সহপাঠীদের ওপর হামলার অভিযোগে জড়িত তিন শিক্ষককে বহিষ্কারের দাবিতে টানা চতুর্থ দিনের মতো ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ করেন বরিশাল নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা। গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে কলেজের একাডেমিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা কালো কাপড়ে চোখ-মুখ ঢেকে বিক্ষোভ করেন। অভিযুক্ত তিন শিক্ষক আলী আজগর, সাইদ হোসাইন রনি এবং ফরিদা বেগমকে অবিলম্বে বহিষ্কার করার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন ক্লাস রুটিন প্রণয়ন ও বিদ্যমান প্রহসনমূলক রুটিন বাতিলের দাবি রাখেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিতে আমরা আন্দোলন শুরু করেছিলাম। গত ৬ মে আমাদের আন্দোলনে বহিরাগতদের এনে হামলা চালানো হয়। আমরা হামলাকারী ও তাদের মদদদাতা কলেজের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণের দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু ঘটনার পর দীর্ঘ চার মাস হয়ে গেলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। শিক্ষক আলী আজগর, সাইদ হোসাইন রনি এবং ফরিদা বেগম এখনো সপদে বহাল আছেন। আমাদের লাঞ্ছিত করেও যারা ক্যাম্পাসে আছেন তাদের অনতিবিলম্বে বদলি বা অপসারণ করতে হবে।
স্টুডেন্ট নার্সেস ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন বরিশাল নার্সিং কলেজ শাখার দপ্তর সম্পাদক ফজলে রাব্বি রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা ধারাবাহিক কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। আমাদের দাবি না মানলে এই আন্দোলন অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন