বুধবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৫, ০১:৩১ এএম

১৮ আলোকবর্ষ দূরে সুপার-আর্থের খোঁজ

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৫, ০১:৩১ এএম

১৮ আলোকবর্ষ দূরে সুপার-আর্থের খোঁজ

মহাবিশ্বের আরও কোনো প্রান্তে বা গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব বা জীবের বসবাস আছে কি নাÑ তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের আগ্রহের শেষ নেই। ২৪ ঘণ্টাই তারা মহাবিশে^র সব জায়গায় তন্নতন্ন করে খুঁজে দেখছেন। সেই খোঁজাখুঁজির মধ্যেই এবার পৃথিবী থেকে মাত্র ১৮ আলোকবর্ষ দূরে একটি গ্রহের খোঁজ মিলেছে। পৃথিবীর মতো দেখতে কিন্তু আকারে ও ওজনে বড় বলে এ ধরনের গ্রহ সুপার-আর্থ নামে পরিচিত। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া (ইউসি), আরভিনের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই রোমাঞ্চকর সুপার-আর্থ আবিষ্কার করেছেন।

নতুন আবিষ্কৃত গ্রহটি তার নক্ষত্রের বাসযোগ্য অঞ্চল থেকে প্রদক্ষিণ করছে। এই অঞ্চলের তাপমাত্রার কারণে তরল পানি থাকার সম্ভাবনা অনেকটা উজ্জ্বল। গ্রহটিতে জীবনধারণের উপযোগী পরিবেশ থাকার সম্ভাবনাও রয়েছে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন। এই নতুন আবিষ্কৃত গ্রহটি মিল্কিওয়ে ছায়াপথের একটি নিকটবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত। এটির গঠন পাথুরে বলে মনে করা হচ্ছে। আকারে পৃথিবীর সমান হলেও ওজনে পৃথিবীর চেয়ে বহুগুণ বেশি। গ্রহটির বিভিন্ন তথ্য দ্য অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। ইউসি আরভিনের পদার্থবিজ্ঞান ও জ্যোতির্বিজ্ঞান বিভাগের বিজ্ঞানী পল রবার্টসন বলেন, আজকাল নতুন বহির্গ্রহ বা এক্সোপ্ল্যানেট আবিষ্কার করা সাধারণ ঘটনা হয়ে গেছে। নতুন এই গ্রহকে বিশেষ বলা যায়। এর নক্ষত্রটি আমাদের খুব কাছাকাছি অবস্থিত প্রায় ১৮ আলোকবর্ষ দূরে। মহাজাগতিক পরিভাষায়, এই দূরত্বকে প্রায় আমাদের প্রতিবেশে থাকার মতো বলা যায়।

জিজে ২৫১ সি নামের এই গ্রহ একটি এম-বামন নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে। এই নক্ষত্র মিল্কিওয়েতে সবচেয়ে সাধারণ ও প্রাচীন নক্ষত্রের মধ্যে অন্যতম। এসব নক্ষত্রের মধ্যে তারার মতো দাগ ও সৌরশিখার মতো তীব্র কার্যকলাপ দেখা যায়। এমন সংকেত দেখে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা গ্রহ খোঁজার চেষ্টা করেন। প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও, নতুন গ্রহটি স্বল্প দূরত্বের কারণে বেশ আকর্ষণীয়। ভবিষ্যতে সরাসরি চিত্রগ্রহণের সুযোগ রয়েছে গ্রহটির। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার থার্টি মিটার টেলিস্কোপের মতো শক্তিশালী টেলিস্কোপ এমন ক্ষীণ বহির্গ্রহের স্পষ্ট ছবি তুলতে ও পানির সম্ভাব্য উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সক্ষম হতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানী কোরি বেয়ার্ড বলেন, নতুন গ্রহটির মতো গ্রহের সরাসরি ছবি তোলার ক্ষমতা রয়েছে অনেক টেলিস্কোপের।

এই বহির্গ্রহ আবিষ্কার করতে হাবিটেবল-জোন প্ল্যানেট ফাইন্ডার থেকে পাওয়া ডেটা ব্যবহার করা হয়। এসব যন্ত্র কাছাকাছি গ্রহ থেকে সৃষ্ট মহাকর্ষীয় টানের কারণে নক্ষত্রের আলোতে খুব সামান্য পরিবর্তন শনাক্ত করতে পারে। যখন গ্রহটি তার নক্ষত্রের ওপর মহাকর্ষীয় বল প্রয়োগ করে, তখন নক্ষত্রের আলোতে ক্ষুদ্র ও নিয়মিত তারতম্য দৃশ্যমান হয়। এই দুর্বল সংকেত রেকর্ড করে গ্রহটিকে চিহ্নিত করা হয়।

সূত্র : এনডিটিভি

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!