কাপ্তাই উপজেলা এলাকায় কর্ণফুলী নদীতে পানির প্রবাহ হঠাৎ কমে যাওয়ায় চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাটে ফেরীর পাটাতন স্বাভাবিক স্তর থেকে নেমে গেছে। এতে ফেরিতে যানবাহন ওঠা-নামা ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে বান্দরবান–রাঙ্গামাটি–রাজস্থলী সড়কে চলাচলকারী বাস, ট্রাক, পিকআপসহ বিভিন্ন যানবাহন পারাপার চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েছে।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, পানি কমে যাওয়ায় ফেরিঘাটের পাটাতন নদীর তলদেশের সঙ্গে প্রায় লেপ্টে গেছে। কোনো কোনো সময় ছোট যানবাহন ফেরিতে উঠতে হেল্পারদের কাঠের তক্তা বিছিয়ে অস্থায়ী র্যাম্প তৈরি করতে দেখা যায়। এতে সময় লাগছে দ্বিগুণেরও বেশি।
চালক ও যাত্রীরা অভিযোগ করেন, ফেরিঘাটের এ সমস্যা দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। পানি কমে গেলে ফেরির পাটাতন নিচে নেমে যায় এবং ওঠা-নামা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের, নষ্ট হয় পরিবহন–পণ্যবাহী ট্রাকের মূল্যবান সময়।
স্থানীয়রা জানান, শুষ্ক মৌসুমে নদীর পানি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ায় এ সমস্যা আরও প্রকট রূপ নিয়েছে। নিয়মিত ড্রেজিং এবং ফেরিঘাটে আধুনিক সুবিধা নিশ্চিত না করলে দীর্ঘস্থায়ী সমাধান পাওয়া সম্ভব নয়।
চন্দ্রঘোনা–রাইখালী রুটটি বান্দরবান–রাঙামাটি–রাজস্থলী অঞ্চলের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ সড়ক। এ রুটে ফেরি চলাচলে ব্যাঘাত ঘটলে পুরো অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়।
আজকের ছবিটি রাইখালী ফেরিঘাট এলাকা থেকে তোলা হয়েছে, যেখানে ফেরির পাটাতন নিচে নেমে থাকা স্পষ্ট দেখা যায়, যা সরাসরি যানবাহন চলাচলে বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে।


