স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার কাছে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। এবার তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হারের শঙ্কায় লিটন কুমার দাসরা। এরই মধ্যে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দাপুটে জয় তুলে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে লঙ্কানরা। আজ ডাম্বুলায় সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ রয়েছে। এই ম্যাচ বাংলাদেশের জন্য সিরিজ বাঁচানোর লড়াই। কেননা, এই ম্যাচে হেরে গেলেই এক ম্যাচে হাতে রেখে সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করবে শ্রীলঙ্কা। অবশ্য আজ সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরতেই মাঠে নামবে বাংলাদেশ। দুই দলের টি-টোয়েন্টি ম্যাচ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হবে।
টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ব্যাটিংয়ে আলো ছড়াতে পারছে না বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে দেড়শ ছাড়ানো স্কোর গড়লেও জয়ের জন্য সেটি যথেষ্ট ছিল না। উদ্বোধনীতে দারুণ সূচনা হলেও মিডল অর্ডারের ব্যর্থতার কারণে বড় স্কোর গড়তে পারেনি দল। টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাটিং করতে পারেননি তাওহিদ হৃদয় ও মেহেদী হাসান মিরাজরা। শেষ দিকে শামীম পাটোয়ারী ঝোড়ো ব্যাটিং করেছেন। তবে তাকে কেন মিরাজের আগে ব্যাটিংয়ে পাঠানো হয়নি, এ নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশের বোলিংও ছিল বিবর্ণ। বিশেষ করে পেসাররা জ¦লে উঠতে পারেননি। তাসকিন আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিব দলকে ব্রেক থ্রু এনে দিতে পারেননি। সব মিলে গত ম্যাচের ভুলত্রুটি শুধরে সিরিজে ফেরার চেষ্টায় থাকবেন লিটনরা। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে পরিবর্তন আসতে পারে। বাঁ ঊরুর মাংসপেশিতে চোট পাওয়ায় প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে খেলতে পারেননি জাকের আলী অনিক। দ্বিতীয় ম্যাচে তার ফেরার সম্ভাবনা প্রবল। তবে তাকে ফিরতে হলে উইকেটরক্ষক হিসেবেই খেলতে হবে। কেননা, কিপিং ছাড়া জাকের ফিল্ডিং করতে পারবেন না বলে চিকিৎসকেরা সতর্ক করে দিয়েছেন। গত ম্যাচে কিপিং করেছেন অধিনায়ক লিটন। তার জায়গায় জাকের কিপিং করবেন কি না, তা
নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে।
রনগিরি ডাম্বুলা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যাটিং-সহায়ক উইকেটই হতে পারে। গত বছর এই মাঠে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দুটি ২০০ ছাড়ানো স্কোর দেখা গেছে। ২০০-এর কাছাকাছি স্কোর হয়েছে বেশ কিছু ইনিংসে। ফলে যে দল বড় স্কোর গড়বে, তাদের জয়ের সম্ভাবনা বেশি থাকবে। অন্যদিকে, স্পিন ভালো ধরতে পারে ডাম্বুলার উইকেটে। তবে বাংলাদেশের জন্য স্বস্তির বিষয় যে, লঙ্কান লেগ স্পিনার ইনজুরির কারণে সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন। তার পরও শ্রীলঙ্কার বোলিং ভয়ংকরই। তাদের সামনে যে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানের আবারও ভালো পরীক্ষা দিতে হতে পারে, সেটি বলার অপেক্ষা রাখে না। অন্যদিকে, ডাম্বুলার মাঠে আগে কখনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নেই বাংলাদেশের। সফরকারীদের জন্য নতুন ভেন্যু এটি। তাই চ্যালেঞ্জটাও বেশি থাকবে বাংলাদেশিদের জন্য। অবশ্য এই মাঠে আগে পাঁচটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। ওয়ানডের অভিজ্ঞতা কাজে লাগতে পারে তাদের। গত ম্যাচে হতাশা ভুলে সিরিজে সমতায় ফিরবে, নাকি আবারও সিরিজ হারের হতাশায় পুড়বে বাংলাদেশ, সেটিই এখন দেখার বিষয়।