মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৫, ১০:৫০ পিএম

বললেন হোসেন জিল্লুর রহমান

দেশের বেকারত্ব মহামারি পর্যায়ে পৌঁছে গেছে

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৫, ১০:৫০ পিএম

দেশের বেকারত্ব মহামারি পর্যায়ে পৌঁছে গেছে

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, আমাদের অর্থনীতির গতি নেই, ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি নেই। আমাদের দারিদ্র্যের হার এখন উল্টো পথে, সদ্য দেশের বেকারত্ব বেড়েছে, সেটা এখন মহামারি আকারে পৌঁছে গেছে। আর তৃতীয়ত, প্রাথমিকে ঝরে পড়ার হার বেড়েছে। আমাদের এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে এগুলো সাংঘর্ষিক, অসংগতিপূর্ণ।’ গতকাল সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম (বিবিএফ) আয়োজিত ‘বাণিজ্য যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের করণীয় ও এফবিসিসিআইয়ের ভূমিকা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এ  সময় তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আমাদের এ পুরোনো বয়ান এখন ফেলে দিতে হবে। এ দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তা গতিশীল বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় নগণ্য। বাংলাদেশের কথা যখন আমরা বলি, তখন খুব সহজেই আমরা আত্মতুষ্টির ট্র্যাপের মধ্যে ঢুকে যাই। আগেও গিয়েছি, এখনো যাচ্ছি। কিন্তু আমরা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছি, তার গতি খুব কম।’ 

তিনি বলেন, ‘আমরা বিগত ১৫ বছরে কর্তৃত্ববাদী শাসনে ভয়াবহ গোষ্ঠীতন্ত্র দেখেছি। তবে এ গোষ্ঠীতন্ত্র দমন করতে গিয়ে বর্তমান সরকার বেসরকারি ব্যবসায়ীদের কাঠগড়ায় তুলছে, সেটা ঠিক হচ্ছে না। আমাদের একটি নতুন প্রবৃদ্ধির চালক দরকার। যা আগামীর বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, অর্থনীতির চাকাকে শক্তিশালী করবে। সেটা পোশাকের বাইরে কৃষি, ওষুধ, আইটি, চামড়া বা অন্য কোনো খাত থেকে আবিষ্কার করতে হবে।’

হোসেন জিল্লুর আরও বলেন, ‘বৈশ্বিক অর্থনীতি এখন বড় পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। নতুন বিশ্বব্যবস্থা তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। বাংলাদেশকে যোগ্যতার সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে হবে। এখন আমাদের প্রবৃদ্ধির নতুন চালিকাশক্তি নিয়ে জোরালো আলোচনা শুরু করতে হবে। তৈরি পোশাক ও রেমিট্যান্স গুরুত্বপূর্ণ থাকবে; সেই সঙ্গে ওষুধ, কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তি সেবা, চামড়া ও অন্যান্য উদীয়মান খাতকেও নতুন প্রবৃদ্ধির চালক হিসেবে আবিষ্কার ও সহায়তা করতে হবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিকলস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) সভাপতি আবদুল হক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট জসিম উদ্দিন, সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী, আবুল কাসেম হায়দার প্রমুখ।

বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যযুদ্ধ ও পরিবর্তিত ভূরাজনীতির মধ্যেও বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এম মাসরুর রিয়াজ। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও জাপানের কোম্পানিগুলো ‘চায়না প্লাস ওয়ান’ কৌশল নিচ্ছে। তারা চীন থেকে উৎপাদন সরিয়ে নিতে চাইছে। রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ দেশগুলোতে বিকল্প খুঁজছে। মেক্সিকো, ভিয়েতনাম, সংযুক্ত আরব আমিরাতের পাশাপাশি বাংলাদেশও এ ক্ষেত্রে সম্ভাব্য গন্তব্য হতে পারে।’

মাসরুর রিয়াজ আরও বলেন, ‘এই সুযোগ কাজে লাগাতে হলে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বৃদ্ধি, বন্দর ও অবকাঠামো উন্নয়ন, নিয়ন্ত্রণ-কাঠামো সংস্কার ও নতুন রপ্তানি খাত গড়ে তোলায় জোর দিতে হবে। পাশাপাশি বেসরকারি আগাম প্রস্তুতিমূলক ভূমিকা থাকতে হবে।’

মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) সভাপতি কামরান টি রহমান বলেন, ‘বিগত এক বছরে দেশের অর্থনীতি একাধিক সমস্যার মুখে পড়েছে। এর মধ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতি, মুদ্রার অবমূল্যায়ন ও মূল্যস্ফীতি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’


 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!