শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২৫, ১০:৩৮ পিএম

অধ্যাদেশ অনুমোদন

গুমের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড,  বিচার ১২০ দিনের মধ্যে

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২৫, ১০:৩৮ পিএম

গুমের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড,  বিচার ১২০ দিনের মধ্যে

গুমের প্রতিকার ও প্রতিরোধ অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এই অধ্যাদেশে গুমের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদ-ের বিধান রাখা হয়েছে। বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে ১২০ দিনের মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

প্রেস সচিব বলেন, গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকারের জন্য একটা আইন নিয়ে অনেক দিন যথেষ্ট ডিবেট হয়েছে। এরপর আজকে এটা চূড়ান্তভাবে অনুমোদন হয়েছে। এই অধ্যাদেশে গুমকে সংজ্ঞায়নের পাশাপাশি চলমান অপরাধ, কন্টিনিউ অফেন্স হিসেবে বিবেচনা করে মৃত্যুদ-সহ কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গোপন আটককেন্দ্র স্থাপন, যা আয়নাঘর নামে পরিচিত, তা ব্যবহার শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গুমসংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ এবং তদন্ত কমিশনকে গুমসংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ ও তদন্তের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। এই অধ্যাদেশে গুম প্রতিকারের লক্ষ্যে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠনের ১২০ দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্নের বাধ্যবাধকতা, ভুক্তভোগী-সাক্ষীর অধিকার সুরক্ষা, ক্ষতিপূরণ এবং আইনগত সহায়তার নিশ্চয়তা প্রদানসংক্রান্ত বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া, গুম প্রতিরোধ প্রতিকার ও সুরক্ষার উদ্দেশ্যে তহবিল গঠন এবং তথ্যভান্ডার প্রতিষ্ঠার বিধানও সংযোজিত হয়েছে।

শফিকুল আলম বলেন, মিটিংয়ে গতকাল কয়েকটা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জাতীয় লজিস্টিক নীতির খসড়া এবং চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে। জাতীয় নগরনীতি নিয়ে একটু আলাপ হয়েছে। এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। আর আজকে (গতকাল বৃহস্পতিবার) আগামী বছর ২০২৬-এর সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন হয়েছে।

তিনি বলেন, গুম প্রতিরোধ এবং প্রতিরোধ অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে আজ (গতকাল)। শেখ হাসিনার সময় বাংলাদেশে হাজার হাজার ছেলেমেয়ে গুম হয়েছে। তার মধ্যে গুমবিষয়ক যে কমিশন করা হয়েছে, সেখানে অভিযোগের সংখ্যা প্রায় ২ হাজার এবং ওই কমিশনে যারা মেম্বার আছেন, তারা তাদের রিপোর্টে বারবার বলছেন যে এর সংখ্যা ৪০০-এর ওপরে হবে। আর দেশে শত শত আয়নাঘর ছিল, সেখানে এদের রাখা হতো। অনেকে যারা গুম হয়েছেন, কেউ কেউ ফিরে এসেছেন, আবার অনেকে ফিরে আসেননি। আপনি জানেন, বিএনপির অনেক কর্মী এখনো ফিরে আসেননি।

তিনি আরও বলেন, গুমসংক্রান্ত একটি ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন আছে, যেটার নাম হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর দ্য প্রটেকশন অব অল পারসনস ফ্রম এনফোরস ডিসএপিয়ারেন্স। গত বছরের ২৯ আগস্ট বাংলাদেশের উপদেষ্টা পরিষদ এটার অ্যাপ্রুভ করেছেন। বাংলাদেশ এটার অংশীদার হয়েছে। অংশীদারের এই কনভেনশনকে ফলো করে অধ্যাদেশটা তৈরি করা হয়েছে। এটা বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক আইন। এর ফলে বাংলাদেশে আর কোনো ফ্যাসিস্ট সরকার এসে গুমের রাজত্ব চালাতে পারবে না। দেশে কোনো আয়নাঘর তৈরি হবে না।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সবচেয়ে আতঙ্কিত শব্দ গুম। ওই সময় রাজনৈতিক ব্যক্তি থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় ৪ হাজার মানুষকে জোরপূর্বক অন্তর্ধানের অভিযোগ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে। শেখ হাসিনা তার ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে মানবাধিকারের এমন লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ করে আসছিল বিভিন্ন সংগঠন। 

সম্প্রতি গুমের সঙ্গে জড়িত ১৮ জন সেনাসদস্যের বিচার শুরু হয়েছে। তবে গুম বন্ধে কার্যকর আইনের দাবি করে আসছিল মানবাধিকার সংগঠনগুলো। এমন পরিপ্রেক্ষিতে গুম প্রতিকার ও প্রতিরোধ অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!