বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২৫, ০১:৪৭ এএম

৭১ শতাংশ জনগণ পিআর পদ্ধতি চাইলেও নারাজ একটি দল

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২৫, ০১:৪৭ এএম

৭১ শতাংশ জনগণ পিআর পদ্ধতি চাইলেও নারাজ একটি দল

  • সিলেকশন নয়, ইলেকশন চাই

জামায়াতে ইসলামী ইলেকশন চায়, সিলেকশন চায় না, মেনেও নেবে না উল্লেখ করে দলটির নায়েবে আমির সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, সরকারের নির্বাচনের রোডম্যাপকে শুধু একটি দল স্বাগত জানিয়েছে। গনতন্ত্রকামী দেশের অন্য রাজনৈতিক দলগুলো স্বাগত জানায়নি, জানাতে পারেনি। কারণ নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রের সংস্কার, সব গণহত্যার বিচার নিশ্চিত এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি। 

গতকাল বুধবার বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগর রোডে (পানির ট্যাংক-সংলগ্ন সড়ক) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরীর (উত্তর ও দক্ষিণ) উদ্যোগে জুলাই ঘোষণা ও জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি প্রদান এবং সেই আলোকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলের আগে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও এ দেশের জনগণ একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখেনি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর জাতি নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের আশা করেছে। এজন্য রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার ও গণহত্যার বিচার চেয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়ে ঘোষণাও দিয়েছিল রাষ্ট্রের সংস্কার করবে। কিন্তু এই সরকারের উচিত ছিল আগে নিজেরা যে চেয়ারে বসেছে, সেই চেয়ারগুলো ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার ও পবিত্র করা। 

তিনি আরও বলেন, মাসের পর মাস সংস্কারের নামে রাজনৈতিক নেতদের ডেকে নিয়ে পরিশেষে সংস্কারের আইনি ভিত্তি দিতে পারবে না বলে সরকার জাতির সঙ্গে তামাশা করেছে। জুলাই ঘোষণাপত্রের সাংবিধানিক উপায় আলী রীয়াজ দেখাতে না পারলেও আমরা দেখাতে পারব মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদের সেই দায়িত্ব দেন, আমাদের সঙ্গে বসেন।

দেশের ৭১ শতাংশ জনগণ পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন চাইলেও একটি দল জনগণের মতের বিপক্ষে উল্লেখ করে সাবেক এমপি ডা. তাহের বলেন, অধিকাংশ জনগণের মতামত মেনে নেওয়ার নামই ডেমোক্রেসি। তিনি বলেন, দেশের সাধারণ জনগণ পিআর পদ্ধতি বুঝলেও একটি মাত্র দল দাবি করে, তারা পিআর বোঝে না। আসলে তারাও পিআর বোঝে! কিন্তু মেনে নিতে চায় না। কারণ পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে ভোট চুরি করতে পারবে না, ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করে জনগণকে শোষণ করতে পারবে না। এ জন্যই তারা পিআর পদ্ধতির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। 

যারা পার্লামেন্টে গিয়ে সংস্কার করবে বলছে, এখন সংস্কারের আপত্তি কেন প্রশ্ন রেখে বলেন, ক্ষমতায় গিয়ে সংস্কার করবে বলা দল কীভাবে নিশ্চিত হয়েছে তারাই এবার ক্ষমতায় বসবে? তাদের এ কথায় জনমনে সংশয় তৈরি হয়েছে। এতে বোঝা যায়, তারা হাসিনা মার্কা যেনতেন একটি তামাশার নির্বাচন করতে চায়। 

জনগণের মতের বিপক্ষে গিয়ে আরেকটি ওয়ান-ইলেভেন সৃষ্টি না করতে তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, অনতিবিলম্বে জনগণের দাবি মেনে জুলাই ঘোষণাপত্রের আইনি ভিত্তি দিতে হবে।  

সভাপতির বক্তব্যে নূরুল ইসলাম বুলবুল সমাবেশের কারণে নগরবাসীর সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এই কষ্ট দেশ ও জাতির আগামীর ভাগ্য নির্ধারণের জন্য, জামায়াতে ইসলামীর সব কর্মসূচি দেশ ও জাতির স্বার্থে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অপূর্ণাঙ্গ জুলাই ঘোষণাপত্র জাতির সামনে উপস্থাপন করে বলেছিলেন, নির্বাচিত সরকার জুলাই ঘোষণাপত্রের আইনি ভিত্তি দেবে! কারণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নাকি সাংবিধানিক সেই ক্ষমতা নেই!

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, তাহলে কোন সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব পালন করছে? বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতি আনুগত্য না দেখাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, গণভোটের মাধ্যমে জুলাই ঘোষণাপত্রের আইনি ভিত্তি দিতে হবে। 

পিআর পদ্ধতি জামায়াতের রাজনৈতিক দাবি নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই দাবি প্রত্যেক নাগরিকের মতামতের মূল্যায়নের জন্য। পিআর পদ্ধতিতেই জনগণের সরকার ও সংসদ গঠিত হয়। তাই পিআর পদ্ধতিসহ ৭ দফা দাবি মেনে নিতে তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।  

সমাবেশ শেষে বিজয়নগর থেকে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল কাকরাইল নাইটিঙ্গেল মোড়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে কেন্দ্রীয় ও মহানগরী নেতারাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত ঘোষণা দিলেও বাস্তবে নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই। 

কোনো দলের পক্ষ হয়ে কাজ করলে পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি সরকারকে নিরপেক্ষতার পরিচয় দিয়ে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান। কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিমের যৌথ পরিচালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন প্রমুখ। 
 

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!