এশিয়া কাপে দুর্দান্ত ব্যাটিং নৈপুণ্য দেখিয়ে লাইমলাইটে এসেছেন সাইফ হাসান। এশিয়া কাপের পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজেও জ¦লে উঠলেন এই ক্রিকেটার। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ আগেই নিজেদের করে নেয় বাংলাদেশ। তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি জিতে আফগানিস্তানকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেছে টাইগাররা। এ ম্যাচে বিধ্বংসী ব্যাটিং করছেন সাইফ হাসান। ৩৮ বলে ৬৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে হন ম্যাচসেরা। ওয়ানডে দলে প্রথমবারের মতো ডাক পেয়েছেন সাইফ। এবার প্রত্যাশা আরও বাড়িয়ে দিলেন এই ওপেনার।
গত ম্যাচে দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরে বেশ খুশি সাইফ হাসান। ম্যাচসেরা হওয়ার পর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘দলের জন্য অবদান রাখতে পেরে আমি খুশি। এটি আমাদের জন্য দারুণ একটি সিরিজ ছিল। আশা করছি, আমরা এই ধারাটা বজায় রাখতে পারব।’ এশিয়া কাপ থেকে শুরু করে বাংলাদেশের জার্সিতে সবশেষ সাত ইনিংসে ২১টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন সাইফ। নিজেদের ব্যাটিং ধরন নিয়ে তিনি বলেন, ‘গত এক-দুই বছর ধরে আমি এভাবেই খেলছি। আমি শুধু ব্যাটিংটা উপভোগ করছি, ব্যস এতটুকুই।’ নিয়মিত অধিনায়ক লিটন দাস অনুপস্থিতিতে আফগানদের বিপক্ষে তিনে খেলেন সাইফ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটিং পজিশন। আগের টুর্নামেন্টে আমি ওপেনিংয়ে খেলেছিলাম। কিন্তু এ সিরিজের আগে কোচ ফিল সিমন্স আমাকে স্পষ্ট পরিকল্পনা জানিয়ে দেন, আমি তিন নম্বরে ব্যাট করব।
সেই অনুযায়ী আমি প্রস্তুতি নিয়েছি।’ দলকে ভালো শুরু এনে দিতে টপ-অর্ডারদের পারফরম্যান্সের কোনো বিকল্প নেই। এশিয়া কাপে সেই কাজটাই করেছিলেন সাইফ হাসান। চার-ছক্কার ফুলঝরিতে বাংলাদেশের রানের গতি সচল রাখতে দারুণ ভূমিকা রাখেন দুর্দান্ত ছন্দে থাকা সাইফ। বোলারদের ছাতুপেটা করার কাজটা যেন কার কাছে ডাল-ভাত। ম্যাচ শেষে আফগানিস্তানের সংবাদ সম্মেলনে উঠে আসে সাইফের দারুণ পারফরম্যান্সের প্রসঙ্গ। বাংলাদেশি টপ-অর্ডারের এ ব্যাটারকে প্রশংসায় ভাসিয়ে আফগান কোচ জোনাথন ট্রট বলেন, ‘প্রথমে বলব সে (সাইফ) অনেক ভালো খেলেছে। একটা বল গাছেও মেরেছে মনে হয়। দারুণ ক্লিন হিটিং।
ফলে বাংলাদেশকে পুরো কৃতিত্ব দিতেই হবে।’ এশিয়া কাপে দুবাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪৫ বলে ৬১, ভারতের বিপক্ষে ৫৫ বলে ৬৯ রানের ইনিংসে নিজেকে পুরোদস্তর টি-টোয়েন্টি ব্যাটার হিসেবে প্রমাণ করেছেন সাইফ। বিশেষ করে ছক্কা হাঁকাতেই বেশ পছন্দ করেন ২৬ বছর বয়সি এ ব্যাটার। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩৮ বলে ৬৪ রানের ইনিংসে ৬ বার সরাসরি বল সীমানার বাইরে পাঠিয়েছেন তিনি। ১৫টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১৫ বাউন্ডারির পাশে ২৭ ছক্কা মেরেছেন সাইফ হাসান। যার মধ্যে এ বছর ১০ ম্যাচে ১৪ চার এর পাশে ছক্কা ২৪টি! যেন ছক্কার ফুলঝুরি ফোটাতেই এসেছেন তিনি।