অতিসম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল সংসদের নবনির্বাচিত সহ-সভাপতি (ভিপি) এক দোকানিকে জরিমানা করেন। সেটি করার এখতিয়ার ছাত্রনেতার আছে কি নাÑ সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ৭ নভেম্বর প্রজন্ম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ প্রশ্ন তোলেন।
গত ১২ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টারদা সূর্য সেন হলের একটি দোকান থেকে টেস্টিং সল্ট (এমএসজি) পাওয়ায় হল সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) আজিজুল হক দোকানিকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেন। টেস্টিং সল্টের বিষয়ে প্রথমে দোকানদার অভিযোগ অস্বীকার করলেও পরে খাবারে তা মেশানোর কথা স্বীকার করেন। এ সময় ভিপির পক্ষ থেকে দোকানদারের সঙ্গে একটি লিখিত চুক্তিনামা স্বাক্ষরিত হয়, যাতে তিন দিনের মধ্যে জরিমানা না দিলে দোকানের চুক্তি বাতিলের সুপারিশ করার কথা উল্লেখ ছিল। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ এ ঘটনায় আপত্তি জানিয়ে বলেন, জরিমানা করার এখতিয়ার ছাত্রনেতাদের নেই।
এ বিষয়ে রিজভী বলেন, ‘ছাত্ররাজনীতিতে যা ঘটছে, আপনারা সব দেখছেন। একজন ভিপি হয়েছেন, কিন্তু তাকে কি ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া হয়েছে? বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে কে দোকান করছে, কে মার্কেট করছেÑ এটা তো ইউনিভার্সিটির প্রশাসন আছে, তারা ব্যবস্থা নিতে পারে। সেখানে ছাত্রনেতা শুধু অভিযোগ করতে পারেন। কিন্তু আপনি গিয়ে ফাইন করে দিচ্ছেন, সেই টাকা যাচ্ছে জামায়াতের বায়তুল মালে।’ তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে দলের পক্ষ থেকে লোহার খাট দেওয়া হচ্ছে। এটা তো অদ্ভুত ব্যাপার! এটা কোনো রাজনৈতিক সংগঠন বা ডাকসুর দায়িত্ব নয়। ছাত্রদের থাকার সমস্যা থাকলে আন্দোলন করে প্রশাসন থেকে সেটার ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। এটা তো রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে একটা কাজ। এটা কি এতিমখানা নাকি, যে আপনি সেখানে লোহার খাট দেবেন, খাওয়ার জন্য ডাইনিং টেবিল দেবেন? এই জিনিসগুলো খুব খারাপ লক্ষণ।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন