো চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্যগুলো হচ্ছে অগ্নি (২০১৪), অগ্নি ২ (২০১৫), নবাব (২০১৭), দহন (২০১৮), প্রেম আমার ২ (২০১৯), জ্বিন (২০২৩), পটু (২০২৪), জ্বিন ৩ (২০২৫) ইত্যাদি। এর মধ্যে দহন সিনেমাটি মুক্তি পায় ২০১৮ সালের ৩০ নভেম্বর। সে সময় নির্বাচনকে সামনে রেখে তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা ক্রমাগত বিরোধী পক্ষের বিরুদ্ধে বেশ জোরেশোরে ‘আগুন সন্ত্রাসের’ অভিযোগ তুলছিলেন। ঠিক এমন প্রেক্ষাপটে জাজ মাল্টিমিডিয়ার প্রযোজনা ও পরিবেশনায় মুক্তি পায় ‘দহন’। এ সিনেমারও মূল উপজীব্য ছিল ‘আগুন সন্ত্রাস’।
চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্টদের ভাষ্যমতে, জনতা ব্যাংক লুটের টাকায়ই বেড়ে উঠেছিল জাজ মাল্টিমিডিয়া। ব্যাংক থেকে টাকা বের হওয়া বন্ধ হয়ে গেলে জাজের ব্যানারে চলচ্চিত্র নির্মাণের গতিও কমে আসে। লুটের টাকা যেভাবে সিনেমা পাড়ায় এসেছে, ঠিক একইভাবে ব্যাংক থেকে টাকা বের করতে সিনেমা পাড়া ব্যবহৃত হয়েছে। আব্দুল আজিজ এখন নতুন করে সরব হওয়ার চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রিমেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আব্দুল আজিজের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এসএমএস দিলেও কোনো উত্তর দেননি। ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে এসএমএস দিলেও কোনো উত্তর দেননি তিনি।
মামলা হলেও জামিন ছাড়াই ঘুরে বেড়ান আজিজ
আব্দুল আজিজসহ তার পরিবারের কাছ থেকে টাকা আদায়ে ২০১৯ সালের শুরুতে পাঁচটি মামলা করে জনতা ব্যাংক। এর মধ্যে চারটি মামলায় ক্রিসেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান এমএ কাদেরকে প্রধান বিবাদী করা হয়। অন্য মামলার প্রধান বিবাদী করা হয় রিমেক্স ফুটওয়্যার ও জাজ মাল্টিমিডিয়ার চেয়ারম্যান মো. আব্দুল আজিজকে। তার স্ত্রী লিটুল জাহান মীরাও মামলার আসামি হিসেবে রয়েছেন।
একই বছর আবদুল আজিজসহ তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ৯১৯ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে মামলা করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। আর ১ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আরো পাঁচটি মামলা করে দুদক। এসব মামলায় তার মা, ভাই, ভাবি, স্ত্রী, ভাতিজিকেও আসামি করা হয়। এসব মামলায় কেবল আব্দুল কাদের গ্রেপ্তার হয়ে এক বছর কারাভোগ করেন। আর ক্ষমতার জোরে আব্দুল আজিজ জামিন ছাড়াই দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়ান বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
সম্প্রতি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার স্বত্বাধিকারী আবদুল আজিজের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে মামলা করেছেন ‘পাপ’ সিনেমার চিত্রনায়িকা জাকিয়া কামাল মুন। ৪০৬, ৪২০ ও ৫০৬ ধারায় এই প্রযোজকের বিরুদ্ধে মামলা করেন এই উঠতি নায়িকা। এই মামলায় আলোচিত এই প্রযোজকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
এরপর থেকেই আত্মগোপনে আব্দুল আজিজ। মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে লিখিত চুক্তির মাধ্যমে ‘পাপ’ সিনেমাটি নির্মাণে সহযোগিতার জন্য আজিজকে এককালীন ৬০ লাখ টাকা দেন মুন। ওই বছরের মার্চের মধ্যেই সিনেমার কাজটি শেষ করার কথা ছিল।
অঙ্গীকারনামার শর্ত মোতাবেক আজিজ বিনিয়োগকৃত টাকা ফেরত দেননি। বারবার আইনজীবীর মাধ্যমে নোটিশ পাঠানোর পরও তিনি উপেক্ষা করেছেন। উল্টো গত বছরের মে মাসে ‘পাপ’ সিনেমাটি একটি ওটিটির কাছে ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন।
পরিবারসহ ৪১৭ কোটি টাকা পাচার
আব্দুল আজিজ এবং তার দুই মেয়ে এবং বড় মেয়ের জামাইয়ের নামে ১৫৯ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুঁজে পেয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বিএফআইইউ। এরমধ্যে বড় মেয়ের জামাইয়ের নামেই রয়েছে ৮২ ব্যাংক হিসাব।
বিএফআইইউ’র তদন্তে দেখা গেছে, ২০২৩ সালের শুরুর দিকে ৪৩৭ কোটি টাকা ফান্ড ট্রান্সফার করা হয় বড় মেয়ের জামাইয়ের ব্যাংক হিসাবে। এরপর ৪৭১ কোটি টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে উত্তোলন করা হয়। হুন্ডির মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ দুবাইয়ের তিনটি ব্যাংক হিসাবে জমা হয় সেই টাকা। বড় মেয়ের নামে নিবন্ধিত একটি কোম্পানি খোলা হয় আবুধাবিতে।
এরপর দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা এবং পাম জুমেইরা নামক কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জে কেনা হয় একাধিক ফ্ল্যাট। এরমধ্যে বড় মেয়ের নামে তিনটি এবং আব্দুল আজিজের নামে তিনটি ফ্ল্যাট কেনা হয়। আব্দুল আজিজের নামে একটি ব্যাংক হিসাবে বর্তমানে ৬৬ হাজার মার্কিন ডলার সমতুল্য মুদ্রা জমা রয়েছে বলে জানা গেছে। 
  

 
                             
                                    


-20250501061650.webp)
 সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন 
                                     
                                     
                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                             
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
       
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন