সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২৫, ০৭:০৩ এএম

চট্টগ্রাম বন্দরে নেতৃত্বের এক বছর  অগ্রযাত্রা ও রূপান্তরের  অনন্য অধ্যায়

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২৫, ০৭:০৩ এএম

চট্টগ্রাম বন্দরে নেতৃত্বের এক বছর  অগ্রযাত্রা ও রূপান্তরের  অনন্য অধ্যায়

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে অবস্থিত চট্টগ্রাম বন্দর দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র। বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই বন্দর দেশের আমদানি-রপ্তানির ৯০ শতাংশ এবং কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের ৯৮ শতাংশ পরিচালনা করে। গত অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক) বিগত পাঁচ বছরের তুলনায় আর্থিক সক্ষমতায় ব্যতিক্রমধর্মী অগ্রগতি অর্জন করেছে। বন্দরের মোট রাজস্ব আয় ৮ দশমিক ২২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২২৭ দশমিক ৫৫ কোটি টাকায়, যা আগের বছরের ৪৮৩০ দশমিক ৩৭ কোটি টাকা থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেশি। আধুনিক কনটেইনার টার্মিনাল ও দক্ষ কার্গো হ্যান্ডলিং সিস্টেমসহ উন্নত অবকাঠামো সমৃদ্ধ বন্দরটি আঞ্চলিক বাণিজ্যে অপরিসীম গুরুত্ব বহন করে।

দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে এর অবদান অনস্বীকার্য। বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের সংযুক্তি এই বন্দর ঘিরেই বিকশিত। চবক ১৩৮ বছরের গৌরবময় যাত্রা অতিক্রম করেছে। প্রতিশ্রুতি, সমৃদ্ধি ও দায়িত্বশীলতার ধারক এই প্রতিষ্ঠান আজ আধুনিকতা, টেকসই উন্নয়ন এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার মুখোমুখি।

২০২৪ সালের জুলাইয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতায় চট্টগ্রাম বন্দর যখন পুলিশ ও আনসার বাহিনীর অনুপস্থিতিতে ঝুঁকির মুখে পড়ে যায়, তখন রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান বন্দর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার কৌশলগত ও গতিশীল পদক্ষেপের ফলে বন্দর পরিচালনায় স্থিতিশীলতা আসে এবং দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকে। এই দুঃসময়ে তার নেতৃত্ব প্রমাণ করে, সংকট মুহূর্তেই প্রকাশিত হয় প্রকৃত নেতৃত্বের সার্থকতা। প্রশাসনের দূরদর্শী নেতৃত্বে চবক আজ বিশ্বমানের, স্বচ্ছ, দক্ষ ও নির্ভরযোগ্য বন্দরব্যবস্থার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। গত এক বছরে নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বন্দর কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি ও সাফল্য অর্জিত হয়েছে। নিচে চবকের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির কথা তুলে ধরা হলোÑ

কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে নতুন রেকর্ড:

২০২৪-২৫ অর্থবছরে চবক কনটেইনার হ্যান্ডলিং ইতিহাসে এক নতুন মাইলফলক অতিক্রম করেছে। ৪৮ বছরের পথচলায় এই প্রথম বছরে ৩২ লাখ ৯৬ হাজার ৬৭ টিইইউ (২০ ফুট সমতুল্য ইউনিট) হ্যান্ডলিং করে পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই সংখ্যা ছিল ৩১ লাখ ৬৮ হাজার ৬৯০ টিইইউ। অর্থাৎ, অতিরিক্ত ১ লাখ ২৭ হাজার ৩৭৭ টিইইউ হ্যান্ডলিং হয়েছে এ বছর। ২০২৪ সালেও বন্দরের কার্যক্রম ছিল চমকপ্রদ। কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ এবং মোট কার্গো ক্ষমতা ৩ দশমিক ১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়ে এই সময়ে দুটোই বন্দরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। 

উল্লেখ্য, জুলাইয়ের রাজনৈতিক অস্থিরতা, বন্যা, পরিবহন ধর্মঘট ও কাস্টমস কার্যক্রমে নানা বিঘœ সত্ত্বেও জাহাজের গড় অপেক্ষার কাল ক্ষেত্রবিশেষে কমে এসেছে মাত্র এক দিনে, যা বন্দর ব্যবস্থাপনার দক্ষতার উজ্জ্বল উদাহরণ।

রাজস্ব ও মুনাফায় প্রবৃদ্ধি :

২০২৪-২৫ অর্থবছরে চবক বিগত পাঁচ বছরের তুলনায় আর্থিক সক্ষমতার ক্ষেত্রে অগ্রগতি অর্জন করেছে। মোট রাজস্ব আয় ৮ দশমিক ২২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২২৭ দশমিক ৫৫ কোটি টাকায়, যা আগের বছরের ৪৮৩০ দশমিক ৩৭ কোটি টাকা থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেশি। যদিও ব্যয় ৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২৩১৪ দশমিক ৮৬ কোটি টাকা। তার পরও বন্দর রাজস্ব উদ্বৃত্তে ৭ দশমিক ২৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। ২৭১৫ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা থেকে বেড়ে উঠেছে ২৯১২ দশমিক ৬৯ কোটি টাকায়। এ অর্জন প্রতিষ্ঠানটির শক্তিশালী আর্থিক ব্যবস্থাপনা এবং রাজস্ব উৎপাদনের সক্ষমতাকে প্রতিফলিত করে। 

জাতীয় কোষাগারে উল্লেখযোগ্য অবদান :

গত পাঁচ বছরে চবক রাজস্ব খাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। এ সময় জাতীয় কোষাগারে মোট ৭২০৩ দশমিক ০৬ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে, যা ক্রমবর্ধমান হারে প্রতিবছর বেড়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ১৭৬৫ দশমিক ২৬ কোটি টাকা প্রদান করে চবক নিজেকে অন্যতম বৃহৎ রাজস্ব প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। 

মানবসম্পদ উন্নয়নে যুগান্তকারী পদক্ষেপ :

মানবসম্পদ উন্নয়নে দীর্ঘদিন পর ২০২৫ সালের এপ্রিল-মে মাসে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ একটি বড় ধরনের নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করে। এ সময় বন্দরের ৩৬৫টি শূন্য পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ এবং জানুয়ারি ২০২৫ থেকে আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত ৯১৬ জন বিদ্যমান কর্মচারীর পদোন্নতিÑ দুটি উদ্যোগই বন্দরের ইতিহাসে যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এ ছাড়া কর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পোর্ট টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় একটি বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট গঠনের উদ্যোগও গ্রহণ করা হয়েছে, যেখানে অপারেটর ও কারিগরি কর্মীদের আন্তর্জাতিক মানে দক্ষ করে তোলা হবে, যাতে তারা বাংলাদেশের বন্দর খাতের কার্যকর নেতৃত্ব হাতে নিতে সক্ষম হয়।

টেকসই কল্যাণ ও সামাজিক দায়বদ্ধতা :

চবক শুধু একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান নয়, এটি একটি সমাজসচেতন ও মানবকেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠান হিসেবেও কাজ করে যাচ্ছে। বন্দরের কর্মী ও আশেপাশের জনগোষ্ঠীর জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দুটি কলেজ এবং একটি মাদরাসা পরিচালনা করছে। নারী কল্যাণে ‘সিপিএ মহিলা সংঘ’ পরিচালিত ‘ঘাসফুল প্রাথমিক বিদ্যালয়’ ও ‘নতুন কুঁড়ি কিন্ডারগার্টেন’ নারী সম্পৃক্ততা ও শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ  ভূমিকা রাখছে। আধুনিক যন্ত্রপাতি সজ্জিত বন্দর হাসপাতাল বন্দরের কর্মী ও স্থানীয় জনগণের জন্য উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করছে। ‘পোর্ট রিপাবলিক ক্লাব’ বছরের নানা সময়ে সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে কম্যুনিটির মধ্যে সম্প্রীতি ও অংশগ্রহণমূলক সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাচ্ছে। ধর্মীয় সম্প্রীতির জন্য চবক মসজিদ, মন্দির ও অন্যান্য উপাসনালয় নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছে। এ ছাড়া, কর্মীদের অনুপ্রাণিত রাখতে বার্ষিক প্রণোদনা বোনাস প্রদান করা হচ্ছে, যা বন্দর কর্তৃপক্ষের অন্তর্ভুক্তিমূলক, মানবিক এবং দায়িত্বশীলতার বহিঃপ্রকাশ।

অবকাঠামো উন্নয়নে রূপান্তর ও গতিশীলতা :

একটি আঞ্চলিক বাণিজ্যকেন্দ্র হিসেবে বন্দরের অবস্থান সুদৃঢ় করতে আধুনিক কার্গো হ্যান্ডলিং, উন্নত নিরাপত্তাব্যবস্থা ও স্মার্ট টার্মিনাল স্থাপনের মতো বহুমাত্রিক প্রকল্প নিয়ে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে চবক। এসব

প্রধান প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে বে টার্মিনাল :

বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় বাস্তবায়নাধীন বে টার্মিনাল প্রকল্পকে বাংলাদেশের অগ্রগতির পথে একটি ‘গেম চেঞ্জার’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ২০৩১ সালে চালু হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে নির্মিত এই প্রকল্প বাংলাদেশের নৌবাণিজ্যে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে আবির্ভূত হবে।

মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর :

২০২৫ সালের এপ্রিলে চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দরের অংশ হিসেবে মাতারবাড়ীতে দুটি জেটি নির্মাণে পেন্টা-ওশান ও টিওএ করপোরেশনের সঙ্গে ৬ হাজার ২০০ কোটি টাকার জাইকা অর্থায়িত চুক্তি স্বাক্ষর করে। ২০২৯ সালের মধ্যে এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৮ হাজার টিইইউ ধারণক্ষমতার জাহাজ পরিচালনা সম্ভব হবে।

লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল (এলসিটি) :

লালদিয়া টার্মিনালকে আধুনিকায়নের জন্য একটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের আওতায় এর উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে। বছরে দশমিক ৯ মিলিয়ন টিইইউ হ্যান্ডলিং সক্ষমতা যুক্ত করে এটি বন্দরের কনটেইনার ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য গতি নিশ্চিত করবে। নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) : বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত সিডিডিএল কার্যক্রমের প্রথম মাসেই ধারাবাহিক কনটেইনার হ্যান্ডলিং প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করেছে।  

গ্রিন চ্যানেল :

স্মার্ট, স্বয়ংক্রিয় ও ডিজিটালাইজড অপারেশনের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দরে চালু করা ‘গ্রিন চ্যানেল’ ব্যবস্থাটি বিশ্বস্ত অনুমোদিত ব্যাবসায়িক সত্তাগুলোর জন্য দ্রুত হ্যান্ডলিং নিশ্চিত করছে।

মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল :

প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং রপ্তানিমুখী শিল্পায়ন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বন্দরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় একটি আধুনিক ‘মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল’ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং দেশের রপ্তানি প্রতিযোগিতা আরও জোরদার হবে।

দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিকীকরণ :

চবক ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় রেকর্ড-সংখ্যক কনটেইনার হ্যান্ডলিং, দ্রুত জাহাজ বার্থিং এবং কর্মপ্রক্রিয়ার সরলীকরণের প্রভূত অগ্রগতি অর্জন করেছে। এর মাধ্যমে মূল উদ্যোগগুলো হলোÑ ই-গেট পাস ও অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম চালু। নতুন ক্রেন সংগ্রহ এবং ড্রাফট গভীরতা বৃদ্ধি। জাহাজের গড় অপেক্ষাকাল মাত্র এক দিনে নামিয়ে আনা। ‘অনলাইন এজেন্ট ডেস্ক’ চালু করা। এসব আধুনিকীকরণ পদক্ষেপ চট্টগ্রাম বন্দরকে শুধুই একটি কর্মক্ষম বন্দর নয়, বরং একটি উদ্ভাবনী, দক্ষ ও ব্যবসাবান্ধব আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করছে।

ডিজিটাল রূপান্তর ও অটোমেশন :

আধুনিকায়িত টার্মিনাল অপারেটিং সিস্টেম (টিওএস), যা পূর্বে সিটিএমএস নামে পরিচিত ছিল, বর্তমানে অনলাইন গেটপাস ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে। এই নতুন ব্যবস্থায় ড্রাইভাররা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রবেশ ফি পরিশোধ করে কিউআর কোড স্ক্যানের মাধ্যমে নিরাপদ ও দ্রুত ই-গেট প্রবেশাধিকার পাচ্ছেন। ম্যানুয়াল কিউর পরিবর্তে এ প্রযুক্তি ট্রাফিক প্রবাহ সচল রাখছে এবং কার্গোর রিয়েল-টাইম ট্র্যাকিং সুবিধা নিশ্চিত করছে। একই সঙ্গে চালু হয়েছে যানবাহন ট্র্যাকিং ও স্বয়ংক্রিয় বার্থ বরাদ্দ পদ্ধতি, যা অপারেশনাল দক্ষতা ও কার্গো ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনছে। এসব প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ‘মেরিটাইম সিঙ্গেল উইন্ডো’ চালু হয়েছে, যা বাণিজ্য ক্লিয়ারেন্স প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করছে। 

নেতৃত্বের দূরদর্শী পরিকল্পনায় চট্টগ্রাম বন্দর বর্তমানে দেশের নতুন অর্থনৈতিক যুগের পথপ্রদর্শক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখছে বৈশ্বিক বাণিজ্যে একটি নেতৃস্থানীয় অবস্থানে উঠে আসার; আর সেই স্বপ্নেরই এক বিশুদ্ধ প্রতিফলন চট্টগ্রাম বন্দরের মাস্টারপ্ল্যান। এই মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নে বন্দর চেয়ারম্যানের সুদক্ষ নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছে চট্টগ্রাম বন্দরের অব্যাহত অগ্রগতি।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!