ঢাকা শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫

তৃণমূলে চাঁদাবাজি বন্ধে ব্যর্থ বিএনপি

মেহেদী হাসান খাজা
প্রকাশিত: জুলাই ২৪, ২০২৫, ১১:২১ পিএম
ছবি- রূপালী বাংলাদেশ গ্রাফিক্স

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। চাঁদা দাবি, বাজার দখলসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছেন তারা। দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার কথা বললেও তৃণমূলে নেতাকর্মীদের অপরাধমূলক কর্মকা- নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না বিএনপি।

ঘটছে দখল, চাঁদাবাজি, সংঘাতসহ খুনের মতো ঘটনাও। এসব অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগে দল থেকে অনেক নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করছে দলটি। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হাতে প্রায় প্রতিদিনই কেউ না কেউ গ্রেপ্তার হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আওয়ামী লীগের পতনের পর দেশজুড়ে দলটির নেতাকর্মীদের চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে একেবারেই ব্যর্থ বিএনপি।

এদিকে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে প্রকৃত অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর আইনি পদক্ষেপ দেখতে চায় বিএনপি। দলটির একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতা বলছেন, যে অন্যায় করে, সে মূলত অপরাধী। সে দলের নেতাকর্মী হোক বা অন্য কেউ। দলের সঙ্গে তার কী সম্পর্ক, তাতে কিছু আসে যায় না। অন্যায়-অপকর্ম যে করবে, তার বিচার হতে হবে আইনের ভিত্তিতে। কেউ অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকলে বিএনপির পক্ষ থেকে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, যা অব্যাহত রয়েছে।

পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও আহ্বান জানান তারা। এ অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিতে অপরাধীদের ধরতে সরকারের ‘চিরুনি অভিযান’কে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি।  এ ক্ষেত্রে সরকার ও প্রশাসনকে সহযোগিতা করতেও প্রস্তুত আছে দলটি। তবে এ অভিযান যেন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কিংবা বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে না হয়, ‘প্রকৃত’ অপরাধীরা যেন ধরা পড়ে, তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।

গত ৫ আগস্টের পর থেকে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী তথা অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে বিএনপি। কেউ অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকলে দলের পক্ষ থেকে কোনো রকম প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে না। কারো বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে ৫ আগস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত বিএনপি এবং এর বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের প্রায় ৬ হাজারের বেশি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছে দলটি। তবুও চাঁদাবাজি বন্ধ না হওয়ায় ব্যর্থতার দায়ও স্বীকার করেছে বিএনপি। 

এ বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করার অভিযোগে গত কয়েক মাসে প্রায় ৬ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপি গণতন্ত্রের দল। গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ে বিএনপি কখনোই আপস করেনি। বিএনপি কখনোই সংবিধান ছুড়ে ফেলার পক্ষে নয়। আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াÑ দলীয় প্রেরণার মূল উৎস, যিনি গণতন্ত্রের অস্তিত্ব বারবার রক্ষা করেছেন।’

সংগঠনের শৃঙ্খলা রক্ষায় দলীয় নীতিতে কোনো ছাড় নেই জানিয়ে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘বিভিন্ন জেলায় সংগঠনের গঠনমূলক কাজের পাশাপাশি শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী কয়েক হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে প্রশাসনিক ও সাংগঠনিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।  শৃঙ্খলা ও নীতিগত কঠোরতার বার্তা দিয়ে বিএনপি ভবিষ্যতের আন্দোলন ও দল গঠনে আরও সুসংগঠিত হতে চায় বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।  

এদিকে আসন্ন নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন ইস্যুতে বর্তমানে কয়েকটি দল এবং গোষ্ঠী বিএনপিকে চাপে ফেলার চেষ্টা চলছে বলে মনে করছে বিএনপি। বিশেষ করে মিটফোর্ডে ভাঙারি ব্যবসায়ী লালচাঁদ ওরফে মো. সোহাগ হত্যাকা-কে পুঁজি করে বিএনপিকে ঘায়েল করার চেষ্টা হচ্ছে এ ঘটনাকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হিসেবেই দেখছে দলটি। বিএনপি নেতারা বলছেন, শুরু থেকেই যেকোনো অপকর্মের বিরুদ্ধে তারা অত্যন্ত সোচ্চার। কিন্তু বিএনপিকে ঘায়েল কিংবা বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট- সর্বোপরি সামগ্রিক পরিস্থিতিকে ভিন্নদিকে প্রবাহিত করার পাশাপাশি নির্বাচন বিলম্বিত করতেই একটি মহল এসব ইস্যু নিয়ে মাঠে নেমেছে।

এদিকে ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের চারজনকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে বিএনপি। বহিষ্কৃতরা হলেনÑ যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক জলবায়ুবিষয়ক সহ-সম্পাদক রজ্জব আলী (পিন্টু), ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবাহ করিম (লাকি), চকবাজার থানা ছাত্রদলের সদস্যসচিব অপু দাস ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কালু ওরফে স্বেচ্ছাসেবক কালু।

বিএনপি নেতাদের ভাষ্য, মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডের পর ওই ঘটনায় বিএনপিকে দায়ী করে কিছু রাজনৈতিক দল ও সংগঠন দেশের বিভিন্ন স্থানে মিছিল-মিটিং করেছে। বিএনপিকে ইঙ্গিত করে আরেকটি ৫ আগস্ট ঘটনার হুমকি-ধমকিও দিচ্ছে। বিএনপি মনে করছে, যারা দেশে গণতন্ত্র চায় না, অন্য কোনো উদ্দেশ্য হাসিল করতে চায়, তারাই এসব কথা বলছে।

বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তারা সজাগ এবং সতর্ক রয়েছেন। গণঅভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনো বিভেদ তৈরি কিংবা মিত্রদের মধ্যে সংঘাতের সৃষ্টি, সর্বোপরি গণঅভ্যুত্থানের ঐক্য বিনষ্ট হোকÑ এর কোনোটাই তারা চান না। বিএনপি মনে করছে, রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে প্রস্তুতি নেওয়া এবং নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের গণতন্ত্রে উত্তরণের পথ সহজ করা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কোনো চাঁদাবাজি অথবা দুষ্কৃতকারীর অপরাধের দায় দল নেবে না। বরং বিএনপি অপরাধীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা তো নেবেই এবং প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে দল বাদী হয়ে মামলাও করবে।’

চলতি মাসের ৩ তারিখ রাজধানীর মহাখালীর হোটেল জাকারিয়ায় যুবদল নেতা মনির হোসেন ভিআইপি রুম না পাওয়ায় কর্মীদের নিয়ে ভাঙচুর চালান। এ সময় নারীদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগও ওঠে তার বিরুদ্ধে। বিষয়টি নজরে এলে শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও আদর্শবিরোধী কর্মকা-ের জন্য মনিরকে সংগঠনের সব ধরনের পদ থেকে অব্যাহতি এবং প্রাথমিক সদস্যপদও প্রত্যাহার করে নেয় যুবদল। নেতাকর্মীদের তার সঙ্গে দলীয় সম্পর্ক ছিন্ন এবং মনিরের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে পুলিশের প্রতি আহ্বান জানায় সংগঠনটি।

জিরো টলারেন্সে বিএনপি শুধু মনির হোসেন কিংবা যুবদল নয়, মূল দল বিএনপি থেকে শুরু করে প্রতিটি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন শৃঙ্খলা রক্ষায় দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে। কারণ হিসেবে দলটির দায়িত্বশীলরা বলছেন, ৫ আগস্টের পর থেকে সারা দেশে বিএনপির কিছু উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মী নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছেন। এসব ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা চালানো হয়। ফলে দেশে-বিদেশে বিএনপির ইমেজ ক্ষুণœ হচ্ছে।

এতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাই শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও ইমেজ নষ্টকারীদের বিরুদ্ধে বিএনপি জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। সূত্র মতে, আসন্ন নির্বাচন সামনে রেখে দলটি এখন বিভিন্ন পদ থেকে দুর্বৃত্তদের অপসারণে ‘শুদ্ধি অভিযান’ শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে।

জানা গেছে, স্থানীয় পর্যায়ে চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনগুলোর মধ্যে সংঘাত বাড়ছে। এর সঙ্গে টেন্ডার ও চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ এবং ক্ষমতার প্রতিযোগিতা নিয়েও দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছে।

সাম্প্রতিক সময়ের কয়েকটি ঘটনার কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। গত ৮ মার্চ চুয়াডাঙ্গায় টিসিবির পণ্যের কার্ড বিতরণ নিয়ে সদর উপজেলা ও দর্শনা থানার তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ইউনিয়নের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম নিহত হন এবং গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।

এ ছাড়া ১৮ মার্চ রাজশাহীর তানোরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত গানিউল হক নামের এক কর্মী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পাশাপাশি মার্চের শেষে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের বারইয়ারহাট এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত হন। এ ছাড়া জুলাইয়ের ১ তারিখে বরগুনার তালতলী উপজেলায় চাঁদাবাজির অভিযোগকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন। গত কয়েক মাসে এমন সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে বিভিন্ন জেলায়।

এ ছাড়া বিএনপির চাঁদাবাজির সাম্প্রতিক দুটি ঘটনাও বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে। ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে শরীয়তপুর রুটে চলাচল করা শরীয়তপুর সুপার সার্ভিস নামের একটি পরিবহন কোম্পানির কাছে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবির একটি অভিযোগ ওঠে চলতি মাসে। বাস মালিকদের দাবি, ‘পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে’ যাত্রাবাড়ী থানার যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি মুশফিকুর রহমান ফাহিম এবং তার অনুসারীরা ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।

তবে মুশফিকুর রহমান ফাহিম ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ৮ জুলাই থেকে তিন-চার দিন যাত্রাবাড়ী থেকে শরীয়তপুর সুপার সার্ভিসের বাস চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাসের কর্মচারীদেরও মারধর করার অভিযোগ ওঠে। যদিও ১২ জুলাই তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে বিজ্ঞপ্তি দেয় সংগঠনটি। এ ছাড়া চলতি মাসের ১৮ জুলাই ঢাকার আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুল হক দুলালসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, হত্যাচেষ্টা, অগ্নিসংযোগ, মারধর ও লুটপাটের অভিযোগে বাদী হয়ে মামলা করেন কানাডাপ্রবাসী মরিয়ম ইয়াসমিন।

তার প্রজেক্টে বিএনপি নেতা দুলালের নেতৃত্বে একাধিকবার হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেছিলেন তিনি। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিএনপি নেতা দুলাল দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক পরিচয় ও প্রভাব খাটিয়ে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও দখলবাজচক্র পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে।

মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) মতে, গত ১১ মাসে দেশজুড়ে ৩৪৯টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে ৮৭ জন নিহত এবং তিন হাজার ৯২৯ জন আহত হয়েছেন। বিএনপি এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলো সংঘটিত ৩২৩টি ঘটনার সঙ্গেই জড়িত ছিল। এসব ঘটনায় বিএনপির অন্তত ৭৭ জন কর্মী নিহত এবং ৪ হাজারের মতো আহত হয়েছেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আমরা দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিÑ অতীতে কোনো দল এত বড় তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। কোনো অন্যায়কারীর প্রশ্রয় বিএনপিতে হবে না।