ঢাকা শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৫

শীতের আমেজে জমে উঠেছে পিঠার হাট

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২৫, ০৬:০১ এএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় শীতের আমেজ শুরু হতেই হাট-বাজার ও অলিগলিতে জমে উঠেছে শীতের পিঠা বিক্রি। দুপুর পরে থেকেই শুরু হয় পিঠা বানানোর ব্যস্ততা, আর বিকেল নামতেই ভাপা পিঠা, চিতই, পাটিসাপটা ও তেলপিঠার দোকানে ভিড় বাড়তে থাকে। সরিষা ভর্তা, শুঁটকি, মরিচ ও ধনিয়াপাতার ভর্তা দিয়ে পরিবেশন করা চিতই পিঠা ও নরম ভাপা পিঠার চাহিদা সবচেয়ে বেশি। ডিম দিয়ে বানানো বিশেষ চিতই পিঠাও ক্রেতাদের আকর্ষণ করছে।

সরেজমিনে পৌর শহরের বাজার, স্টেশন চত্বর, বড়বাজার ও খড়মপুর এলাকায় দেখা গেছে, রাস্তার পাশে অস্থায়ী চুলায় চালের গুঁড়া দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করছেন বিক্রেতারা। চুলা থেকে নামানোর সঙ্গে সঙ্গেই পিঠা চলে যাচ্ছে আগত ক্রেতাদের হাতে। প্রতিটি দোকানেই ভোজনরসিকদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, শ্রমিক, দিনমজুর, যানবাহন চালকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ নিয়মিত পিঠা কিনছেন। প্রতিটি পিঠা ১০ টাকায় বিক্রি হওয়ায় দামও রয়েছে নাগালের মধ্যে।

সড়কবাজার এলাকার পিঠা বিক্রেতা হাসেন মিয়া জানান, শীত পড়তে শুরু করায় কয়েক দিন ধরে নিয়মিত পিঠা বিক্রি করছেন। তিনি বলেন, ‘চালের গুঁড়া দিয়ে চিতই পিঠা আর নারিকেল, গুড় ও ধনিয়াপাতা দিয়ে ভাপাপিঠা বানাই। পিঠার মান ভালো হওয়ায় সবাই খেতে আসে। প্রতিটি পিঠা ১০ টাকা করে বিক্রি করি। বিকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দোকান থাকে জমজমাট। দিনে দুই হাজার টাকার মতো বিক্রি হয়, খরচ বাদে আয় থাকে ৭-৮ শত টাকা।’

পিঠা খেতে আসা স্থানীয় ব্যবসায়ী শামীম মিয়া বলেন, ‘শীত নামতেই ফুটপাতে পিঠা পাওয়া যাচ্ছে। চিতই আর ভাপাপিঠা খেতে খুবই ভালো লাগে। বিভিন্ন ভর্তা দিয়ে খেলে স্বাদ আরও ভালো হয়। প্রতিদিন সন্ধ্যায় এসে পিঠা খাই।’

স্কুল শিক্ষক আকলিমা আক্তার বলেন, চাকরির ব্যস্ততায় বাসায় পিঠা তৈরি করা হয় না। তিনি বলেন, ‘বাচ্চারা পিঠা খুব পছন্দ করে। শীতের শুরুতে ফুটপাতে পিঠা পাওয়া যাচ্ছে দেখে ভাপা আর চিতই কিনেছি। নানা রকম ভর্তাও নিয়েছি, বাসায় গিয়ে সবাই মিলে খাব।’

এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী জামশেদ মিয়া বলেন, পরিবার গ্রামে থাকে, তাই পিঠা খাওয়ার সুযোগ কম পেতেন। তিনি জানান, ‘রাস্তায় পিঠা দেখে খেয়েছি। খুবই ভালো লেগেছে। শীতের পিঠার স্বাদই আলাদা।’