দ্য হানড্রেডর চলতি আসরে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের ধারা অব্যাহত রেখে ওভাল ইনভিন্সিবলস ফাইনালে নিজেদের জায়গা প্রায় নিশ্চিত করে ফেলল। লন্ডন স্পিরিটকে ৬ উইকেটে হারিয়ে স্যাম বিলিংসের দল পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে।
টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ওভাল ইনভিন্সিবলস। লন্ডন স্পিরিটের ইনিংসের শুরুটা ছিল দারুণ। ওপেনার জেমি স্মিথ ইনিংসের প্রথম দুই বলেই বাউন্ডারি মেরে ঝড়ো ব্যাটিংয়ের ইঙ্গিত দেন।
মাত্র ১৫ বলে ২৮ রানের একটি বিস্ফোরক ইনিংস খেললেও তাকে বিদায় নিতে হয়। এরপরই ঘটে সেই অবিস্মরণীয় ঘটনা। স্মিথের সতীর্থ অলি পোপের একটি শটকে এক হাতে দুর্দান্তভাবে লুফে নিয়ে অবিশ্বাস্য এক ক্যাচ ধরেন ওভাল ইনভিন্সিবলসের উইল জ্যাকস।
জ্যাকসের এই ক্যাচটি ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এরপর জেম ওভারটন ও রায়ান হিগিনসের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে লন্ডন স্পিরিট তাদের ১০০ বলে ৭ উইকেটে ১৫২ রানের একটি সম্মানজনক স্কোর দাঁড় করায়।
১৫৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ওভাল ইনভিন্সিবলস। তাওয়ান্ডা মুয়েইয়ে কোনো রান না করেই আউট হন। তবে এরপরই দলের হাল ধরেন উইল জ্যাকস এবং জর্ডান কক্স।
এই দুজন মাত্র ৩৫ বলে ৬৪ রানের একটি অসাধারণ জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান। জ্যাকসের ব্যাট থেকে আসে ২৭ বলে ৪৫ রানের একটি ঝোড়ো ইনিংস, যার মধ্যে ছিল ৯২ মিটার লম্বা একটি বিশাল ছক্কা।
জ্যাকসের বিদায়ের পর জর্ডান কক্স এক প্রান্ত ধরে রেখে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। তিনি ২৭ বলে ৪৭ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন।
শেষদিকে ডোনোভান ফেরেইরা মাত্র ৯ বলে অপরাজিত ২৪ রানের এক ক্যামিও খেলে দলকে ২২ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটের সহজ জয় এনে দেন।
ম্যাচ জয়ের পর নিজের দুর্দান্ত ক্যাচ ও ব্যাটিং নিয়ে উইল জ্যাকস বলেন, বল দেখতে আমাদের কিছুটা সমস্যা হচ্ছিল, ভাগ্য ভালো যে ক্যাচটা নিতে পেরেছি। ব্যাট হাতে দুর্দান্ত লেগেছে, উইকেট আরও ভালো হয়ে গিয়েছিল। কক্সের সঙ্গে ব্যাটিং করাটা সহজ ছিল।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড
লন্ডন স্পিরিট: ১০০ বলে ১৫২/৭
ওভাল ইনভিন্সিবলস: ৭৮ বলে ১৫৩/৪
ফলাফল: ওভাল ইনভিন্সিবলস ৬ উইকেটে জয়ী।