চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের চন্দনাইশ থানার ওসি মো. গোলাম সরওয়ারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ করেছেন মো. জাহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি।
সম্প্রতি দুদকের সেগুন বাগিচা, ঢাকা কার্যালয়ে এ অভিযোগ করা হয়। ওসি গোলাম সরওয়ারকে অর্থ পাচারকারী হিসেবে অভিযুক্ত করে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, নামে-বেনামে শত শত কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন অভিযুক্ত গোলাম সরওয়ার। অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে এসব অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি। অভিযুক্ত ব্যক্তি অবৈধভাবে বিভিন্ন জায়গা জমি, ফ্ল্যাট, রিসোর্ট ও শপিংমলের মালিক। অনেক অর্থ হুন্ডি ও বিভিন্ন উপায়ে দুবাই, কানাডা, মালয়েশিয়াসহ আরও একাধিক দেশের বাইরে পাচার করে অভিযুক্ত ব্যক্তি বিদেশেও অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্ত ব্যক্তির স্ত্রী-সন্তানদের নামে-বেনামে শত শত শতক চাষিজমি, পাহাড়ি জমি, বসুন্ধরা আবাসিক ও পূর্বাচল আবাসিকে একাধিক প্লট রয়েছে। ঢাকা শহরের যথাক্রমে যমুনা ফিউচার পার্ক ও বসুন্ধরা শপিংমলে নামে-বেনামে দোকান ক্রয় করেছেন গোলাম সরওয়ার।
সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করলে অভিযুক্তের আরও অবৈধ সম্পদের সন্ধান পাওয়া যাবে উল্লেখ করে অভিযোগ নামাতে বলা হয়, গোলাম সরওয়ারের নিজ গ্রাম ও নরসিংদী শহরের বাসায় প্রচুর পরিমাণে অর্থ রয়েছে। অভিযান চালালে এসব অর্থ পাওয়া যাবে।
বোয়ালখালী থানায় থাকাকালীন নিরীহ মানুষকে নির্যাতনসহ থানায় আসা সেবাপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে এই অভিযুক্ত ওসির বিরুদ্ধে।
অভিযুক্তের বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মো. বখতিয়ার জানান, কেউ মামলা করতে গেলে মোটা অঙ্কের টাকা ছাড়া মামলা নিতেন না এই ওসি। মামলা হওয়ার পর গ্রেপ্তার করার ভয় দেখিয়েও হাতিয়ে নিতেন টাকা। বখতিয়ার আরও বলেন, ‘ওসি গোলাম সরওয়ারের এসব অপকর্ম উল্লেখ করে এরই মধ্যে আমি জেলা পুলিশ সুপার এবং জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।’
দুদকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি মো. গোলাম সরওয়ার বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি কিছু জানিই না, বাদীকেও চিনি না। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নাই।’