সরকারি হস্তক্ষেপ আর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান তামিম ইকবাল খান। পরিচালক পদে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন সাবেক এই অধিনায়ক। গতকাল বিসিবি নির্বাচনের দিন খবর ছড়ায়, তামিম ব্যালট পেপার নিয়েছেন এবং ভোট দিয়েছেন। তবে এসব খবর ভিত্তিহীন বলে জানালেন তামিম নিজেই। নিজের অফিসিয়াল পেজবুক পেজে তামিম লিখেছেন, ‘অনেক মিডিয়ায় ও নানা মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি, বলা হচ্ছে বিসিবি নির্বাচনে আমি ভোট দিয়েছি। তা মোটেও সত্যি নয়।’ তিনি আরও লেখেন, ‘আমি ই-ভোট দেওয়ার আবেদন করেছিলাম আগে, কারণ দেশের বাইরে ছিলাম। কিন্তু ওল্ড ডিওএইচএস ক্লাবের কাউন্সিলর হিসেবে আমি নির্বাচনে অংশ নেইনি বা ভোট দেইনি।’
এদিকে, রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে সকাল ১০টা থেকে উৎসবমুখর ও সুন্দর পরিবেশে বিসিবি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। গতকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত বেশ ভালো সংখ্যক ভোটার উপস্থিতি দেখা গেছে। ১২টা থেকে ২টার মধ্যে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম ছিল। ২টার পর থেকে আবার ভোটার উপস্থিতি বাড়ে। সকাল সোয়া ১০টার দিকে ভোট দিতে আসেন পরিচালক পদপ্রার্থী নাজমুল আবেদিন ফাহিম, দেবব্রত পাল, খালেদ মাসুদ পাইলট ও আদনান রহমান দীপন। একই পদে প্রার্থিতা করা বিসিবির সদ্য সাবেক পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠু ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করেন ফাহিমদের পরপরই। বেলা ১১টার দিকে ভোট দিতে আসেন সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন, হান্নান সরকার ও সানোয়ার হোসেন।
সাড়ে ১১টায় ভোট দেন সাবেক অধিনায়ক এবং নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। তার পরপরই আসেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। ভোট দেওয়ার পর গণমাধ্যমকর্মীদের বুলবুল বলেন, ‘আগে কখনো নির্বাচন করিনি। নির্বাচনে অংশগ্রহণও করিনি। যা-ই দেখছি, সব নতুন লাগছে। বিভিন্ন জেলা থেকে লোক এসেছে, ক্লাবের প্রতিনিধি আর অংশীদাররাও আছেন। রোমাঞ্চ তো থাকবেই। এই নির্বাচনে আমি অংশ নিয়েছি।’