ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২৫

দেশের প্রথম ছাদবাগান সহায়তা কেন্দ্র গড়ছে ডিএনসিসি

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২৫, ১২:৪২ এএম

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে এবং গ্রিন সেভার্স ও ডেল্টা ডট লিমিটেডের সহযোগিতায় রাজধানীতে গড়ে উঠছে দেশের প্রথম ‘আরবান ট্রি মিউজিয়াম’ ও ‘বৃক্ষ সেবা ও ছাদবাগান সহায়তা কেন্দ্র’। উদ্যোগটি বাস্তবায়ন ও রক্ষণাবেক্ষণে গতকাল বুধবার গুলশান নগর ভবনে ডিএনসিসি, গ্রিন সেভার্স ও ডেল্টা ডট লিমিটেডের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

সমঝোতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, আরবান ট্রি মিউজিয়াম এবং বৃক্ষ সেবা ও ছাদবাগান সহায়তা কেন্দ্র একসঙ্গে নগরের মানুষকে প্রকৃতির সঙ্গে যুক্ত করবে। এটি হবে শেখা, অংশগ্রহণ ও প্রকৃতিকে ভালোবাসার একটি কেন্দ্র। গাছের যতœ মানেই নিজের জীবনের যতœ।

রাজউক উত্তরা বর্ধিত প্রকল্প (ফেইজ-৩) এলাকায় প্রতিষ্ঠিত এই অনন্য মিউজিয়াম নগর সবুজায়ন, বৃক্ষ সংরক্ষণ ও নাগরিক সচেতনতার নতুন অধ্যায় সূচনা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন আয়োজকরা।

আয়োজকদের মতে, ‘আরবান ট্রি মিউজিয়াম’Ñ এ ঢাকার বিলুপ্তপ্রায় ও দেশীয় বৃক্ষ প্রজাতির একটি সমৃদ্ধ সংগ্রহশালা তৈরি করা হবে। এটি শুধু প্রদর্শনীর স্থান নয়Ñ এখানে গবেষণা, শিক্ষা ও বিনোদনের সুযোগও থাকবে, যাতে নগরবাসী প্রকৃতির সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হতে পারেন। মিউজিয়ামটি নগর বনায়ন ও পরিবেশ পুনরুদ্ধারের প্রতীক হিসেবে কাজ করবে, যা নাগরিকদের সবুজের প্রতি ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ জাগিয়ে তুলবে।

এ ছাড়া গুলশানের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ স্মৃতি পার্কে ডিএনসিসি ও গ্রিন সেভার্স যৌথভাবে গড়ে তুলছে ‘বৃক্ষ সেবা ও ছাদবাগান সহায়তা কেন্দ্র’।

এই কেন্দ্রটিতে নাগরিকরা তাদের অসুস্থ বা আক্রান্ত গাছের পাতা, ফল কিংবা মাটির নমুনা এনে বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা পরামর্শ নিতে পারবেন। থাকবে ‘ট্রি হসপিটাল’, প্ল্যান্ট ফার্মেসি ও ল্যাবরেটরি, যেখানে জৈব বিশ্লেষণ, মাটির উপযোগিতা পরীক্ষা, কীটপতঙ্গ শনাক্তকরণ এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ ও উদ্ভিদের অণুখাদ্য সরবরাহের ব্যবস্থা থাকবে।

এ ছাড়া নাগরিকদের জন্য থাকবে সবুজ পরিবেশে বই পড়া ও বিশ্রামের স্থান, স্বল্পমূল্যে গাছের চারা ক্রয়ের সুযোগ এবং ‘গাছের শেল্টার হোম’Ñ যেখানে কেউ ভ্রমণে গেলে নিজের গাছ নিরাপদে জমা দিয়ে যেতে পারবেন। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এই সমন্বিত উদ্যোগগুলো নগর পরিবেশ পুনরুদ্ধার, সবুজ অবকাঠামো উন্নয়ন ও টেকসই নগরায়ণের পথে বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।