রাজধানীর কলাবাগানে পুলিশ বক্সের সামনে কাঁদতে থাকা এক শিশুকে (১২) নারায়ণগঞ্জে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মো. রুহুল আমিন নামের এক পুলিশ কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলার পর তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর ভুক্তভোগী মেয়েটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর চাচা বাদী হয়ে বন্দর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন।
ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া মো. রুহুল আমিন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ধানমন্ডি ট্রাফিক ডিভিশনে কর্মরত ছিলেন। ৪১ বছর বয়সি রুহুল মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীর শেখ সাদির ছেলে। তিনি বন্দর উপজেলার রূপালী আবাসিক এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।
নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, ভুক্তভোগী শিশু কলাবাগান থানার লেক সার্কাস এলাকায় এক বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করত। গত সোমবার পুলিশ কনস্টেবল রুহুল আমিন ওই শিশু গৃহকর্মীকে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার রুপালী এলাকায় একটি বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে পুনরায় কলাবাগান নিয়ে যাওয়ার পথে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ২নং রেলগেটসংলগ্ন এলাকায় শিশুটি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে রুহুল আমিনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
নারায়ণগঞ্জ কোর্টের পুলিশ পরিদর্শক মো. কাইউম খান বলেন, ‘অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে আদালতে আনা হয়েছে। আদালত পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।’
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তারেক আল মেহেদী জানান, ভিকটিমের চাচা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। নির্যাতিতা শিশুকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন