বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বরিশাল ব্যুরো

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২৫, ১২:৫২ এএম

আ.লীগ নেত্রী কেকার মৃত্যু

পরিবারের দাবি স্বাভাবিক রহস্যের গন্ধ পাচ্ছে পুলিশ

বরিশাল ব্যুরো

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২৫, ১২:৫২ এএম

পরিবারের দাবি স্বাভাবিক  রহস্যের গন্ধ পাচ্ছে পুলিশ

ঝালকাঠি আওয়ামী লীগের নারী নেত্রী শারমিন মৌসুমী কেকার মৃত্যুকে পরিবারের পক্ষ থেকে স্বাভাবিক দাবি করা হলেও তাতে রহস্যের গন্ধ পাচ্ছে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ একটি গোষ্ঠী এই মৃত্যুকে নিয়ে রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার।

কেকার মেয়ে দ্বিতান ফেসবুক ভিডিওবার্তায় বলেছেন, তার মা বেশকিছু দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন, গত সোমবার রাতে তার হাতের ওপরে মায়ের মৃত্যু হয়। দ্বিতানের অভিযোগ, তার মায়ের মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে, যা বন্ধ করতে তিনি সবার কাছে অনুরোধ রেখেছেন।

এর আগে কেকার স্বামীর হিরণ আহম্মেদ লিটু এবং মেয়ে সাংবাদিকদের কাছেও দাবি করেছেন, কেকার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তাদের দাবি, সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শারমিন মৌসুমী কেকা হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।

তবে পুলিশ বলছে, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আওয়ামী লীগ নেত্রী কেকার লাশ দেখতে পান, তখন তার নাক থেকে রক্ত ঝরছিল। কিন্তু স্বামী লিটু এবং মেয়েসহ পরিবার এই মৃত্যু নিয়ে বিভিন্ন রকমের তথ্য দিচ্ছিলেন, যা সন্দেহজনক মনে হয়েছে।

এ বিষয়ে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি মিজানুর রহমান রূপালী বাংলাদেশকে জানান, আওয়ামী লীগ নেত্রীর মৃত্যু রহস্যাবৃত্ত। এই মৃত্যু নিয়ে স্বামী এবং মেয়ের বক্তব্য অসংলগ্ন। এটি নিয়ে ধূ¤্রজাল তৈরি হয়েছে।

আওয়ামী লীগ নেত্রীর মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা সম্ভব হবে বলে জানান ওসি।

গত সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বরিশাল শহরের সদর রোডসংলগ্ন শ^শুরবাড়িতে আ.লীগের এই নেত্রীর মৃত্যু হয়। জানা গেছে, জেলা আওয়ামী লীগ নেত্রী কেকার শ^শুরবাড়ি বরিশালে হলেও তিনি ঝালকাঠিতে জীবনের দীর্ঘ একটা সময় অতিবাহিত করেছেন। তিনি এই জেলার বাসিন্দা সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর ¯েœহভাজন হিসেবে সবার কাছে পরিচিত ছিলেন। কেকা ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে থাকাকালে ২০২০ সালে একটি বিতর্কিত ঘটনায় জড়িয়ে পড়েন। সেই বিতর্কের মুখে তাকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হলেও তিনি রাজনীতির মাঠে সরব ছিলেন।

সূত্র জানিয়েছে, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে কেকা একাধিক রাজনৈতিক মামলায় জড়িয়ে পড়েন। এ সময় গ্রেপ্তার আতঙ্কে তিনি ঝালকাঠি ছেড়ে বরিশালের সদর রোডে শ^শুরবাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!