সিলেটের সাদাপাথর পর্যটন স্পট পরিদর্শন করেছেন পাথর লুটপাটসংক্রান্ত ঘটনায় গঠিত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকালে সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব জাহেদা পারভীনের নেতৃত্বে কমিটি সাদাপাথর এলাকা ঘুরে দেখেন। এ সময় তারা স্থানীয় ব্যবসায়ী, এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেন।
পরিদর্শনের শুরুতে কমিটি রেলওয়ে বাঙ্কার এলাকা পরিদর্শন করে। সফরে সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারসহ জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
-20250826145047.webp)
গত ২০ আগস্ট গঠিত এই তদন্ত কমিটিতে সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব ছাড়াও জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিবরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। কমিটিকে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, লুট হওয়া প্রায় ২৫ লাখ ঘনফুট পাথরের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৬ লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার ও প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও ৭ লাখ ঘনফুট পাথর ভোলাগঞ্জের ১০ নম্বর ঘাট এলাকায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যা পরবর্তী পর্যায়ে সাদাপাথরে প্রতিস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর থেকেই সাদাপাথরে ব্যাপক পাথর লুট শুরু হয়। চলতি আগস্টে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাদাপাথরের পাথরশূন্য দৃশ্যের ভিডিও ভাইরাল হলে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরপর প্রশাসন সক্রিয় হয়ে ওঠে।
এর আগে, ১৩ আগস্ট দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সিলেট কার্যালয়ের উপপরিচালক রাফি মো. নাজমুস সাদাতের নেতৃত্বে একটি দল সাদাপাথর এলাকা পরিদর্শন করে এবং ১৬ আগস্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।
ওই প্রতিবেদনে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতাসহ মোট ৫৩ জনের পাথর লুটে সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। পাশাপাশি, স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর নিষ্ক্রিয়তা এবং যোগসাজশের অভিযোগও উত্থাপন করা হয়েছে।
