রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি পারস্পরিক বোঝাপড়া থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১৫-১৬ বছর ধরে এত কথা বলেছি যে, এখন আর কথা খুঁজে পাই না। একটা কথা প্রায়ই হয়, রাজনীতিবিদরা সব নষ্টের গোড়া। তা সত্ত্বেও রাজনীতিবিদদের সব কাজ করতে হয় এবং এ কাজ সম্পাদন করতে গিয়ে অনেক কিছুই করতে হয়। তখন তারা জনগণের দ্বারা সমালোচিত হন। মির্জা ফখরুল বলেন, দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের পর এখন একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণের সুযোগ তৈরি হয়েছে। যারা বিপ্লব করবেন, তারা বিপ্লবী দল করবেন, বিপ্লবী সরকার গঠন করবেন, আমি সেটা বিশ্বাস করি। পাশাপাশি আমরা এটাও বিশ্বাস করি, জনগণের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে আমরা সরকার গঠন করব, প্রতিশ্রুত কাজ করব এবং আবার জনগণের কাছেই ফিরে যাব।
তিনি আরও বলেন, প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের চিন্তাধারার মধ্যেও পরিবর্তন আসে। সে পরিবর্তনের ফলে এমন একটি পরিস্থিতি আসে যে, রাষ্ট্রের উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক কাঠামো পরিবর্তন করতে হয় এবং সে পরিবর্তন ছাড়া রাষ্ট্রকে ধরে রাখা কঠিন হয়। তিনি বলেন, সরকারের মধ্যে আমার কিছু বন্ধু আছেন, যারা খালি বলেন যে সুযোগ পেলেই তো আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলো, আক্রমণ করো। আমি বলি, আক্রমণ তখনই করা হয় যখন তোমরা ব্যর্থ হও। ৫ আগস্টের পর ৭ তারিখে আমরা একটা সভা করি। সেখানে আমরা তিন মাসের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছিলাম। তখন আমাকে নিয়ে অনেক সমালোচনা করা হয়েছে। তবে এখন আপনারা বুঝতে পারছেন, সে সমালোচনাটা ভুল ছিল। কারণ আমাদের কথা ছিল, যে প্রকৃত ক্ষমতাধর, তার হাতেই ক্ষমতা দেওয়া হোক। মির্জা ফখরুল বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি পারস্পরিক বোঝাপড়া থাকতে হবে। তা না থাকায় আমরা কাদা ছোড়াছুড়ি করছি। যদিও গণতন্ত্রে কাদা ছোড়াছুড়ি থাকবেই। তবে বোঝাপড়াটা না থাকলে একটা তিক্ততা তৈরি হয়, যা ভবিষ্যতে সমস্যা সৃষ্টি করে।