ঢাকা শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

আট ঘণ্টার ভোট গুনতে ৩০ ঘণ্টা পার, অপেক্ষা

সেলিম আহমেদ
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৫, ১১:১৫ পিএম

অপেক্ষার প্রহর শেষ হচ্ছে না জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষক আর দেশবাসীর। জাকসু নির্বাচনে আট ঘণ্টার ভোট গুনতে ৩০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও গতকাল শুক্রবার রাত ১১টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শেষ হয়নি গণনা। যদিও নির্বাচনি দায়িত্বকালে এক শিক্ষকের মৃত্যুতে শোকাচ্ছন্ন ক্যাম্পাসে ভোট গণনায় কিছুটা ভাটা পড়েছিল। গত বৃহস্পতিবার জাকসুর ভোটগ্রহণ শেষে গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ৮টায় শেষ হয় ২১ হলের গণনা। এরপর রাত ৮টার দিকে লোকবল বাড়িয়ে শুরু হয় কেন্দ্রীয় সংসদের ভোট গণনা। গণনা শেষ হতে রাত পেরিয়ে যেতে পারে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

এদিকে ভোট গণনা দেরি হওয়ায় নানা গুজব ডালাপালা মেলতে শুরু করে। অনেক প্রার্থীই অভিযোগ তুলেছেন, ভোট নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ভোট গণনায় দেরি হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যেও বিরাজ করছে হতাশা। ডিজিটাল যুগে এসে ম্যানুয়াল প্রদ্ধতিতে ভোট গণনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও প্রার্থীরা। এদিকে ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনব্যবস্থা ও ব্যর্থতার দায় নিয়ে গতকাল রাত ৯টা নাগাদ পদত্যাগ করেন জাকসুর নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার। 

৩৩ বছর পর গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ হলে একযোগে শুরু হয় জাকসু ও হল সংসদের ভোটগ্রহণ। বিকেল ৫টায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কোনো কোনো কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলে রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত। যদিও এসব কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ দেরিতে শুরু হয়েছিল। জাকসুতে এবার ১১ হাজার ৭৪৩ জন ভোটারের মধ্যে প্রায় ৬৭-৬৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। কেন্দ্রীয় সংসদে মোট ২৫ পদে লড়েছেন ১৭৭ প্রার্থী। ভিপি পদে ৯ ও জিএস পদে ৮ জন প্রার্থী। ছাত্রীদের ১০টি আবাসিক হলে ১৫০ পদের মধ্যে ৫৯টিতে কোনো প্রার্থী ছিলেন না। একজন করে প্রার্থী ছিলেন ৬৭টি পদে। সে হিসাবে মাত্র ২৪ পদে ভোট নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ হলের মধ্য দুটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। যদিও ভোটে নানা কারচুপির অভিযোগ তুলে ছাত্রদল ও বাম-প্রগতিশীল চারটিসহ মোট পাঁচটি প্যানেল ও ২০ জনের বেশি স্বতন্ত্র প্রার্থী ভোট বর্জন করেন। 

সব প্রক্রিয়া শেষ করে ওই দিন রাত ১০টার দিকে সিনেট হলে নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয়ে শুরু হয় ভোট গণনা। ওএমআর মেশিনে স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে ভোট গণনার পরিকল্পনা থাকলেও শেষ দিকে এসে বিভিন্ন প্রার্থীর আপত্তির মুখে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে হাতে ভোট গণনা করা হয়।

গতকাল শুক্রবার ভোট গণনায় এসে সকাল পৌনে ৯টার দিকে জাকসু নির্বাচন অফিসে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির চারুকলা বিভাগের প্রভাষক ও জাকসু নির্বাচনে প্রীতিলতা হলে পোলিং কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস। অনাকাক্সিক্ষত এই মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া। এ ঘটনায় ভোট গণনায় কিছুটা স্থবিরতা নেমে এলেও গণনা থেমে ছিল না। রাত ৮টায় লোকবল বাড়িয়ে ভোট গণনা শুরু হয়েছে। 

কেন্দ্রীয় সংসদের ভোট গণনা শুরুর সময় সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ভোট গণনার ক্ষেত্রে স্থানের কিছুটা সংকট আছে। তার মধ্যেই লোকবল বাড়ানো হয়েছে। ভোট গণনার কাজ অব্যাহত গতিতে চলছে। চেষ্টা করছি, যেন ভোট গণনার গতি আরেকটু বাড়ে। আশা করি, রাতের মধ্যেই আমরা ভোট গণনার কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারব।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাতের মধ্যেই ভোট গণনা সম্পন্ন করে ফলাফল ঘোষণার চেষ্টা করা হচ্ছে।’ তবে কখন ফল প্রকাশ করা হবে, তা সুনির্দিষ্টভাবে জানাতে পারেননি তিনি। 

নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তারের পদত্যাগ

ক্রটিপূর্ণ নির্বাচনব্যবস্থা ও ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করছেন জাকসুর নির্বাচন কমিশনার ও বিশ্ববিদ্যালয়টির ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার। গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। এ সময় তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে আমি অনেক অনিয়ম দেখেছি। অনেক মারাত্মক ত্রুটি দেখেছি। এই ত্রুটিগুলো নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এরকম পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের সবাই একমত পোষণ করলেও বিশেষ কিছু কারণে আমার যে মতামত, তা গ্রহণে তারা অপারগতা প্রকাশ করেছে। নির্বাচন কমিশন আমার মতামতের সুরাহা না করেই ভোট গণনা শুরু করেছে। তখন আমি আমার যে মত, তা লিখিতভাবে জানিয়েছি। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলতে আমরা যা বুঝি, নির্বাচনে সেটি ছিল না। আমি যাতে পদত্যাগ না করি, সে জন্য গত বৃহস্পতিবার থেকেই আমার ওপর চাপ ছিল, তবু আমি পদত্যাগ করছি।’ 

এ ছাড়া নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি ও প্রশাসনের পক্ষপাতের অভিযোগ ওঠায় নির্বাচন স্থগিতের দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইনও। তিনি বলেছেন, ‘জাকসু নির্বাচন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি। প্রচুর কারচুপির অভিযোগ উঠেছে প্রায় সব মহলেই। এ নির্বাচন স্থগিত করা উচিত।’ এর আগে বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ঘণ্টাখানেক আগে নির্বাচনি দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান বিশ্ববিদ্যালয়টির অধ্যাপক শামীমা সুলতানা, নজরুল ইসলাম ও নাহরিন খান।

ভোট গণনায় কেন এত সময় লাগছে 

শুরুতে কথা ছিল জাকসু নির্বাচনের ফল গণনা হবে ওএমআর মেশিনে। তবে শেষ মুহূর্তে এসে প্রার্থীদের আপত্তির মুখে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ম্যানুয়াল পদ্ধতি ভোট গণনার। এই ম্যানুয়াল প্রদ্ধতিতে ভোট গণনার কারণেই দেরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। 

নির্বাচন কমিশন সূত্র বলছে, মূলত তিন কারণে ফলাফল ঘোষণায় বিলম্ব হচ্ছে। এর একটি ম্যানুয়ালি ভোট গণণা। আর অন্য কারণ হলো, হল সংসদের ভোট কেন্দ্রীয়ভাবে গণনা করা, শিক্ষিকার মৃত্যু এবং  ভোট গণনায় পর্যাপ্তসংখ্যক লোকবল নিয়োগ না করা। এর বাইরে এক ঘণ্টা ভোট গণনা স্থগিত থাকাও ফল বিলম্বের কারণ। 

ভোট গণনায় এত সময় লাগার কারণ হিসেবে পোলিং এজেন্টের দায়িত্ব পালন করা মুন্না মিয়া বলেন, ‘জাকসুতে যে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনা করা হচ্ছে, এটা অনেক সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এই পদ্ধতিতে একটা বড় হলের ভোট গণনা করতে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা লেগে যায়। একটানা এরকম ভোট গণনা করে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, ‘যেহেতু ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনার বিষয়ে সবার আগে থেকে প্রস্তুতি বা জানাশোনা ছিল না, তাই ভোট গণনার শুরুর দিকে অনেকটা ধীরগতিতে কাজ এগিয়েছে। পরে অবশ্য গতি বেড়েছে। সিনেট ভবনের কক্ষে শুরুতে পাঁচটি টেবিলে (প্রতি টেবিলে একটি হলের) ভোট গণনা শুরু হয়। এই টেবিলগুলো সিসিটিভির পর্যবেক্ষণে ছিল। পরে আজকে সকালে টেবিলের সংখ্যা বাড়িয়ে ১০টি করা হয়েছে। এসব টেবিলের পাশেও সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে, যাতে সবকিছু সবাই পর্যবেক্ষণ করতে পারে, রেকর্ড হয়।’

এ ছাড়া তিনি বলেন, ‘গতকাল রাতে অনেক হলের পোলিং কর্মকর্তা উপস্থিত থাকলেও পোলিং এজেন্ট অনুপস্থিত ছিলেন। পোলিং এজেন্টদের সামনেই ব্যালট বাক্স খোলা ও সব হিসাব করা উচিত। আবার সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা থাকা বাধ্যতামূলক। আমরাও সেই চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু এত সময় কিছু হলের পোলিং এজেন্ট উপস্থিত না থাকায় ভোট গণনায় দেরি হয়।’

ভোট গণনায় দেরি হওয়ায় ক্ষোভ

নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণায় দেরি হওয়ায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও প্রার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে ভোট গণনাকালে এক শিক্ষকের অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যু সেই ক্ষোভকে আরও উসকে দিয়েছে। অনেকেই জানান, ফলাফল প্রকাশে এত দেরি হওয়ায় ফল নিয়ে আগ্রহই নষ্ট হয়ে গেছে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে দ্রুত ফলাফল প্রকাশের দাবিতে অবস্থান নিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরাও। 

লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিদ সিকদার শাওন বলেন, ‘৩৩ বছর পর আমরা আনন্দিত ও আশাবাদী ছিলাম, কিন্তু এই দেরি সেই আনন্দ নষ্ট করে দিচ্ছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, কারচুপি হচ্ছে কি না। প্রক্রিয়াটি সুষ্ঠু হলে মাত্র ১১ হাজার ভোট গণনায় এত সময় লাগছে কেন? অনিশ্চয়তা গভীর হতাশা তৈরি করছে, যদিও আমরা এখনো ধৈর্য ধরে আছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আঁখি ইসলাম বলেন, গতকাল সন্ধ্যা থেকে নির্বাচনের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছি। কেউ সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারছে না কখন ভোট গণনা শেষ হবে। এভাবে অপেক্ষার কারণে নির্বাচনের আনন্দ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনকে দ্রুত রেজাল্ট দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে।’

শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরামের কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী মোহাম্মদ আলী চিশতিও একই হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘ডাকসুতে যেখানে প্রায় ৪০ হাজার ভোটার ছিল, সেখানে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফল ঘোষণা করা হয়েছিল। এখানে মাত্র ১১ হাজার ভোট, তবু গরিমসি চলছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বলা হয়েছিল, হাতে গোনায় পরিবর্তন করা হলে রাত ১২টার মধ্যেই ফলাফল ঘোষণা হবে। তাই আমরা রাতভর আমাদের পোলিং এজেন্টদের সঙ্গে জেগে ছিলাম। এখন সবাই ক্লান্ত ও হতাশ, কিন্তু এখনো কোনো ফল নেই। প্রয়োজনে আরও জনবল নিয়োগ করে দ্রুত ফলাফল ঘোষণা করা উচিত।’

অব্যবস্থাপনা আর নির্বাচন বানচালের অভিযোগ

জাকসু নির্বাচন বানচালের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী মাজহারুল ইসলাম। গতকাল বিকেল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে জাকসু নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সুস্পষ্টভাবে আমরা ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত পাচ্ছি। ভোটের আগের দিন থেকে প্রশাসনে বিভিন্নভাবে বলেছি, কোন জায়গাগুলোতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, সেগুলোর স্বচ্ছতা আপনারা নিশ্চিত করেন। আমরা একটি ফেয়ার নির্বাচন চাই, শিক্ষার্থীরা যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবেন, কিন্তু আপনারা ফেয়ার নির্বাচন করেন।’ সংবাদ সম্মেলনে মাজহারুল নির্বাচনে নানা ধরনের অব্যবস্থাপনার কথাও তুলে ধরেন।

স্বতন্ত্র প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় জাকসু ও হল সংসদের ভোট শেষ হয়। এক দিন পেরিয়ে গেলেও আমরা এখনো ফলের আশায় বসে আছি। বিভিন্ন মহল ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচন কমিশনের ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। শিক্ষকদের একটি বিশেষ গোষ্ঠী জাকসু বাস্তবায়িত হোক, তা চাননি। ছাত্ররা নিজেদের ফোরামে বসে দাবিদাওয়া উত্থাপন করুক, তা একটি গোষ্ঠী চায় না। কোনো শিক্ষক যদি জাকসুর ফল স্থগিতের দুঃসাহস দেখান, তাহলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ।’

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও জাকসুর সভাপতি অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে প্ররিশ্রম করার পর এই ভোট গণনা সম্পন্ন হচ্ছে। জাকসু নির্বাচন ’২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম অঙ্গীকার ছিল। আমরা গণতন্ত্রের পুনরুত্থানে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছি। ডাকসুর পরে জাকসু নির্বাচনও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে। এর মাধ্যমে ’২৪-এর অভ্যুত্থানের যে গণআকাক্সক্ষা তৈরি হয়েছিল, তা পরিপূর্ণ হবে। ২ হাজার ছাত্রজনতার রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি। গণতন্ত্র ও বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ার জন্য তারা রক্ত দিয়েছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত এই গণতন্ত্রের চর্চা অব্যাহত রাখতে চাই। সবার সহযোগিতার মাধ্যমে সেই যাত্রা অব্যাহত থাকবে।