ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনাকালে সঙ্গে থাকা সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তাৎখনিক হামলাকারী ক্লিনিক মালিককে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদ- দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গত শনিবার দুপুরে পৌর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক হামলাকারী ক্লিনিক মালিককে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদ- দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জানা যায়, স্থানীয় রোগীদের বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে পৌর শহরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে ভাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাত। এ সময় স্থানীয় সাংবাদিকেরা সংবাদ সংগ্রহের জন্য সেখানে যান।
উত্তর বাজারের ডাক্তার আলাউদ্দিনের পুত্র সোমা প্যাথলজিক্যাল ল্যাবের মালিক মাহবুবুর রহমান সুমন সাংবাদিকদের দেখে বিভিন্ন কুটূক্তিমূলক কথা বলতে থাকেন এবং ছবি বা ভিডিও করতে নিষেধ করে। হালুয়াঘাট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক কালবেলা উপজেলা প্রতিনিধি জুলফিকার আলী জুলমত তার কথার প্রতিবাদ করলে সুমন ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিক জুলমতের ওপর হামলা ও মারধর করে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনেই এমন ঘটনা ঘটেছে। সঙ্গে সঙ্গেই উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাত সুমনকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদ- দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা ও তার অনুমোদনহীন সোমা প্যাথলজিক্যাল ল্যাব সিলগালা করে দেওয়া হয়।
সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় উপজেলায় ব্যাপক নিন্দার ঝড় উঠেছে। সাংবাদিক জুলফিকার জুলমত বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রাট জান্নাত বলেন, ভ্রম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং চারটি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করা হয়েছে। এ সময় হঠাৎ করেই মাহবুবুর রহমান সুমন সাংবাদিক জুলফিকার আলী জুলমতের ওপর হামলা করে। আমরা সঙ্গে সঙ্গেই সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় তাকে ১৫ দিনের কারাদ- দেওয়া হয়েছে।

