সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২৫, ০৫:৩৭ এএম

ডেঙ্গুতে আগস্টেই ৩৯ মৃত্যু, আক্রান্ত ছাড়াল ১০ হাজার

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২৫, ০৫:৩৭ এএম

ডেঙ্গু

ডেঙ্গু

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, দুই সিটি করপোরেশনসহ সরকারের নানা দপ্তরÑ সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করলেও প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যু। শুধু আগস্টেই আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০ হাজারের ঘর। এক মাসে মৃত্যু হয়েছে ১২২ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩১ হাজারের ওপর। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে সেপ্টেম্বর পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। নিপসমের কীটতত্ত্ববিদরা জানিয়েছেন, মশার ধরনে পরিবর্তন এসেছে। যার ফলে যেসব ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে, সেসব প্রয়োগে কর্মীদের যথেষ্ট প্রশিক্ষিত হতে হবে। ওষুধ যদি শুধু ছিটিয়ে যায়, পোকার সান্নিধ্যে না আসেÑ কোনো কাজে আসবে না। এ ক্ষেত্রে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে দেশে ৫৬৮ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। গতকাল রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৩ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১৪ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৬৭ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৮২ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪২ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৬ জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৯ জন, সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) তিনজন রয়েছেন। চলতি বছরের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৩১ হাজার ৪৭৬ জন। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক ছয় শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক চার শতাংশ নারী রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছরে এ যাবৎ ডেঙ্গুতে মোট ১২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু চারজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে সেরোটাইপ-টু এবং থ্রিÑদুটি ধরনই মিলেছে। এই দুটিকেই ঝুঁকিপূর্ণ বলছেন তারা। ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ১৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল সেরোটাইপ-টুতে। তবে পূর্ণাঙ্গ ধরন শনাক্ত না হওয়ায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে।

দেশে কত শতাংশ ডেঙ্গুরোগী কোন সেরোটাইপ দিয়ে আক্রান্ত হচ্ছে, তা শনাক্ত করে আইইডিসিআর। যার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা। ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৭০০ মানুষ ডেঙ্গুতে মারা যান। সে বছর ৭৫ শতাংশের বেশি সেরোটাইপ ডেন-টুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আর ২০২৪ সালে ৭০ শতাংশ আক্রান্ত হন ডেন-থ্রিতে। এ বছর পাওয়া গেছে দুটি ধরনই।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গুর চারটি ধরন রয়েছে। এর মধ্যে একটিতে পজিটিভ হলে পরবর্তী সময়ে ওই ধরনটিতে আবারও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তেমন নেই। তবে দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে রোগীর শারীরিক অবস্থা  হতে পারে গুরুতর।

এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. মুশতাক আহমেদ বলেন, বরগুনায় পেয়েছি সেরোটাইপ দুই এবং সেরোটাইপ তিন। আর টোটালটা হয়তো কয়দিন পরে পাওয়া যাবে। বরগুনাতে অনেক রোগী পাওয়া গেল, অনেকে মারা গেল। সম্ভবত বাংলাদেশে সেরোটাইপ দুই এবং তিন সারা দেশে আছে। পুরোটা কয়েক দিন পরে জানা যাবে। কোনো বছরই পূর্ণাঙ্গভাবে ডেঙ্গুর ধরন নির্ণয় করা যায়নি এখনো। 

এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বে-নজীর আহমেদ বলেন, প্রমাণ যদি না থাকে তাহলে কোন টাইপে তারা আক্রান্ত হয়েছে, কত লোক কোন টাইপ দ্বারা কতবার আক্রান্ত হয়েছেÑ এগুলোর কোনো তথ্যই আমাদের কাছে নেই। আমাদের এভিডেন্স জেনারেট করার জন্য প্রত্যেকবার টাইপিং করা দরকার। এটা জাতীয়ভাবে এমনভাবে করা দরকার, যাতে করে বাংলাদেশের পূর্বচিত্র আমরা পাই। 

ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ হচ্ছে বলে স্বীকার করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনও। সম্প্রতি এক সভায় আগস্ট ও সেপ্টেম্বর ডেঙ্গুর প্রকোপের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। আগস্টে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়বে এবং হাসপাতালগুলোয় ভর্তির চাপ বাড়তে পারে। বিগত বছরের অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, সেপ্টেম্বরে এ প্রকোপ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছতে পারে। তবে অক্টোবরে বর্ষা শেষ হলে সংক্রমণ কমার সম্ভাবনা রয়েছে। 

যদিও সভায় ডিএনসিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যবহৃত লার্ভিসাইডের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে একাধিক স্বীকৃত ল্যাবে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মশক নিধন কর্মীদের কাজ নিয়মিত তদারকির ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে মনিটরিং হওয়ায় পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!