দর্শকপ্রিয় নাট্যাভিনেত্রী তনিমা হামিদ। একসময় নিয়মিত নাটকে সরব ছিলেন তিনি। নব্বইয়ের দশকে বিটিভির নাটকে তার দাপুটে অভিনয় দর্শকদের মন কেড়েছিল। সেসময় টিভি নাটকে নিয়মিত তাকে দেখা গেলেও এখন কালেভদ্রে দেখা মেলে। দীর্ঘদিন পর্দায় অনুপস্থিত। মঞ্চে তার সরব উপস্থিতি। শিক্ষকতা করছেন ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে। শিক্ষকতা, কাউন্সেলিং ও সংসার সামলে কেটে যায় সময়। নিজের ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা বলেছেন দৈনিক রূপালী বাংলাদেশের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এম তারেক।
জন্মদিন কেমন কাটালেন?
জন্মদিন ভালোই কাটে। সবমিলিয়ে পাঁচটি কেক কেটেছি। রাত বারোটায় বাসায় কেক চলে আসে। পরদিন অফিসের সহকর্মীরা কেক নিয়ে আসেন। সবচেয়ে ভালো লাগে যখন দেখি পুরোনো শিক্ষার্থীরা কেক নিয়ে আসে। বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের আনা তিনটি কেক কেটেছি।
অনেকদিন অভিনয়ে নেই। কেন?
বহুদিন হলো অভিনয় করি না। শিক্ষকতার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং করতে হয়। সপ্তাহে পাঁচ দিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে প্রায় সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে সময় দিতে হয়। সামনে ছেলের- ও লেভেল পরীক্ষা। সংসারের কাজ থাকে। তাই আর সময় হয় না। তা ছাড়া নাটক করলেই তো হয় না। চ্যালেঞ্জিং চরিত্র যা আগে করা হয়নি এমন না হলে অভিনয় করে লাভ নেই।
বর্তমান নাটকের মান কেমন দেখছেন?
খুব কম দেখা হয়। আগেও ভালো-মন্দ মিলিয়ে কাজ হতো। এখন কাজের সংখ্যা বেড়েছে। ভালো কাজের সংখ্যা যেমন বেড়েছে, মন্দ কাজের সংখ্যা বাড়াও স্বাভাবিক।
এখন নাটকের নামের মাঝে মাধুর্য খুঁজে পাওয়া যায় না
অসুস্থ একটি বিষয় চলছে। যা হলো ভিউ। বেশি ভিউ হলে বেশি টাকা। সাহিত্য সমৃদ্ধ নাম দিলে সেটির ভিউ হয়তো তেমন হচ্ছে না, অন্যদিকে অদ্ভুত নাম দিলে দর্শক কৌতূহলবশত ক্লিক করছে। নাটক শুধু নয়, কনটেন্টের ক্ষেত্রেও এ কথা প্রযোজ্য। আগে যেমন- জ্যোতিষীরা বলতেন, আসছে সামনে সর্বনাশ! এভাবে মানুষের আগ্রহ জাগানো হচ্ছে। এখন সময়টিই এমন। কাউকে এককভাবে দোষ দেওয়া যায় না। এখন ইন্টারনেটের যুগ। ট্রানজিশন পিরিয়ড চলছে। ভালো-মন্দ থাকবেই।
আপনার মঞ্চের ব্যস্ততা কেমন চলছে?
প্রায় দেড় বছর মঞ্চের কাজ বন্ধ। আমি দেড় ঘণ্টার একটি একক নাটক করি, একা এক নারী। মঞ্চে এককভাবে নাটক করতে গেলে মানসিক ও শারীরিক প্রস্তুতির ব্যাপার থাকে। আজ বললে কাল নাটক করা যায় না। সামনে নাট্যচক্রের বৈঠক হবে। কবে নাটকটি মঞ্চস্থ হবে সে বিষয়ে জানা যাবে পরবর্তীতে।
মঞ্চের দর্শক কি বেড়েছে?
একটি মজার ঘটনা বলি- সপ্তাহ দুই আগে মহিলা সমিতিতে প্রাচ্যনাট স্কুলের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে গিয়েছি। মঞ্চে উঠে দেখলাম হল ভর্তি দর্শক। ভালো কাজ করলে দর্শক আসবেই। আর যারা ছয় মাস ধরে কোর্সটি করেছে তারা সবাই বয়সে নবীন। কেউ অনার্স করছে কেউ বা মাস্টার্স। আগ্রহ আছে বলেই না তারা কোর্সটি করেছে।

 
                            -20250830114014.webp) 
                                     সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন 
                                     
                                     
                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                             
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
       
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন