জমিজমাসংক্রান্ত পূর্ববিরোধের জেরে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় প্রকাশ্য দিবালোকে জয়নুর রহমান নামে এক কৃষককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিনজন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার গোবিন্দহুদায় গ্রামে এ ঘটনা। নিহত জয়নুর রহমান একই গ্রামের ম-লপাড়ার মৃত ঝড়ু ম-লের ছেলে। আহতরা হলেন- মৃত ঝড়ু ম-লের অপর দুই ছেলে খাজা ম-ল (৫৫), জাহির ম-ল (৪৫) ও খাজা ম-লের ছেলে দিপু (১৮)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবেশী নূরুল হক পেশকার গ্রুপ ও মাসুদ বিল্লাহ মন্টু গংয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। মঙ্গলবার সকালে নিজ নিজ জমিতে কাজ করার সময় কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা-পাল্টা হামলা হয়।
পেশকার নুরুল হকের নেতৃত্বে তার ছেলে আবির, একই গ্রামের নজির, আলী হোসেন, আবুল হোসেন, রুহুল, ইয়ান, রহমান, তারিকসহ বেশ কয়েকজন মন্টু গ্রুপের জয়নুর ওপর দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। তারা ধারালো অস্ত্র নিয়ে জয়নুরসহ চারজনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় চারজনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। বেলা পৌনে ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জয়নুরের মৃত্যু হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাপলা খাতুন বলেন, আহত অবস্থায় চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জয়নাল মারা যায়। আরও একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহত সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, জমিসংক্রান্ত পূর্ববিরোধে নুরুল হক পেশকারের লোকজন চারজনকে কুপিয়ে জখম করে। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জয়নুর নামে একজনের মৃত্যু হয়। হতাহতের ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা পলাতক। তাদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন