বিয়ে একটি সামাজিক বন্ধন বা বৈধ চুক্তি, যার মাধ্যমে দুজন মানুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়। বিভিন্ন দেশে সংস্কৃতি ভেদে বিয়ের সংজ্ঞার তারতম্য থাকলেও সাধারণ ভাবে বিয়ে এমন একটি মাধ্যম, যা দ্বারা দুজন মানুষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক সামাজিক স্বীকৃতি লাভ করে। বেশির ভাগ মানুষের জীবনে বিয়ে একবারই হয়। একজন জীবনসঙ্গী নিয়েই সারাজীবন কাটিয়ে দেন সুখে-শান্তিতে। তবে অনেকের মতের অমিল কিংবা নানান ধরনের অমিলের কারণে বিয়ে ভেঙে যাওয়ার ঘটনা ঘটে, এমনকি তারা পুনরায় বিয়ে করে সুখী জীবন কাটান। তবে কোনো দুর্ঘটনা নয়, শখেও অনেকে বিয়ে করে।
বিয়ে যে কারো শখ হতে পারে তা হয়তো অনেকে বিশ্বাস করতে চাইবেন না। তবে এমন একজন মানুষ আছেন যিনি সর্বোচ্চসংখ্যক বিয়ে করে রেকর্ড গড়েছিলেন। জীবনে ৩১ বার বিয়ে করেছিলেন। চোর থেকে পুলিশ সব পেশার নারীকেই বিয়ে করেছিলেন তিনি। গ্লিন উলফ ১৯২৬ সালে তার এই বিয়ে করার যাত্রা শুরু করেন। তখন তার বয়স মাত্র ২২ বছর। সেসময় তিনি ইন্ডিয়ানার কাছেই একটি হাই স্কুলের ছাত্রী হেলেনাকে দেখে তার প্রেমে পড়েন এবং তাকে বিয়ে করেন। গ্লিনের কোনো কোনো বিয়ে টিকে ছিল কয়েক বছর, কোনো বিয়ে কয়েক মাস, কোনো বিয়ে আবার মাত্র কয়েক দিনের জন্য।
হেলেনাকে বিয়ে করার কয়েক মাস পরে, তিনি তাকে তালাক দেন এবং মার্জোরিকে বিয়ে করেন, যাকে তিনি কয়েক মাস পরে তালাক দেন। এরপরে আসেন মার্গি, তার পরে তার বান্ধবী মিলড্রেড। একবার অতিরিক্ত মদ্যপান করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন গ্লিন। তখন নার্সকে তিনি বলেছিলেন তিনি প্রিসেন্স ডায়নাকে বিয়ে করতে চান। এমনকি তা নিয়ে এমন জোরাজুরি শুরু করেন যে তার প্যানিক অ্যাটাক হয়ে যায়। প্রিসেন্স ডায়নাকে বিয়ের স্বপ্ন পূরণ না হলেও সেই যাত্রায় প্রাণে রক্ষা পান গ্লিন।
এমনকি তার মৃত্যু হয় ৮৯ বছরে, তখনো তিনি ছিলেন মাদকাসক্ত। গ্লিনের স্ত্রীদের মোট ১৯ জন সন্তান ছিল। কিন্তু শেষ জীবন তার এতটাই নিঃসঙ্গ ছিল যে, জন উলফ নামের ৩৩ বছর বয়সি এক সন্তান ছাড়া কেউই তাকে সমাধিস্থ করতে আসেননি। কোনো স্ত্রী, সন্তান এমনকি কোনো আত্মীয়-স্বজনও আসেননি গ্লিনকে শেষ বিদায় দিতে। স্ত্রীদের মধ্যে ২৮ নম্বর স্ত্রীর সঙ্গেই সবচেয়ে বেশি দিন সম্পর্কে ছিলেন গ্লিন, ১১ বছর। সেই স্ত্রীর নাম ক্রিস্টিন ক্যামাচো।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন