বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্লাম ইউএস ওপেনে দারুণ জয়ে অভিযান শুরু করেছেন কিংবদন্তি টেনিস তারকা নোভাক জোকোভিচ। প্রথম রাউন্ডে তার বিপক্ষে সেভাবে লড়াই জমিয়ে তুলতে পারেননি লার্নার টিয়েন। হেরে যান ৩-০ সেটে। দ্বিতীয় সেটে কিছুটা লড়াই করলেও বাকি দুই সেটে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছেন টিয়েন। ফলে জয় দিয়ে ২৫তম গ্র্যান্ড স্লামের খোঁজে থাকা ৩৮ বছর বয়সী জোকোভিচ ইউএস ওপেন শুরু করলেন। খেলার শুরু থেকেই ছিলেন আগ্রাসী এই সার্বিয়ান। প্রথম সেটে ৬-১ গেমে উড়িয়ে দেন ১৯ বছর বয়সি টিয়েনকে। পরের সেটে অবশ্য ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন টিয়েন।
লড়াই জমিয়ে তুলে ম্যাচ টেনে নেন টাইব্রেকারে। কিন্তু দ্বিগুণ বয়সি জোকোভিচের অভিজ্ঞতার সঙ্গে পেরে ওঠেননি এই মার্কিন তরুণ। ৭-৬ (৭-৩) গেমে হেরে পিছিয়ে পড়েন ২-০ সেটে। এরপর তৃতীয় ও শেষ সেটেও লড়তে পারেননি টিয়েন। ৬-২ গেমের দাপুটে জয়ে সহজেই দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকিট কাটেন জোকোভিচ। এই জয়ে ২০০৬ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের পর আর কখনো প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় না নেওয়ার কীর্তিও ধরে রাখলেন জোকোভিচ। সদ্য কৈশোর পেরোনো টিয়েনকে হারানোর পর নিজেই যেন কৈশোরে ফিরে যেতে চাইলেন জোকোভিচ।
ম্যাচ শেষে বয়স নিয়ে খানিকটা আক্ষেপ করে এই টেনিস কিংবদন্তি বলেন, ‘আমার বয়স যদি লার্নার টিয়েনের মতো হতো! আপনি যখন ত্রিশের ঘরে আসবেন, তখন আপনাকে শক্তি ধরে রাখার উপায় শিখতে হবে। তবে আমার মধ্যে এখনো উত্তাপ আছে, তাড়না আছে এবং আপনারাই আমাকে শক্তি দেন। আশা করি, আমি এগিয়ে যেতে পারব।’ জয় দিয়ে ইউএস ওপেন শুরু করলেও ফিটনেস নিয়ে কিছুটা শঙ্কায় আছেন জোকোভিচ।
অন্যদিকে, নারী এককে জয় পেয়েছেন আরিনা সাবালেঙ্কা। প্রথম রাউন্ডে সুইজারল্যান্ডের রেবেকা মাসারোভাকে ৭-৫ ও ৬-১ গেমে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। সহজ জয়ে প্রথম রাউন্ডের বাধা পেরিয়ে সাবালেঙ্কা বলেছেন, ‘এই জয়ে এবং দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে পেরে আমি আনন্দিত। তবে আমার মনে হয়েছে, প্রথম রাউন্ডের শুরুতে আমি সেরাটা দিতে পারিনি। এরপর অবশ্য নিজের সুরটা খুঁজে পেয়েছি।’ দাপুটে জয় পেয়েছেন সাবেক ইউএস ওপেন চ্যাম্পিয়ন এমা রাদুকানুও। প্রথম রাউন্ডে এনা শিবাহারাকে রাদুকানু উড়িয়ে দিয়েছেন ৬-১ ও ৬-২ গেমে। এর ফলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার চার বছর পর এই প্রথম ইউএস ওপেনে জয়ের দেখা পেলেন রাদুকানু।