সিলেট মহানগরীর এয়ারপোর্ট থানার ইলাশকান্দি এলাকায় কিশোরগ্যাংয়ের দুই গ্রুপের পূর্ববিরোধের জেরে ছুরিকাঘাতে শাহ মাহমুদ হাসান তপু (১৭) নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। ঘটনা ঘটে বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে।
পুলিশ জানায়, ওই রাতে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষ গ্রুপের প্রধান মো. জাহিদ হাসান তপুকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন।
গুরুতর আহত অবস্থায় তপুকে স্বজনরা সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ৬টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত তপু এয়ারপোর্ট থানার ইলাশকান্দি, বাদামবাগিচার উদয়ন ৪০/২ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা এবং শাহ এনামুল হকের ছেলে।
ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্ত জাহিদ হাসান ও তার দুই সহযোগী অনিক মিয়া এবং জুনায়েদ আহমদকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার অনিক মিয়ার বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় হলেও তিনি বর্তমানে সিলেটের লোহারপাড়া এলাকায় বসবাস করেন। জুনায়েদের স্থায়ী ঠিকানাও দিরাইয়ের ভাটিপাড়া তার বর্তমান ঠিকানাও লোহারপাড়া।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (সিটিএসবি) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. তারেক আহমেদ বলেন, কিশোরদের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব থেকেই এ হত্যাকাণ্ডের সূত্রপাত। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানান এয়ারপোর্ট থানার ওসি সৈয়দ আনিসুর রহমান।


