ঢাকা শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

১০ হাজার প্রবাসীকে ঋণ দিয়েছে সিটি ব্যাংক

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০২৫, ০২:২৬ পিএম
মাসরুর আরেফিন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও, সিটি ব্যাংক পিএলসি। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

প্রবাসীর পাঠানো রেমিট্যান্সই ঋণ পাওয়ার মূল মাপকাঠি। আর প্রবাসীর মনোনীত ব্যক্তি পাচ্ছেন সেই ঋণ। এ জন্য কোনো ট্রেড লাইসেন্সও লাগছে না। এমন ধারণা নিয়ে নতুন ধারার ঋণপণ্য নিয়ে সফলতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে বেসরকারি খাতের দি সিটি ব্যাংক পিএলসি। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘রেমিট্যান্স ঋণ’। শুধু সিটি ব্যাংকের মাধ্যমে আয় পাঠানো প্রবাসী নন, অন্য ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসী আয় গ্রহণ করা স্বজনেরাও এ ঋণ পাচ্ছেন।

জানা যায়, ২০২০ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষ এ ঋণপণ্য চালুর অনুমোদন দেয়। ফলে ব্যাংকটি প্রবাসী আয়ের ওপর নির্ভর করে তার মনোনীত প্রতিনিধিকে গৃহপালিত পশু ক্রয়, কৃষি উন্নয়ন ও কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়, গৃহ নির্মাণ ও মেরামতের জন্য ঋণ দেওয়া শুরু করেছে।

সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা ও ফিলিপাইনে প্রবাসী আয়ের ওপর নির্ভর করে ঋণ দেওয়া হয়। এ জন্য আমরাও এমন পণ্য চালু করেছি। এতে দেশে থাকা প্রবাসীর স্বজনদের ঋণ পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে।’

মাসরুর আরেফিন বলেন, ‘বিভিন্ন তথ্যভান্ডার থেকে প্রবাসীর তথ্য যাচাই করা যায়। এর ভিত্তিতে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। সিটি ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসী আয় এলে ঋণের সুদ ২ শতাংশ কম নেওয়া হচ্ছে। সিটি ব্যাংকের এজেন্ট পয়েন্ট ও এসএমই শাখা থেকে এ ঋণ মিলছে।’

তিনি বলেন, ‘১০ হাজারের বেশি অভিবাসীদের পরিবারের উন্নয়নের বিশেষ ভূমিকা রেখেছে ‘সিটি রেমিট্যান্স লোন’। বর্তমানে ১ হাজার কোটি টাকারও বেশি রেমিট্যান্স লোন দিয়ে প্রান্তিক পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে সক্ষম হয়েছি আমরা।’

কারা ঋণ পাবেন

*প্রবাসীর মনোনীত প্রতিনিধি
*প্রবাসী আয়ের ওপর নির্ভর করে ঋণ দেওয়া হবে

কোন খাতে ঋণ দেওয়া যাবে

*গৃহপালিত পশু ক্রয়
*কৃষি উন্নয়ন ও কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়
*গৃহ নির্মাণ ও মেরামত কোথায় মিলছে ঋণ

কোথায় মিলছে ঋণ

*সিটি ব্যাংকের সব এজেন্ট পয়েন্ট
*এসএমই শাখা