ঢাকা বুধবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫

মানবাধিকার কমিশনের অধীনে হবে ‘জাতীয় প্রতিরোধ ব্যবস্থা বিভাগ’

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২৫, ০১:২১ এএম

নির্যাতন ও অমানবিক আচরণ প্রতিরোধে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাঠামোতে পরিবর্তন এনে ‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করা হয়েছে। এতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের অধীনে ‘জাতীয় প্রতিরোধ ব্যবস্থা বিভাগ’ নামের একটি পৃথক ইউনিট গঠনের বিধান সংযোজন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ থেকে অধ্যাদেশের গেজেট জারি করা হয়েছে।

গেজেটে বলা হয়েছে, নতুনভাবে জাতীয় প্রতিরোধ ব্যবস্থা বিভাগ গঠন, স্বাধীন বাজেট, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং স্বাধীনতাবঞ্চিত ব্যক্তিদের সুরক্ষায় বিস্তৃত ক্ষমতা যুক্ত করা হয়েছে। নির্যাতন এবং অন্যান্য নিষ্ঠুর, অমানবিক বা লাঞ্ছনাকর আচরণ ও দ-বিরোধী সনদের ঐচ্ছিক প্রটোকল বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের অধীনে জাতীয় প্রতিরোধ ব্যবস্থা বিভাগ নামের একটি পৃথক ইউনিট গঠনের বিধান সংযোজন করা হয়েছে সংশোধিত অধ্যাদেশে।

এ ছাড়া অধ্যাদেশের নতুন ৩০(ক) ধারা অনুযায়ী এই বিভাগের প্রধান হবেন কমিশনের চেয়ারপারসন। তার সঙ্গে থাকবেন কমিশন মনোনীত একজন কমিশনার এবং কারাবন্দি বা স্বাধীনতা-বঞ্চিতদের অধিকার ও কল্যাণ বিষয়ে অভিজ্ঞ একজন মানবাধিকারকর্মী, যিনি কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ পাবেন। প্রয়োজন অনুযায়ী আইন, ফরেনসিক মেডিসিন, মনোবিজ্ঞান বা মানসিক স্বাস্থ্য, জেন্ডার বা আটক ব্যবস্থাপনায় বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের কো-অপ্ট বা পরামর্শক হিসেবে যুক্ত করার ক্ষমতাও বিভাগকে দেওয়া হয়েছে।