দেশ থেকে পলাতক স্বৈরাচারী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মারার দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জেলা ছাত্রদলের পৃথক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে দুই সংগঠনের কর্মীরা শহরের পায়রা চত্বর ও পোস্ট অফিস মোড়ে জড়ো হয়। সেখানে তারা দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসুচি গ্রহন করে।
জেলার কালীগঞ্জ, শৈলকুপা, মহেশপুর ও কোটচাঁদপুর উপজেলা শহরেও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিএনপি নেতাকর্মীরা পৃথক ভাবে কর্মসুচি পালন করে। তবে জেলার কোথাও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ১৫ই আগস্ট পালনের কোন খবর পাওয়া যায়নি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক শারমিন সুলতানা জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসুচি হিসেবে তারা শহরের পোষ্ট অফিস মোড়ে দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসুচি পালন করছেন। স্বৈরাচার ও তার দোসররা যাতে শহরেরে কাথাও ঢুকতে না পারে সে জন্য তারা সজাগ আছে।
অপরদিকে ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এমএম সোমেনুজ্জামান সোমেন জানান, পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির দাবীতে আমারা বিক্ষোভ মিছিল করেছি। তাছাড়া শহরে যাতে আ.লীগের কর্মীরা নাশকতা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য শত শত নেতাকর্মী পাড়ায় পাড়ায় সতর্ক পাহারা বসানো হয়েছে। এছাড়াও ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ৪ দফা দাবিতে ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
এদিকে আজ ১৫ আগস্ট ঘিরে কোনো অপশক্তি যেন মাঠে না নামতে পারে সে ব্যাপারে সকাল থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত শহরে অবস্থান করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন-বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী মাহাফুজুর রহমান ঈশান, সানমুন হোসেন, এজাজ আহমেদ, হৃদয় হোসেন, সৈয়দা সাহারা মাহফুজ, জাহিদ হোসেনসহ অন্যান্যরা।
