এবারের উইম্বলডনে সেমিফাইনালে বড় অঘটনের জন্ম দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের আমান্ডা আনিসিমোভা। শ্রীর্ষ বাছাই আরিনা সাবালেঙ্কাকে হারিয়ে উইম্বলডনের ফাইনালে উঠে গেছেন ২৩ বছর বয়সি এই নারী টেনিস খেলোয়াড়। এক বছর আগের কথা। বাছাইপর্বে হেরে উইম্বলডনের মূল পর্বে উঠতে না পারার হতাশা ভুলতে পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছিলেন আনিসিমোভা। বছর ঘুরতেই সেই তিনি এখন এই গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালিস্ট। নতুন মোড় নেওয়া ক্যারিয়ারে এভাবে ফাইনালে উঠতে পারবেনÑ যেন বিশ^াসই করতে পারছেন না তিনি। বছরের তৃতীয় গ্র্যান্ড স্লাম প্রতিযোগিতায় গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বড় চমক উপহার দেন আনিসিমোভা। সেমিফাইনালে তিনি হারিয়ে দেন তিনটি গ্র্যান্ড স্লাম বিজয়ী ও মেয়েদের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ খেলোয়াড় সাবালেঙ্কাকে। এ বছর আগের দুটি গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে খেলা সাবালেঙ্কা এখানেও ছিলেন পরিষ্কার ফেভারিট। শুরুতে পিছিয়ে পড়ার পর দ্বিতীয় সেটে ঘুরে দাঁড়ালেও তরুণ প্রতিপক্ষকে আটকাতে পারেননি বেলারুশের ২৭ বছর বয়সি তারকা। সেন্টার কোর্টে ৬-৪, ৪-৬, ৬-৪ গেমে জিতে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো কোনো গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে ওঠেন আনিসিমোভা। ২০০৪ সালে সেরেনা উইলিয়ামসের পর যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে কম বয়স নারী খেলোয়াড় হিসেবে উইম্বলডনের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। শিরোপার মঞ্চে উঠে যেন অবিশ^াসের ঘোরে আছেন আনিসিমোভা। তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে, (আগে) যদি আমাকে বলতেন যে আমি উইম্বলডনের ফাইনালে উঠব, আমি বিশ^াস করতাম না। বিশেষ করে এত তাড়াতাড়ি তো নয়ই। এক বছরে ঘুরে দাঁড়ানো। সত্যি বলতে, ফাইনালে থাকতে পারা স্রেফ অবিশ^াস্য।’ গত বছর উইম্বলডনের বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডে হেরেছিলেন আনিসিমোভা। তখন র্যাঙ্কিংয়ে তিনি ছিলেন ১৯১ নম্বরে। আনিসিমোভা বলেন, ‘প্রতিবার যখন আমি গ্র্যান্ড স্লাম বা টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়ি, আমি কয়েক দিন বিরতি নিই। আমার ফোন বন্ধ রাখি না, তবে সত্যি বলতে (কী ঘটছে) তা অনুসরণ করি না।’