ঢাকা শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

জুলাইয়ের মামলা থেকে অব্যাহতির  কথা বলে চাঁদাবাজি: তিনজন কারাগারে

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৫, ১১:২৪ পিএম

সমন্বয় পরিচয়ে জুলাই আন্দোলনের মামলা থেকে অব্যাহতির ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বলে ১০ লাখ টাকার চাঁদা দাবি করে তিন যুবক। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর করা মামলায় তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল শুক্রবার বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন- এএইচএম নোমান রেজা, তানজিল হোসেন ও ফারিয়া আক্তার তমা।

আদালতের পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক আতিকুর রহমান খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে, আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক আব্দুল মালেক খান।

আটক রাখার আবেদনে বলা হয়, আসামিরা নিজেদের সমন্বয় পরিচয় দেন বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। ঘটনার বিষয়ে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা পেশাদার চাঁদাবাজ বলে জানা যায়। আসামিদের নাম-ঠিকানা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। নাম-ঠিকানা যাচাই প্রক্রিয়াধীন। মামলার অন্যান্য আসামি পলাতক আছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিদের জেলহাজতে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন।

এদিকে, আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাদের জামিন চেয়ে আবেদন করেন এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এর বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ৫০ মিনিটে এ এইচএম নোমান রেজাকে বিমানবন্দর থানার সামনে থেকে আটক করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যমতে রাত ৩টা ৪০ মিনিটে তানজিল হোসেন ও ফারিয়া আক্তার তমাকে বিমানবন্দর থানার জসিম উদ্দিন এলাকা থেকে আটক করা হয়। 

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১১ সেপ্টেম্বর রাত ১টা ১০ মিনিটে উত্তরা পশ্চিম থানার ১৩ নাম্বার সেক্টরের ৬ নাম্বার রোডের ৩৩ নাম্বার বাসায় প্রবেশ করে আসামিরা নিজেদের সমন্বয় পরিচয় দেয়। পুলিশের অগোচরে বাদীর ভগ্নিপতি দেলোয়ার হোসেনকে মামলা থেকে অব্যাহতি পাইয়ে দেওয়ার কথা জানিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ সময় বাদী বিভিন্নভাবে ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা জোগাড় করেন। বিকেল ৪টার মধ্যে বাকি সাড়ে চার লাখ টাকা দিতে বলে, অন্যথায় ক্ষতি করার হুমকি দিয়ে চলে যান তারা। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করা হয়।