শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৫, ১২:৩১ এএম

এডিবির প্রতিবেদন

এশিয়ায় খেলাপি ঋণের শীর্ষে বাংলাদেশ

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৫, ১২:৩১ এএম

এডিবি

এডিবি

বাংলাদেশ এখন এশিয়ার শীর্ষ খেলাপি ঋণের দেশে পরিণত হয়েছে। ২০২৪ সালে দেশের মোট বিতরণ করা ঋণের ২০ দশমিক ২ শতাংশই খেলাপি হয়ে গেছে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) সদ্য প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য বলা হয়েছে। 

‘নন-পারফর্মিং লোনস ওয়াচ ইন এশিয়া ২০২৫’ শীর্ষক এডিবির প্রতিবেদনে দেখা যায়, বাংলাদেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ২৮ শতাংশ বেশি। প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে এশিয়ার ‘সবচেয়ে দুর্বল ব্যাংকিং ব্যবস্থার দেশ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

শুধু এক বছরে বাংলাদেশে খেলাপি ঋণের হার বেড়েছে ১১ দশমিক ২ শতাংশ পয়েন্ট, যা বিশেষজ্ঞদের মতে অস্বাভাবিক। অন্যদিকে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা তাদের খেলাপি ঋণের অনুপাত কমাতে সক্ষম হয়েছে। নেপালে সামান্য বৃদ্ধি হলেও তা মাত্র শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ।

ভারতের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটি বড় ধরনের ব্যাংক সংস্কারের কারণে খেলাপি ঋণ ৩ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে নামিয়ে ২ দশমিক ৫ শতাংশে আনতে সক্ষম হয়েছে।

এডিবির তথ্যমতে, ২০২৩ সালে দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচ দেশের মোট খেলাপি ঋণ ছিল ৮৬ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার, যা এশিয়ার খেলাপি ঋণের ১২ দশমিক ৪ শতাংশ। এই অঙ্ক আগের বছরের তুলনায় কমেছে। তবে বাংলাদেশে পরিস্থিতি উল্টোÑ ২০২৩ সালে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১৫ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২০ সালের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। তখন খেলাপি ঋণের হার ছিল ৭ দশমিক ৭ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ৯ শতাংশে। এডিবি বলছে, এ অবস্থা প্রমাণ করে যে বাংলাদেশে ঋণ বিতরণে শৃঙ্খলার ঘাটতি রয়েছে এবং খেলাপি ঋণ আদায়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেই।

অর্থনীতিবিদদের মতে, দীর্ঘদিনের শিথিল নীতি, রাজনৈতিক প্রভাব ও পূর্ববর্তী সরকারের দায় এই সংকটকে তীব্র করেছে। তাদের ভাষায়, বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকৃত চিত্র প্রকাশ না করে রাজনৈতিক চাপে বড় ব্যবসায়ীদের ঋণ বারবার পুনর্গঠন করেছে, ফলে বাস্তব পরিস্থিতি আড়ালেই থেকে গেছে।

প্রতিবেদন আরও সতর্ক করেছে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা, বাণিজ্য দ্বন্দ্ব ও ভূরাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ভবিষ্যতে আবারও খেলাপি ঋণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। বিশেষ করে যেসব দেশ ঋণ ও বৈদেশিক বাণিজ্যের ওপর বেশি নির্ভরশীল, তাদের পরিস্থিতি সবচেয়ে নাজুক।

এডিবির পরামর্শ হলোÑ কঠোর আইন প্রণয়ন, কার্যকর বাজারব্যবস্থা গড়ে তোলা, দ্রুত নীতিগত পদক্ষেপ গ্রহণ এবং বিচারব্যবস্থাকে দক্ষ করার পাশাপাশি বাজারে স্বচ্ছতা ও বিনিয়োগকারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। তবেই এশিয়ায় খেলাপি ঋণের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!