বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রুহুল আমিন ভূঁইয়া

প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২৫, ০৬:৪২ এএম

বিটিভি নিউজ এখনো হাসিনার আস্থাভাজনদের নিয়ন্ত্রণে

রুহুল আমিন ভূঁইয়া

প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২৫, ০৬:৪২ এএম

বিটিভি নিউজ এখনো হাসিনার  আস্থাভাজনদের নিয়ন্ত্রণে

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের এক বছর অতিবাহিত হলেও দেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় চ্যানেল বাংলাদেশ টেলিভিশনের বার্তা বিভাগের শীর্ষ পদগুলো এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে ফ্যাসিস্ট হাসিনার আস্থাভাজন মুন্সি ফরিদুজ্জামান ও সৈয়দা তাসমিনা আহমেদের মতো অনুসারীরা। তাদেরই হাত ধরে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও ভিডিওচিত্র সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের কাছে নিয়মিত পাঠানোর অভিযোগ রয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে একাধিক অভিযোগ দেওয়া হলেও অদৃশ্য কারণে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। তবে কি হাছান মাহমুদ ও হাসানুল হক ইনুর আস্থাভাজনরাই মন্ত্রণালয়ে বহাল তবিয়তে? এমন প্রশ্ন সরকারি টিভি চ্যালেনটির সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানান তারা। 

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালালে সরকারের স্পর্শকাতর মন্ত্রণালয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধিকাংশ দপ্তরে বড় ধরনের পরিবর্তন দেখা গেলেও ব্যতিক্রম শুধু বিটিভি। মহাপরিচালক ও জেনারেল ম্যানেজার পরিবর্তন ছাড়া হয়নি কোনো সংস্কার। দুর্ভাগ্যের বিষয় হলেও সত্য, গত জুলাইয়ে ছাত্রহত্যায় ইন্ধনদাতাদের অন্যতম কুশীলব বিটিভির তৎকালীন বার্তাপ্রধান হাসিনা ও হাছান মাহমুদের আস্থাভাজন মুন্সি ফরিদুজ্জামানকে সম্প্রতি দেওয়া হয় বিটিভি নিউজের প্রধান বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব। শুধু তাই নয়, হাসিনাম্যান দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মো. মহসিনের দুর্নীতিবাজ স্ত্রী ড. সৈয়দা তাসমিনা আহমেদকে দেওয়া হয়েছে বিটিভির উপমহাপরিচালক বার্তার দায়িত্বে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিটিভির একজন রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘স্বৈরাচারের দোসররা এখনো বিটিভিতে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। গত বছর অডিশন কেলেঙ্কারির বিষয়ে তদন্ত কমিটি সত্যতা পেয়েছে। কিন্তু এখনো তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকি ফ্যাসিস্ট হাসিনার আস্থাভাজন মুন্সি ফরিদুজ্জামান ও সৈয়দা তাসমিনা আহমেদ অনুসারীদের হাতে বিটিভির নিউজ। তাদের কথামতোই চলছে প্রতিষ্ঠানটি। এগুলো যেন দেখার কেউ নেই। তারা অবাধে নিজেদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।’

ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার প্রায় ১৬ বছরের শাসনামলে ড. সৈয়দা তাসমিনা আহমেদ বিটিভিতে অন্যতম প্রভাবশালী ও আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত। বিটিভির একাধিক সূত্র জানায়, তার ক্ষমতার উৎস ছিল ভাসুর হিসেবে পরিচিত সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও তার স্বামী হাসিনার আমলে অন্যতম লুটপাটের মন্ত্রণালয় দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মো. মহসিন।

বিটিভির একটি তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, সাবেক মহাপরিচালক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম (অতিরিক্ত সচিব-পিআরএল ভোগরত) এবং উপমহাপরিচালক (অনুষ্ঠান ও বার্তা) ড. সৈয়দা তাসমিনা আহমেদের নেতৃত্বে ঢাকা কেন্দ্রের সাবেক জেনারেল ম্যানেজার (চলতি দায়িত্ব) মাহফুজা আক্তার ও তার সিন্ডিকেট সদস্যরা ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভুয়া বিল ভাউচার ও বাজেটের মাধ্যমে ১৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা অনিয়ম-দুর্নীতি করেছেন মর্মে তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দাখিল করে।

অপরদিকে, গত ৩০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষা দল কর্তৃক দাখিলকৃত বিশেষ অডিট রিপোর্টেও ১০,৪৪,২২,০৭৯ টাকা অনিয়মসহ অডিশন কেলেঙ্কারি, জালিয়াতি ও আরও দুর্নীতির চাঞ্চল্যকর প্রমাণ মিলেছে। শুধু সাবেক জেনারেল ম্যানেজার মাহফুজা আক্তারকে বদলি করা হলেও এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে ড. সৈয়দা তাসমিনা আহমেদ। দুদক থেকেও স্বামীর প্রভাবে মামলা থেকে নাম কাটান তিনি।

শুধু তাই নয়, বিটিভিতে শিল্পী তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের সঙ্গে জড়িত কমিটির আহ্বায়ক তাসমিনাকে নিয়ে যখন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে তদন্ত চলছে, তাকেই কোন ক্ষমতাবলে বর্তমানে বিটিভির উপ-মহাপরিচালক (বার্তা) হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হলো, তাতে হতবাক সবাই।

অপরদিকে, শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হিসেবে ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস উইংয়ে ছিলেন বিটিভির মুন্সি ফরিদুজ্জামান। সে সময়কার তার বন্ধু মহলের অধিকাংশ এখন পলাতক, কেউ বা জেলে। আর তিনি উল্টো প্রমোশন নিয়ে বিটিভি নিউজের প্রধান বার্তা সম্পাদক। বর্তমানে কখনো তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা, আবার কখনো প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের নাম ভাঙিয়ে দাপটের সঙ্গে বিটিভি নিউজকে হরিলুটের আখড়ায় পরিণত করেছেন এই মুন্সি ফরিদ। সব সময় ওপর মহল ম্যানেজের দাম্ভিকতা দেখান তিনি, এমনটাই জানা গেছে।

কে এই মুন্সি ফরিদুজ্জামান?

২০০৭ সালে ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিনের শাসনামলে ওয়ান-ইলেভেনের কারিগরদের সঙ্গে যোগসাজশে বিটিভির হয়ে যোগ দেন তৎকালীন প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দিন আহমেদের প্রেস উইংয়ে। পরবর্তী সময়ে হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে এইচ টি ইমাম ও মাহবুবুল আলম শাকিলের গড়া মিডিয়া সিন্ডিকেটে যুক্ত হয়ে বিটিভি সংবাদকে একপেশে করে ফেলেন। কেউ প্রতিবাদ করলেই চাকরিচ্যুত বা বদলির হুমকি দিতেন মহাপরিচালকের মাধ্যমে।

২০০৮ সালে হাসিনা ক্ষমতায় এসেই তার প্রেস উইংয়ে বিটিভির পক্ষ থেকে যুক্ত করেন মুন্সি ফরিদুজ্জামানকে। একটা পর্যায়ে এতটাই অপ্রতিরোধ্য হয়ে পড়েন যে তিনি বিদেশ ট্যুরের টাকার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন শেখ হাসিনার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি শাখাওয়াত মুনের সঙ্গে। অফিসবিধি লঙ্ঘনের দায়ে তাকে দেওয়া হয় বিভাগীয় মামলা। শাস্তিস্বরূপ পান পদাবনতিÑ অর্থাৎ চলমান পোস্ট থেকে এক ধাপ নিচে নামিয়ে দেওয়া হয়। বিভাগীয় আদালতে আপিল করেও ফিরে পাননি পদ। তারপর তার আপার (শেখ হাসিনা) বিশেষ ক্ষমতাবলে চাকরির পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দেন।

ফরিদুজ্জানের প্রতি হাসিনা এতটাই আস্থাশীল ছিল যে, পরবর্তী সময়ে তার সিনিয়রকে (বর্তমানে বিটিভির জেনারেল ম্যানেজার নুরুল আজম পবন) ডিঙিয়ে প্রধান বার্তা সম্পাদক হিসেবে বিটিভিতে নিয়োগ দেয় ফ্যাসিস্ট হাসিনা। শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগের সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ডক্টর আব্দুর রাজ্জাকের কাছ থেকে কী পরিমাণ অনৈতিক সহায়তা নিয়েছেন তা বিটিভির সবার মুখে মুখে।

সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের এতটাই বিশ্বস্ত ছিলেন এই ফরিদ, প্রায় রাতেই মন্ত্রীর ৩৪ মিন্টো রোডের বাসায় দুজনকে অন্তরঙ্গ আলাপচারিতায় দেখা যেত বলে জানা গেছে। সেই সময় মুন্সি ফরিদের কাছে তুলে দেওয়া হাছান মাহমুদের আস্থাভাজন ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেত্রী প্রেজেন্টার সাদিয়া আফরিন এখনো বীরদর্পে খবর পড়ছেন বিটিভি নিউজে। বর্তমান জিএম বাধা দিলেও বলেন, ওপরের নির্দেশে তার নিউজ চলবে। তবে কি ওপর বলে বর্তমান সরকারকেও বিব্রত করার চেষ্টা করছেন এই ফরিদুজ্জামান?

অথচ জুলাই আন্দোলনে ছাত্রদের পক্ষে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়াতে নিউজ থেকে বাদ দেন অনেককেই। বিটিভির মহাপরিচালক মাহবুবুল আলম বর্তমান সরকারের সময়ে নিয়োগ পেলেও বিটিভির সাবেক কর্মকর্তা হওয়ায় চক্ষুলজ্জায় কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেন না বলে জানা যায়।

শুধু তাই নয়, জুলাই আন্দোলনে শুধু পুলিশি নির্যাতনের বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট করায় রিপোর্টার এ কে এম শহীদুল্লাহকে জুলাই মাসের প্রাপ্ত সম্মানী কেটে দিয়ে অফিস ডিউটি থেকে দূরে রাখেন বলে জানা গেছে। ৫ আগস্ট বিজয়ের পর ফোন করে সেই রিপোর্টারকে অফিসে এনে নিজেকে তাৎক্ষণিক জুলাই যোদ্ধা ঘোষণা করেন। যদিও পরবর্তী সময়ে ১৩ বছর কাজ করা সত্ত্বেও ওই রিপোর্টার কাজ পারে না এমন অভিযোগ এনে বিনা নোটিশে তাকে চাকরিচ্যুত করেন।

মুন্সি ফরিদের এ কাজে যিনি সহযোগিতা করেন তিনি হলেনÑ বিটিভির উপমহাপরিচালক বার্তা সৈয়দা তাসমিনা আহমেদ। যার স্বাক্ষরে ঘটে সব অন্যায়-অবিচার। তাকেও ব্ল্যাকমেইলিং করতে বাদ যায়নি এই ফরিদ। মুন্সি ফরিদ বিভিন্ন সময় ঠাট্টার ছলে বলেন, মহসিন ভাইয়ের বন্ধু দুর্যোগের সিনিয়র সচিব শাহ কামাল জেলে আর একই পদে তিনি বাসায় এসির বাতাস খান। মুন্সির এই ডায়ালগে তিনি যা করতে বলেন, তাসমিনা আহমেদ এখন তা-ই করেন।

কারণ স্বামীর প্রভাবে আওয়ামী লীগ আমলে এই সৈয়দা তাসমিনা আহমেদ বিটিভির বার্তা সম্পাদক থেকে আইন অমান্য করে রাতারাতি তিনটি প্রমোশন নিয়ে ভারপ্রাপ্ত ডিজি পর্যন্ত হয়েছিলেন। বিটিভি নিউজে এখনো রিপোর্টাররা স্ক্রিপ্টে ফ্যাসিস্ট হাসিনা লেখায় তা কেটে এডিট করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী লিখতে বাধ্য করেন বিটিভি নিউজের এই দুই শীর্ষ কর্মকর্তা।

জুলাই আন্দোলন চলাকালে যখন পুলিশের গুলিতে নির্মমভাবে শহিদ হচ্ছেন, ছাত্ররা তখন এই মুন্সি ফরিদুজ্জামান ও হাসিনার সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী এ আরাফাত মিলে বিটিভিতে প্রচার করে হাসিনার গুণগান নিয়ে সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রা নামের অনুষ্ঠান। আর সে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পান বিটিভির সেরা কর্মকর্তার পুরস্কার।

গত বছরের ২৯ মে কথিত জাতীয় নির্বাচনে বিটিভির সংবাদ নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী বিটিভি সাড়ে ৪ কোটি টাকা অপচয় করেছে। ড. সৈয়দা তাসমিনা আহমেদ একমাত্র উপমহাপরিচালক (বার্তা) এবং মুন্সি মো. ফরিদুজ্জামান একমাত্র মুখ্য বার্তা সম্পাদক হিসেবে এই অনিয়ম-দুর্নীতির দায় কোনোভাবেই এড়িয়ে যেতে পারেন না। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

হাসিনা পালানোর পর নিজেকে রক্ষা করতে কিছু চুক্তিভিত্তিক রিপোর্টারকে বিনা নোটিশে বাদ দেন এই মুন্সি ফরিদুজ্জামান। অথচ হাসানুল হক ইনু ও হাছান মাহমুদের হাতে নিয়োগপ্রাপ্ত রিপোর্টাররাই এখন তার আস্থাভাজন বলে সূত্রের খবর। তাদের দিয়ে চাঁদাবাজি করানোর অভিযোগ রয়েছে। কাউকে দিয়ে চলে বিনা মূল্যে হাসপাতালে চিকিৎসাব্যবস্থা আবার কাউকে দিয়ে জমি দখলের কাজ। কেউ এসব অনৈতিক কাজ না করতে চাইলে হাসিনার মতো বিটিভিকে নিজের বাপ-দাদার সম্পত্তি মনে করে রিপোর্টারদের চাকরিচ্যুত করেন ঠুনকো অজুহাতে।

এসব অভিযোগের বিষয়ে বিটিভি নিউজের প্রধান বার্তা সম্পাদক মুন্সি ফরিদুজ্জামান রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘এই অভিযোগ সঠিক নয়।’ তবে হাসানুল হক ইনু ও হাছান মাহমুদের আস্থাভাজন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেত্রী প্রেজেন্টার সাদিয়া আফরিনসহ অনেকেই এখনো সংবাদ পড়ছেন বলে স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘ওই সময়কার অনেকেই এখনো সংবাদ পড়ছেন। কর্তৃপক্ষ যেভাবে সিদ্ধান্ত দেবে সেভাবেই চলবে। এটা বাদ দেওয়ার আমার এখতিয়ার নেই। তা ছাড়া কাউকে নেওয়া বা বাদ দেওয়ার এখতিয়ারও আমার নেই।’

বিটিভি নিউজে এখনো রিপোর্টাররা স্ক্রিপ্টে ফ্যাসিস্ট হাসিনা লেখায় তা কেটে এডিট করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী লিখতে বাধ্য করেন বলে আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা।’ এমন প্রশ্নের পর একপর্যায়ে তিনি উত্তেজিত হয়ে যান। ২০০৯ থেকে ১৪ সাল পর্যন্ত বিটিভির পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার মিডিয়া টিমে যুক্ত ছিলেন কি না জানতে চাইলে বিটিভির ডিজির সঙ্গে কথা বলতে বলে মুঠোফোনের সংযোগ কেটে দেন মুন্সি ফরিদুজ্জামান। অন্যদিকে বিটিভির উপমহাপরিচালক (বার্তা) ড. সৈয়দা তাসমিনা আহমেদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি।

এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) মহাপরিচালক মো. মাহবুবুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে শুরুতে কথা বলার আগ্রহ জানালেও অভিযুক্তদের নাম উল্লেখ করতেই এ নিয়ে মুঠোফোনে সাক্ষাৎকার দেবেন না বলে রূপালী বাংলাদেশের কল কেটে দেন তিনি।

এ নিয়ে জানতে অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘আমি খুবই অসুস্থ। কিছু নিয়ে এই মুহূর্তে কথা বলার অবস্থায় নেই।’

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!