ঢাকা রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১২, ২০২৫, ০১:৪৯ এএম

গত ২ জুলাই দৈনিক রূপালী বাংলাদেশে ‘জয়ের আশীর্বাদে পাঁচ পয়সার চাঁদাবাজি’ শিরোনামে সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে ইনফোজিলিয়ন টেলিটেক বিডি। প্রতিষ্ঠানটির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরিত প্রতিবাদলিপিতে সংবাদটি বিভ্রান্তিমূলক বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়, সংবাদে ভুল তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি (এমএনপি) লাইসেন্স ফি, ব্যাংক গ্যারান্টি, বাৎসরিক ফিসহ প্রযোজ্য রেভিনিউ শেয়ারিং ও অন্যান্য কর প্রদান করা এবং পোর্টিং, ডিপিং কনটেন্ট ভ্যালিডেশন, ডিএনডি, ডেলিভারি রিপোর্টের মতো সেবার জন্য ৫ পয়সা চার্জ নেওয়া অযৌক্তিক নয়। পাশাপাশি ইনফোজিলিয়নের সেবা নিতে এটুপি এসএমএস এগ্রিগেটরদের ওপর দেওয়া সাবেক বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের চাপ ও হুমকিকে চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত মতামত এবং এর সঙ্গে ইনফোজিলিয়নের সংশ্লিষ্টতা নেই বলেও দাবি করা হয়েছে। 
অন্যদিকে, বাংলাদেশের এটুপি এসএমএসের সর্বোচ্চ আনুমানিক ৮ শতাংশ ইনফোজিলিয়ন পায়, তাই পাঁচ কোটি এসএমএসের তথ্য সঠিক নয় বলেও উল্লেখ করা হয়। একই সঙ্গে মাল্টিপল রিডান্ডেন্সির সঙ্গে ডিজাস্টার রিকভারি সিস্টেম সুবিধা থাকায় এখন পর্যন্ত নিজেদের সেবার ডাউনটাইম নেই বলেও দাবি করা হয়েছে। 
প্রতিবেদকের বক্তব্য: যেসব সেবার জন্য ইনফোজিলিয়নের মাধ্যমে এটুপি এগ্রিগেটররা এসএমএস পরিচালনা করেন, সেই সেবা ইনফোজিলিয়ন ছাড়াই এগ্রিগেটররা অতীতে পেতেন অথবা অনেক ক্ষেত্রেই নিষ্প্রয়োজন। এমন দাবি এগ্রিগেটরদেরই। ইনফোজিলিয়নের সেবা নিতে যখন এগ্রিগেটরদের হুমকি ও চাপ দেন সাবেক বিটিআরসি চেয়ারম্যান, তখন সভাস্থলে ইনফোজিলিয়নের প্রতিনিধিও উপস্থিত ছিলেন। অথচ চেয়ারম্যানের বক্তব্য খ-ন বা প্রতিবাদ করে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধিরা কোনো বক্তব্য দিয়েছেন মর্মে সভায় উপস্থিত অন্য কোনো সূত্র বা সভার কার্যবিবরণীতে উল্লেখ নেই। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে সাবেক বিটিআরসি চেয়ারম্যানের বক্তব্যের বিরুদ্ধে ইনফোজিলিয়নের আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেওয়ারও তথ্য পাওয়া যায়নি। তাই চেয়ারম্যানের বক্তব্য তার নিজের দাবি করে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। কোনো ডাউনটাইম নেই মর্মে ইনফোজিলিয়নের দাবিও সঠিক নয়। দৈনিক রূপালী বাংলাদেশের কাছে তাদের বিভিন্ন সময়ের সেবা বিঘিœত হওয়ার প্রায় এক ডজন ঘটনার প্রমাণ রয়েছে।