বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


সবুজ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২৫, ০১:৩৭ এএম

শিখে নিন

ফুলকপির চাষ পদ্ধতি

সবুজ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২৫, ০১:৩৭ এএম

ফুলকপির চাষ পদ্ধতি

ফুলকপি বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ও পুষ্টিকর শীতকালীন সবজি। এটি সাধারণত ঠান্ডা আবহাওয়ায় ভালো জন্মে এবং দেশের প্রায় সব অঞ্চলে চাষযোগ্য। নিচে ফুলকপি চাষের বর্ণনা দেওয়া হলো:

জমি তৈরি

মাটি নির্বাচন: ফুলকপি চাষের জন্য উর্বর দোআঁশ বা এঁটেল মাটি সবচেয়ে ভালো। মাটিতে জৈব পদার্থ থাকলে ফলন ভালো হয়।

চাষ পদ্ধতি: জমিকে ভালোভাবে চাষ করে ঝুরঝুরে ও নালিযুক্ত করতে হবে। অন্তত ৪-৫ বার চাষ ও মই দিয়ে সমানভাবে জমি তৈরি করতে হবে। চাষের সময় জমি থেকে সব আগাছা, পাথর ও আবর্জনা পরিষ্কার করতে হবে।

বীজ বপন ও চারা তৈরি

বপনের সময়: সাধারণত ভাদ্র থেকে আশ্বিন মাসে (মধ্য আগস্ট থেকে মধ্য অক্টোবর) বীজ বপন করা হয়।

বীজতলা প্রস্তুতি: উঁচু স্থানে, ১ মিটার প্রস্থ ও প্রয়োজন অনুযায়ী দৈর্ঘ্যরে বীজতলা তৈরি করুন। বীজ বপনের আগে বীজতলায় জৈব সার ও প্রাথমিক রাসায়নিক সার মিশিয়ে নিতে হবে।

চারা তৈরি: বীজ বপনের পর ১০-১২ দিন পর চারা একটু বড় হলে দ্বিতীয় বীজতলায় স্থানান্তর করা যেতে পারে। ৩০-৩৫ দিন বয়সের বা ৫-৬টি পাতাবিশিষ্ট চারা রোপণের জন্য উপযুক্ত হয়।

চারা রোপণ

রোপণের উপযুক্ত সময়: বিকেলের দিকে রোপণ করা শ্রেয়, যাতে রোদ কম থাকে এবং চারার পানি কমে না যায়।

রোপণের দূরত্ব: সারি থেকে সারি: ৬০ সেমি (২৪ ইঞ্চি) রাখতে হবে। গাছ থেকে গাছ প্রায় ৪০ সেমি (১৮ ইঞ্চি) রাখতে হবে এতে করে গাছ পর্যাপ্ত আলো ও জায়গা পায় এবং রোগ-বালাই কম হয়।

সার প্রয়োগ

চারা রোপণের আগে হেক্টরপ্রতি মাটির উর্বরতা অনুযায়ী দিতে হবে ইউরিয়া: ২৫০-৩০০ কেজি, টিএসপি: ২০০-২৫০ কেজি, এমওপি (পটাশ): ১৫০-২০০ কেজি, জিপসাম ও বোরাক্স। চারা রোপণের ৫-২০ দিন পর পুনরায় ইউরিয়া প্রয়োগ করতে হয়। গাছ না বাড়লে বীজতলায় প্রতি ১০০ গ্রাম ইউরিয়া প্রয়োগ করা যেতে পারে।

পরিচর্যা ও আগাছা নিয়ন্ত্রণ

আগাছা নিয়ন্ত্রণ জমি আগাছামুক্ত রাখতে নিয়মিত নিড়ানি বা হাত দিয়ে আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। মাটি চাপা দেওয়া গাছের গোড়ায় নিয়মিত মাটি তুলে দিতে হবে যাতে গাছ সোজা থাকে এবং মূলে পানি ধরে রাখে। সেচ দেওয়া শুষ্ক মৌসুমে সপ্তাহে ১-২ বার সেচ দিতে হবে, বেশি পানি জমে থাকলে গাছ পচে যেতে পারে, তাই নিষ্কাশনের ব্যবস্থা জরুরি। রোগ-বালাই নিয়ন্ত্রণ ফুলকপিতে মাইল্ডিউ, পোকামাকড় (যেমন শুঁয়োপোকা, কুড়পোকা) দেখা দিতে পারে, জৈব বা অনুমোদিত কীটনাশক প্রয়োগ করে দমন করতে হবে।

ফসল সংগ্রহ

ফুলকপি গঠনের সময়: চারা রোপণের ৪৫-৫৫ দিন পর গাছে পুষ্পমঞ্জুরি (ফুলকপি) দেখা যায়।

সংগ্রহের সময়: সাধারণত ৬০-৭০ দিন পর ফুলকপি সংগ্রহের উপযুক্ত হয়। ফুলকপি যখন পূর্ণ ও শক্ত হয়, তখনই কেটে নিতে হবে। দেরি করলে ফুল ফেটে যেতে পারে, এতে বাজারমূল্য কমে যায়।

চাষের টিপস

ফলন ভালো পেতে প্রতি হেক্টরে ২০-২৫ টন গোবর সার ব্যবহার করতে পারেন। গাছের চারপাশে নতুন মাটি দিয়ে গোড়া শক্ত করে দিন। রোগ-বালাই নিয়ন্ত্রণে গাছ নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করুন। এক হেক্টর জমিতে সঠিক নিয়মে চাষ করলে আপনি ২৫-৩৫ টন পর্যন্ত ফুলকপি পেতে পারেন।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!