ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

বোরোর বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত কৃষক

মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২৫, ০২:৪০ এএম

সুনামগঞ্জের মধ্যনগর ও ধর্মপাশা উপজেলার হাওরগুলো থেকে পানি নামতে শুরু করায় প্রকাশ পাচ্ছে আবাদযোগ্য জমি। এতে দুই উপজেলার কৃষকেরা বোরো মৌসুমের জন্য জমি প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সেই সঙ্গে হাওরের মাঠজুড়ে এখন দ্রুতগতিতে চলছে বীজতলা তৈরির কাজ।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে মধ্যনগর ও ধর্মপাশা মিলিয়ে ১ হাজার ৫৩৪ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ইতিমধ্যে ৯৯০ হেক্টর জমিতে বীজতলা প্রস্তুত সম্পন্ন হয়েছে। কৃষি বিভাগের আশা, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই শতভাগ বীজতলা তৈরির কাজ শেষ হবে।

সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন ফসলি মাঠে দেখা যায়, উপজেলার কিছু কিছু মাঠে এখন কৃষক রোপা আমন সংগ্রহের পাশাপাশি বোরোর বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। আধুনিক চাষযন্ত্রের পাশাপাশি প্রাচীন পদ্ধতিতে হাল চাষের মাধ্যমে কিছু কিছু এলাকায় বীজতলার জন্য জমি প্রস্তুত করছেন কৃষকেরা। তারা বলছেন, বোরোর বীজতলা তৈরির এখন ভরা মৌসুম।

কৃষক রহিছ মিয়া, জালাল উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন কৃষক বলেন, আমন ধান সংগ্রহের পাশাপাশি বোরো ধানের বীজতলা তৈরিতে কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। এসব বীজতলার বোরো ধানের চারা রোপণ উপযোগী হলে বীজতলা থেকে উত্তোলন করে চারাগুলো পরবর্তী সময়ে জমিতে রোপণ করা হবে। এ বছর বোরোর বীজতলা তৈরির উপযোগী আবহাওয়া রয়েছে।

মধ্যনগরের শালদীঘা হাওরের কৃষক আব্দুল আজিজ জানান, বোরোধান আবাদের লক্ষ্যে তিনি ২২ শতক জমিতে বোরোর বীজতলা তৈরি করেছেন। এ বছর বোরোর বীজতলা তৈরির জন্য আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। বড় ধরনের প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে ধানের চারা ভালো হবে।

মধ্যনগর উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা আশয়াদ বিন খলিল রাহাত জানান, আগামী ১০-১২ দিনের মধ্যেই শতভাগ বীজতলা তৈরির কাজ শেষ হবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সময়মতো ধানের চারা তৈরি হয়ে যাবে। এরপর বীজতলা থেকে চারা তুলে মূল জমিতে রোপণ করা হবে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।