রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২৫, ০৬:৪৯ এএম

আমার কোনো অপ্রাপ্তি নেই

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২৫, ০৬:৪৯ এএম

আমার কোনো অপ্রাপ্তি নেই

বাংলা চলচ্চিত্রের কালজয়ী অভিনেত্রী শবনম। ১৯৬১ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে মুস্তাফিজ পরিচালিত ‘হারানো দিন’ চলচ্চিত্রে নায়িকা হিসেবে ক্যামেরার সামনে প্রথম আবির্ভূত হন। এর আগে তিনি এহতেশাম পরিচালিত ‘এ দেশ তোমার আমার’ চলচ্চিত্রে নৃত্যশিল্পী হিসেবে বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন। ১৯৬২ সালে উর্দু চলচ্চিত্র ‘চান্দা’তে অভিনয় করে সমগ্র পাকিস্তানে তারকাখ্যাতি অর্জন করেন। ষাট থেকে আশি দীর্ঘ তিন দশক ধরে একটানা অভিনয় করে নায়িকা খ্যাতি ধরে রেখেছিলেন তিনি। সর্বশেষ ১৯৯৯ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘আম্মাজান’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন শবনম। এরপর আর ঢাকার সিনেমায় তাকে পাওয়া যায়নি। জীবন্ত কিংবদন্তি এই অভিনেত্রীর আজ ৮০তম জন্মদিন। জীবনের বিশেষ দিনে তিনি কথা বলেছেন দৈনিক রূপালী বাংলাদেশের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রুহুল আমিন ভূঁইয়া

শুভ জন্মদিন

ধন্যবাদ আপনাকে ও রূপালী বাংলাদেশ পত্রিকাকে। বিশেষ দিনে সবার কাছে আমার জন্য দোয়া চাই। একজীবনে সবার অসীম ভালোবাসা পেয়েছি।

পরিকল্পনা

জন্মদিন নিয়ে সেভাবে কখনোই পরিকল্পনা ছিল না। এবারও ছেলেকে নিয়েই ঘরোয়াভাবে জন্মদিন কাটবে। আমরা বাইরে ঘুরতে যাব এবং ডিনার করব। ছোটবেলায় জন্মদিন উদযাপন ছিল অনেক আনন্দের। তখন উপহার পেতাম খুব ভালো লাগত। মিস করি ফেলে আসা দিনগুলো। জীবনের শেষ সময়ে এসে পৌঁছেছি। সবার কাছে দোয়া চাই যত দিন বাঁচি, যেন সুস্থ অবস্থাতেই বাঁচি।

পার্থক্য

আগের আর এখনকার জন্মদিনে অনেক তফাত। যখন তরুণ বয়স ছিল তখন দিনটির জন্য অপেক্ষা করতাম, কখন সবাই শুভেচ্ছা জানাবে। পরিবার ও সহকর্মীরা নানাভাবে দিনটি উপহার দিত। এখন জন্মদিন এলে মনে হয় কবরের দিকে যাচ্ছি।

শবনম: রূপনগরের রাজকন্যা

জন্মদিন উপলক্ষে প্রথমবার দেশের টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দিয়েছি। সাংবাদিক আবদুর রহমানের উপস্থাপনা ও পরিচালনায় চ্যানেল আইতে ‘শবনম: রূপনগরের রাজকন্যা’ শিরোনামের বিশেষ অনুষ্ঠানটি প্রচার হবে আজ রাত ৮টা ২৫ মিনিটে চ্যানেল আইতে। দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে। এ সাক্ষাৎকারে স্মৃতিময় জীবনের নানা গল্প উঠে এসেছে। আরও একবার সোনালি দিনে ফিরে গিয়েছি। আমাদের সবার প্রিয় রহমান ভাই সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন। সব মিলিয়ে ভালো ছিল।

দর্শক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও আম্মাজানের পর পর্দায় না পাওয়ার কারণ?
এ সিনেমার মতো গল্প কেউ আমাকে আর দিতে পারেনি, যার কারণে আর পর্দায় দেখা যায়নি। আম্মাজানের গল্প আমাকে এত ওপরে নিয়ে গিয়েছিল চাইলেই যেকোনো মায়ের চরিত্র করতে পারতাম না। আমার কাজের আগ্রহ ছিল। কিন্তু ভালো গল্প পাইনি।

কেমন গল্প চেয়েছিলেন?

আম্মাজান সিনেমা করার পর অগণিত মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। চরিত্রটি দর্শক হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিল সে সময়। এখনো মানুষ চরিত্রটি মনে রেখেছেন। আমার চাওয়া ছিল আম্মাজানের চরিত্র উতরে যাবে এমন কিছু। কিন্তু আজও এমন চরিত্র পাইনি। যে কারণে আর দেখা যায়নি। আমি একবার কাজী হায়াৎ সাহেবকে বলেছিলাম, হায়াৎ ভাই কি হলো, আমাকে আর কোনো চরিত্র দিচ্ছেন না কেন। একটা দিয়েই শেষ। তিনি উত্তরে বলেছিলেন, এরপর আর কি দেব, আমি নিজেও জানি না।

চলচ্চিত্র অঙ্গন মিস করেন?

মিস তো অবশ্যই করি। এখন অনেক বয়স হয়েছে। ঘরবন্দি পরিবারের সঙ্গে সময় কাটে। তবে চলচ্চিত্রের কথা মনে পড়ে।

মূল্যায়ন

এখনকার সিনেমা সম্পর্কে সেভাবে খোঁজ রাখা হয় না। তবে পত্রিকা ও ইউটিউবে দেখে যতটুকু ধারণা রাখা। যদিও এখন চলচ্চিত্রের কারো সঙ্গে সেভাবে আমার যোগাযোগ নেই। নতুনদের সঙ্গেও আমার পরিচয় নেই। এ জায়গায় একটা গ্যাপ রয়েছে।

প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে আমার কোনো অপ্রাপ্তি নেই। আমি সব ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছি। এক জীবনে যা কিছু পেয়েছি, তার পুরোটাই প্রাপ্তি।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!