কুমিল্লার লাকসামে নিখোঁজ হওয়ার দুই মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো সন্ধান মেলেনি গৃহবধূ তুহিন আখতার তন্নীর (১৮)। একমাত্র মেয়ের খোঁজ না পেয়ে পাগলপ্রায় হয়ে পড়েছেন তার মা-বাবা। দুশ্চিন্তায় তন্নীর মা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ১ জুন বেলা ১১টার দিকে তন্নী তার স্বামীর বাড়ি থেকে হঠাৎ নিখোঁজ হন। এরপর আত্মীয়-স্বজন ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাননি। এ ঘটনায় তন্নীর বাবা আবদুল খালেক লাকসাম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, তবে এখনো পর্যন্ত পুলিশ তার খোঁজ দিতে পারেনি।
তুহিন আখতার তন্নী লাকসাম উপজেলার কান্দিরপাড় ইউনিয়নের ভাকড্ডা গ্রামের চা দোকানদার আবদুল খালেকের কন্যা। গত ৮ এপ্রিল তার বিয়ে হয় একই ইউনিয়নের ইরুয়াইন পশ্চিমপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ সোহেল মিয়ার সঙ্গে। বিয়ের পর তন্নীর দাম্পত্য জীবন স্বাভাবিকই ছিল বলে জানিয়েছেন স্বামী সোহেল।
সোহেল জানান, ‘আমি ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে একটি ওয়ার্কশপে চাকরি করি। এ কারণে বিয়ের পর মাত্র ১০-১২ দিন তন্নীর সঙ্গে সময় কাটাতে পেরেছি। ঈদুল আজহার পর তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘরে তোলার পরিকল্পনা ছিল। এরই মধ্যে সে দু-তিনবার আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসে। নিখোঁজ হওয়ার দুই দিন আগে তার বাবা তাকে আমাদের বাড়ি রেখে যান।’
তন্নীর বাবা আবদুল খালেক বলেন, ‘আমার মেয়ে আগে কখনো মোবাইল ফোন ব্যবহার করত না। বিয়ের পরও সে ফোন ব্যবহার করত না। তাকে হারিয়ে আমরা দিশাহারা। আত্মীয়-স্বজনের পরামর্শে বহু জায়গায় গেছি, সব কিছু করেছি, কিন্তু কোনো খবর পাইনি। তার মা মেয়ের শোকে এখন মৃত্যুপথযাত্রী।’
এ বিষয়ে লাকসাম থানার উপ-পরিদর্শক সাহাদাত হোসেন বলেন, ‘তন্নীর সন্ধানে আমাদের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। তবে নিখোঁজের বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে তেমন কোনো কার্যকর সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না। তারপরও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’ এ ব্যাপারে লাকসাম থানার ওসি নাজনীন সুলতানা বলেন, ‘মেয়েটিকে উদ্ধারের জন্য পুলিশ চেষ্টা করছে।’
আপনার মতামত লিখুন :